পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৃত্যু-দূত সেলমা লাগরলফু { সেল ম| লাগরলফ একজন বিখ্যাত গুইড লেথিক । মানব-মনের বেদনার ঘাত-প্রতিলন্ত অঙ্কনে ইনি সিদ্ধহস্ত । তাহার রচনায় তিনি সৰ্ব্বত্র সদভাবেরই প্রাধান্ত দেখাইয়াছেন । তাহার মতে পাপ মানুষক কিছু দিনের মত মোহাবিষ্ট রাখিতে পারে কিন্তু তাহ শাশ্বত নহে ; প্রীতি, মৈত্রী, প্রেম, সত্য ও সুন্দরই মানুষের চিরন্তন সম্পত্তি। সম্ভবতঃ মানুষের উজ্জ্বল দিকৃটি এমন করিয়া আর কোনে| বৰ্ত্তমান লেখকই ফুটাইয়| তুলিতে পারেন নাই। তিনি ১৯০৯ সালে সাহিত্য-প্রতিযোগিতায় নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত হন। ১৯১৮ সালে মহাযুদ্ধের পরে লিপিত হুঁহার ‘দি আউট কাস্ট ’ পুস্তকপানি বিশেষ পরিচিত । সেলম লীগৰ্বল ফ ইনি হুইডেনের অন্তর্গত ভামুৰ্ল্যাণ্ডে, মারবাক এস্টেটে ১৮৫৮ সালের ‘শে নবেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন, স্টকহলমের উইমেনস্ হুপিরিয়র টেনিং কলেজে শিক্ষা লাভ করিয়| ল্যাণ্ড স্ক্রোন উচ্চ বালিক বিদ্যালয়ে ১৮৮৫—১৮৯৫ সাল পণ্যস্ত শিক্ষকতা করেন । ১৯০৭ সালে লিপ্লেটস জুবিলীতে উপসাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান-মূলক ডাক্তার উপাধি প্রাপ্ত হন। তিনি অনেকগুলি উপন্যাস, ভ্রমণ বৃত্তস্ত প্রভৃতি লিথিয়াছেন : যথা, বেটা, ব্যারলিং (১৮৯৫) : ইনভিজিবল লিঙ্কস ( ১৮৯৪ ) ; মিরাক্লস্ অভ অ্যান্টিক্রাইস্ট (১৮৯৭) ; ফম এ সুইডিশ হোমসটেড (১৮৯৯) জেরুসালেম ( ১ ) (১৯০৬ ) ; লেজেণ্ডস্ অব ক্রাইসট (১৯০৪ ) ; দি অ্যাডভেঞ্চায় অবনিলস (১৯৯৬); দি গাল ফুম দি মর্শ (১৯০৮) ; জেরুসালেম্‌ (২ ) (১৯১৬ )। ইনি বহুকাল বিদেশ ভ্রমণ করিয়াছেন এবং ইজিপ্ট ও প্যালেস্টাইনে বহু বৎসর যাপন করিয়াছেন । অনুবাদে সিস্টার, প্লামূ-সিস্টার, ক্যাপ্টেন প্রভৃতি কথাগুলি ব্যবহৃত হইয়াছে। সালভেশন আৰ্ম্মি ( মুক্তি-ফৌজ ) আমাদের দেশে স্বপরিচিত । ইহঁরা পৃথিবীর সর্বত্র চড়াইয় পড়িয়াছেন ও প্রভূত পরিশ্রম ও দৈহিক কষ্টের মধ্য দিয়া সমাজ-পরিত্যক্ত দুৰ্ব্বত্ত নর-নারীদের সংস্কার-কধ্যে আয় নিয়োগ করিয়াছেন। এই সেবাব্রত-ধারিণীদের সিস্টার নামে অভিহিত করা হয় ও তাহার বস্তিতে-বস্তিতে হতভাগ্য বিপথগামীদের সমাজে ফিরাইতে চেষ্টা করেন বলিয়া কখনো কখনো তাহাদিগকে সুমিসিস্টারও বলা হয় । ক্যাপটেন বলিতে মুক্তি-ফৌজের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলের নায়ক বুঝিতে হইবে। এই উপন্যাসে বর্ণিত ঘটনার বাস্তবতা বা অলৌকিকত বৈজ্ঞানিক যুক্তির বিষয় নহে। ইহা অন্তলোকের দ্বন্দ্বের ইতিহাস ; আত্মার অনন্ত মুক্তি ও পুণোর জয়ের ইতিহাস স্বতরাং সাধারণ বিচারবুদ্ধির নিক্তিতে ইহার মাপ চলে না। পরিশেষে ইহাও বক্তব্য যে আমাদের মত স্বইডেনবাসীরাও যথেষ্ট কুসংস্কার-পরায়ণ । অনুবাদক ] প্রথম পরিচ্ছেদ অন্তরের ঘাত-প্রতিঘাত সিস্টার ঈডিথ মৃত্যুশয্যায় শায়িত। তাহার ক্ষুদ্র দেহখানিতে আসন্ন মুতু্যর ছায়া পড়িয়াছে, চারিদিকে দারিদ্র্যের প্রভাব সুস্পষ্ট । ভীষণ ক্ষয়রোগের আক্রমণে বৎসরকালের মধ্যেই তাহার জীবন-শক্তি নিঃশেষিত হইয়। আসিয়াছে। সে এই দুন্দান্ত দানবের সহিত যুদ্ধে পরাজিত হইয়া মৃত্যুকে শরণ করিতে বসিয়াছে। তবু এই রোগাক্রাপ্ত শরীরে যতক্ষণ শক্তি ছিল সে তাহার আরব্ধ কৰ্ত্তব্য সম্পাদনে পরাখুখ হয় নাই । শরীর যখন একেবারে ভাঙিয়া পড়িল তখন নিরুপায় হইয়। সে এক সাধারণ