পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] AAS AA SAAAAAS S ASAAAAASA SAAAAA AAAAMAAAS অভ্যেস আছে।” মধুমতী বুঝতে পেরেছিলেন যে প্রিয়ব্রতাকে খোচা দেবার জন্যেই এ-প্রসঙ্গ ওরা তুলেছে, তিনি তাই বললেন–“হাজার ঝি-দাসী থাক, বউঝির সেবা মা-শাশুড়ীদের একটা মস্ত বড় পাওনা । এ পাওনা যার আদায় হয় না তার দুর্ভাগ্যি আর যারা এটা বাকীতে ফেলে রাখে তাদেরও কপালে শেষ-দশায় এটা বাকীই থেকে যায় , কেননা যেমন শিক্ষা নিজেরা করবে অন্যদেরও ত তেমনি দেওয়া হবে।” মাস ছয় পরের কথা । প্রিয় সেই সাত দিন মাত্র বিয়ের ক’নে এ-বাড়ীতে থেকে গিয়েছিল আর দু মাস পরে এই ঘর করতে এসেছে। ডাগর মেয়ে,তাই বিয়ের ক’মেকেই ধলে-পায়ে দিন করা হয়েছিল যাতে ঘর করতে আস্বার জন্তে বছরখানেক না অপেক্ষ করতে হয়। প্রিয় সাতদিন শ্বশুরবাড়ীতে বাস ক’রেই বুঝতে পেরেছিল যে যদিও তা’র অপরাধ কোনো কিছু নেই তবু মোট চারিটি রাতের আলাপ হ’লেও এক শাশুড়ী ছাড়া আর কেউ তা’র উপর প্রসন্ন নয়। আর একজনেও অবহু তা’র প্রতি খুবই প্রসন্ন। এই ছ’ মাসে খান-চল্লিশ চিঠিতে তা’র সঙ্গে আলাপ যা জমেছে পাঁচ বছর মুখোমুখি থাকৃলেও বোধ হয় এত কথা বলা-কওয়া হ’ত না ; অন্ততঃ প্রিয়র মুখত ফুর্টতই না । - প্রিয়র মা প্রিয়কে ব’লে দিয়েছিলেন—“গরীবের মেয়ে বড়লোকের ঘরে পড়েছ মা, তাদের দু-পাচ কথা স’য়েই নিও ; তা’তে কিছু গায়ে ফোস্কা পড়বে না। কাউকে হিংসে-বাদ কোরো না। জা’দের ননদের ছেলেমেয়েকে সমান যত্ব কোরো, শীশুড়ী-শ্বশুরের সেবা কোরো, বাপের বাড়ীর গরীবানির কথা টেনে যদি দু' কথা কেউ বলেও তা’তে ব্যথা পেও না। সত্যিই ত আমরা গরীব মা, তবে কারুর দুয়ারে ভিক্ষে না মেগেও খাওয়া-পরাটা যে চলে যাচ্ছে এই ঢের মনে কৃরি-” প্রিয় এ উপদেশটি মন্ত্রজপা ক’রে জপতে-জপতে শ্বশুরবাড়ী এসে পা দিয়েছে। তিনটি ননদই এখন শ্বশুরবাড়ী। কেবল সেজটিই • এখানে আছে ; দুই ভাজের সঙ্গে সেই স্বর মিলিয়ে ছোট বউএর গরীব বাপের দেওয়া আসবাব বিছানা-পত্র বাসনকোসন ইত্যাদি নিয়ে হেসে কুটি-কুটি হচ্ছে, আর কথায় SS جون প্রবাল } 80: কথায় প্রিয়কে উদ্দেশ করে বলছে “হঁ্যা ভাই ছোটবে, তোমাদের দেশের মেয়েকে এইরকম খেলো জিনিষ পত্তর দেওয়ারই বুঝি প্রথা ?” মধুমতী দুই-একবার মেয়ে-বউদের ধমক-ধামক দিলেন । কিন্তু মায়ের মেজাজটা নেহাৎ ঠাণ্ড, তা’র সে ধমককে মোটেই গ্রাহ করলে না। তা’র পর একদিন একটা ব্যাপার ঘট ল যাতে একেবারে যেন আগুনে এক-কলসী ঠাণ্ড জল প’ড়ে যাবার জো হ’ল । সেদিন ছিল শনিবার, খাওয়া-দাওয়ার পর প্রিয়র হাতেব সেবা নিতে-নিতে মধুমতী একটু চোখ বুজেছেন। সেজ-মেয়ে বীণা মাকে একখানা গল্পের বই পড়ে শোনাচ্ছিল ; মাকে ধুমুতে দেখে সে হঠাৎ বড়বে নয়নতারার সঙ্গে প্রিয়র বাপের বাড়ীর তত্ত্বতালাসের খুৎ ধ’রে খোচ দিতে মুরু করলে। পাঁচ-ছয় দিন যাবৎ হাসি টিটুকিরী সহ ক’রে-ক’রে বেচারী প্রিয় আজ আর পারেনি, কেঁদে ফেলেছে। ঠিক এই সময় কলেজ ফেরৎ কেদার এসে ঘরের সামনে দাড়িয়েছে। তা’র শ্বশুর-বাড়ীকে উল্লেখ ক’রে দুই বউদিদি আর বোনের যখন-তখন ষ-ত যে ব’লে যায় তা সে ড্রান্ত । মা যে ছোটবউএর পক্ষ নিয়ে লড়াই করেন এই জেনেই সে নিশ্চিন্ত ছিল ; কিন্তু হঠাৎ এখন প্রিয়ার অশ্রু-সজল মুখখানি দেখে তা’র পৌরুষের আগুন দপ ক’রে জ’লে উঠতে এক মিনিটও দেরি হ’ল না । সে রুক্ষকণ্ঠেই ব’লে উঠল—“রাতদিন একটা মামুষের পিছনে টিক্ টক্‌ করা । নেহাৎ বাড়ীতে টিকৃতে দেবে না দেখছি, রইল তোমাদের ঘড়-বাড়ী চললাম আমি।” এই চাংকারে প্রিযুর কান্না তৎক্ষণাৎ মিলিয়ে গেল। নয়নতার আর বীণার ভয়ে হৃৎকম্প হ’তে লাগল। আর মধুমতী সাধের ঘুম ছেড়ে তখনি উঠে বসে ডাকৃতে লাগলেন “কি হ’ল রে কেদার ? কোথা যাস বাপ, ফিরে আয় ! সব বল শুনি—এ ছুড়ীগুলো নেহাৎই জালালে দেখছি।” কেদারের চলে যাবার চাইতে ফেরবার ইচ্ছেই ছিল পাচগুণ বেশী ; কেননা সবে আজ . ছদিন হ’ল বাপের বাড়ী থেকে বউটি এখানে এসেছে, প্রথম যৌবনে এই প্রথম প্রিয়া-মিলন-সম্ভোগের অবসর জুটেছে, নূতন প্রণয়-রসমুগ্ধ প্রাণ এখন রসপুর্ণ অাঙরের ন্যায়