১ম সংখ্যা J করিয়াই আমরা দেশের ও জগতের কল্যাণসাধন করিতে পারিব । ধ্বংসশীল শরীর মৃত্তিকায় মিশিয়া গেলেও
- জাতীয় আশা ও আকাজক্ষ ধ্বংস হয় না । মানসিক শক্তির .
ধ্বংসই প্রকৃত মৃতু্য । এই নিরাশার মধ্যেও যথেষ্ট আশার আলোক আছে। যখন নিশির অন্ধকার ধৰ্ব্বাপেক্ষ ঘোরতম, তখন তষ্টতেই প্রভাতের স্বচন । আপারের আবরণ ভাঙ্গিলেই আলো । কোন তাবরণে আমাদের জাতীয় জীবন তাপারময় ও ব্যর্থ করিয়াছে ? আলস্যে, স্বার্থপরতায় এবং পরশ্রীকাতরতায় । এ-সব অন্ধকারের আবরণ ভাঙ্গিয়৷ হইবে । কেলিতে যে-শিক্ষা দ্বার, এই জাতি ক্ষুদ্র ত্ব পরিহার করিয়৷ বুহত্ত্বের অন্তসন্ধান করিত, মাতা দ্বারা মনুষ্য ভয়ের অতীত ইষ্টত, সে-বীরধৰ্ম্মের অঙ্গুষ্ঠানে শক্তিহীনের দুৰ্ব্বত ভার শক্তিশালী স্বেচ্ছায় বহন করিত,-সেই শিক্ষা ও দীক্ষা এপন ও এদেশ হইতে অস্তষ্ঠিত হয় নাই ! এই শিক্ষা যেন . .ে Iমার লেখা দ্বার| সৰ্ব্বত্র প্রচারিত হয় । শ। জগদীশচন্দ্র বল্প ঞ্জ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর— ছেলেদের জন্তে বই লিপি, কিন্তু সে-বই ছবি দিয়ে সাজিয়ে দেবার ভার ও নিজে নিতে হয়। শুধু এই নয়, ব্লক তৈরি করাতে ছুটতে হয় ফিরিঙ্গীর কাছে । হাফটোন এবং থী-কলার বলে দুটাে জিনিষই তখন ছাপাখানা থেকে অনেক দূরে অজ্ঞাতবাস করছে। সেই সময়ে রামানন্দবাবুর মাথায় খেয়াল উঠলে সচিত্র প্রবাসী প্রকাশ করার ! আমি তখন তাড়ি এলাহাবাদে চার্চ -রোডে জজ সাহেবের বাংলায়, আর রামানন্দ-বাবু থাকেন ভরদ্বাজ-আশ্রমের কাছাকাছি আর-একটা বাসায়—দুজনেই প্রবাসী আমরা ! ণ্ডিয়ান প্রেসের চিন্তামণি-বাবু তখন নতুন নতুন ছাপানাটা স্বরু করেছেন। একজন হিন্দুস্থানী চিত্রকর সে ছবি fকে বই সাজাতে । বাংলার চিত্রকর সবাই ভবিষ্য তখন, কেবল সকাল হচ্ছে মাত্র। সেই সচিত্র ক পত্রের আরম্ভের যুগে সেই সময়ে রামাননা-বাবুর সাহসে ভর করে প্রবাসীর প্রথম সংখ্যার দেখা দেবার আশীৰ্ব্বাদ ও স্বস্তিবাচন ‘V আয়োজন আরম্ভ হ’য়ে গেল । সচিত্র মাসিক পত্রিকা বার করার স্বপ্ন অনেক দিন এসেছিল আমাদের অনেকের মনে, কিন্তু সে পত্রিক নিয়মিতভাবে প্রকাশের বিষয়ে সন্দেহ নিয়েই আসতে ভাবনাটা । তাই রামানন্দ-বাবু যখন নিঃসংশয়ে ছবি ছাপানোর প্রস্তাবটা আমার কাছে পাড়লেন, তখন ছোট ছোট ছেলে-মেয়েতে পরিপূর্ণ র্তার সংসারটির দিকে চেয়ে আমি বলেছিলেম, কাগজট চালাতে গিয়ে শেষ না বিপদে পড়েন । সেই প্রবাসী আর আজকের প্রবাসী সমান ভাবে চলে এল, নতুন নতুন আটিষ্ট এল ছবি দিতে ‘প্রবাসীতে’ । এ সে হ’ল তার জন্যে দায়ী আমি নয়, রামানন্দ-বাৰু। নতুন বাংলার আর্টিষ্টদের ছবি প্রবাসীতে এবং তার আল বসে তার রামায়ণে ছাপিয়ে বারে বারে সমালোচকের তাতে র্তাকে তিরস্কৃত ত’তে হয়েছে ; আর আমরা আর্টিষ্টর শুধু সে তার দৌলতে বিনি পয়সায় দেশজোড় বিজ্ঞাপন পেয়ে গেছি তা নয়, নিয়মিত দক্ষিণ কাঞ্চনমূল্য তা ও পাচ্ছি এপনে। কে ছাপতো ঘরের কড়ি দিয়ে আমাদের ছেলে-মেয়েদের হাতের ছেলেখেলার ছপি সমস্ত, যদি না প্রবাসী বার করতেন রামানন্দবাবু। কোথায় ছিল তখন নবযুগ, কোথায় বঙ্গবাণী, কোথায় ভারতবর্ষ, কোথায় বা বসুমতীর পুরস্কার । প্রবাসীর সঙ্গে গোড়া থেকেই আমার বিনামূল্যে দেওয়া এবং নেওয়া সম্পর্ক বহু বৎসর আগে সেই প্রবাসে স্থির ত’য়ে গেছে । এখনকার আর্টিষ্ট তার কেউ সত্যিই আমার ছাত্র---কেউ ছাত্র না হ’য়েও ঐ নামে চলে যায় । সবাইকে প্রবাসী বিন খরচে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে, সুতরাং তাদের সবার শ্ল’য়ে হাজ তামি প্রবাসীকে কুতজ্ঞতা জানাচ্ছি, আর আমার নিজের দিক থেকে বলছি, শোভন কীৰ্ত্তি তোমার ইউক । , শ্ৰী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্ৰী অতুলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়— লগুন আগামী বৈশাপ মাসে প্রবাসী’ পচিশ বৎসর বয়স অতিক্রম করবে। এই পচিশ বংসর, কখনও দেশে কথন ও বিদেশে, কিন্তু সৰ্ব্বদাই প্রবাসে, আমি প্রবাসী পড়েছি ও সৰ্ব্বদাই আনন্দ ও তুপ্তি লাভ করেছি। নাম। বাধা ও বিঘ্ন সত্ত্বেও আপনি মেরূপ সৰ্ব্বপ্রকারে প্রবাসীর