পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, е 8 এই ত মধুর-স্বভাব ভদ্রলোক ! যেমন কাটা তেমনই পাংলা করা ; যেমন খোদাই করা তেমনই ঘষিয়া পালিশ করা । তিনি কী সংঘৰ্মী ! কী পৌরুষ, কী মহত্ত্ব, কী বৈশিষ্ট্য। মধুর-স্বভাব ভদ্রলোকটিকে কখনে। ভূলা যায় না। যেমন কাটা তেমনই পাংলা করা কথাটির অর্থ হইতেছে জ্ঞানার্জন । যেমন খোদাই তেমনই পালিশ কর। ইহার অর্থ আত্মকৰ্মণ বা উন্নতি । ‘কী সংযম, কী পৌরুষ’ ইহার অর্থ সংযত সন্ত্রম । ‘কী মহত্ত্ব, কী বৈশিষ্ট্য ইহার অর্থ ভীতি। মধুর-স্বভাব ভদ্র লোকটিকে ভুলা যায় না”—ইহার অর্থ এই যে পুণ্য পরিপূর্ণ হইলে, মঙ্গল পরম হইলে লোকে তাহাকে আর ভুলিতে পারে না । ৫ । কাব্য-সংগ্রহে আছে, আহা পূবতন রাজাদিগকেও ( বেন রাজ ও বু-রাজা ) ভুলে নাই ! ( ৰ্তাহাদের পরে ) ভদ্রলোকগণ যাহা মূল্যবান তাহারই মূল্য দিয়াছেন, বাহ ভালবাসার তাহাকে ভাল-বাসিয়াছেন। সাধারণ লোক যাহাতে সুখ পাওয়া যায় তাহাতে সুখী হইয়াছে, ও যাহাতে তাহাদের উপকার বা লাভ হইয়াছে, তাহা হইতে লাভবান হইয়াছে । চতুর্থ পরিচ্ছেদ গুরু বলিলেন ‘ অভিযোগ শুনিতে আমি অন্য লোকের মত, নিশ্চয়ই তাঁহাই । অভিযোগ দূর করা কি প্রয়োজন নছে ? ধে কামনারহিত তাহার পক্ষে অভিযোগ বাক্য প্রয়োগ করা অসম্ভব । মহৎ ভয় লোকের মনে থাকিবে । ইহাকে বলে মূলকে জানা । পঞ্চম পরিচ্ছেদ ইহাকে বলে মূলকে জানা। ইহাকে বলে জ্ঞানের সফলতা । ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ ১ । ‘তাঁহাদের চিন্তার সরলতা বলিতে বুঝা যায় এই ( তাহদের মধ্যে ) আত্ম-প্রবঞ্চনা নাই—যেমন ( আমরা ) দুৰ্গন্ধকে মন্দই বলি, সুন্দর বর্ণকে ভালই বলি। ইহার নাম আত্মরতি । সুতরাং:ভদ্রলোকে তাহাদের ক্ষুদ্র বিষয়েও সতর্ক হইবেন । প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড ২। হীন ব্যক্তি একাকী বাস করে অর্থাৎ স্বার্থপর, অমঙ্গল করে ; অসাধ্য ( তাহার কিছুই) নাই। ভদ্রলোক দেখিলে পরে আত্মগোপন করে ; তাহার অসাধু-(ভাব ) কে ঢাকা দেয়; তাহার সাধুতা বাহিরে দেখায়। লোকের দেখাতে সে যেন দেখায় ফুসফুস ও যকৃতের মত ( চীনাদের বিশ্বাস ছিল যে ফুসফুস ন্যায়পরায়ণতার কেন্দ্র ও যকৃৎ পরোপকারের স্থান ) । ইহার কি ফল হইবে ? ইহাকে বলে যে সরলতা অন্তরে থাকিলে বাহিরে প্রকাশ পায় ; সুতরাং যিনি ভদ্রলোক র্তাহাকে ক্ষুদ্র বিষয়ে সাবধান হইতে হইবে । ৩। ৎসেঙ-ৎস্থ বলিয়াছিলেন, “দশ চক্ষু যাহা দেথায়, দশ হস্ত যাহা গড়ে, তাহা কি শ্রদ্ধেয় নহে ? ৪ । ঐশ্বৰ্য্য গৃহকে উজ্জ্বল করে ; পুণ্য দেহকে উজ্জল করে। হৃদয় উদার হইলে দেহ শান্ত হয়। সুতরাং ভদ্রলোক র্তাহার চিন্তাধারাকে নিশ্চয়ই সরল করিবেন। সপ্তম পরিচ্ছেদ । ১ । দেহের চর্য্যা বলিতে বুঝায় চিত্তের শোধন । ক্রোধরিপু বশবৰ্ত্তী দেহ ( মকুন্তা ) যাহা ন্যায় তাহা প্রাপ্ত হইবে না ; ভয়-আতঙ্কিত যাহা ন্যায় তাহা প্রাপ্ত হইবে না; স্থখলিপ, যাহা ন্যায় তাহ প্রাপ্ত হইবে না ; উংকষ্ঠিত চিত্ত যাহা ন্যায় তাহা প্রাপ্ত হইবে না । মন যখন নাই (কাজে ) তখন দেখি বটে, কিন্তু লক্ষ্য করি না ; শুনি বটে, কিন্তু গ্রহণ করি না ; আহার করি, কিন্তু তাহার স্বাদ পাই না। ইহাকে বলে যে দেহচৰ্য্যা মন শোধন করার উপর নির্ভর করে । অষ্টম পরিচ্ছেদ ১ । ‘পরিবার স্বব্যবস্থিত করা লোকের দেহ চৰ্য্যার উপর নির্ভর করে। ইহার অর্থ এই যে লোকে স্নেহ ও ভালবাসার নিকট পক্ষপাতদুষ্ট ; যাহা হেয় তাহাকে ঘৃণা করিয়া পক্ষপাতদুষ্ট হয় ; লোকে যাহা ভয় করে তাহার প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট হয় ; যেখানে দয়া ও প্রীতি করে সেখানে পক্ষপাতদুষ্ট হয়! লোকে দাম্ভিক ও রূঢ় হইয়া পক্ষপাতদুষ্ট হয়।