পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У“ е করি। আমার টাকা তখনও আসে নাই । সাত দিনের দিন প্রাতে খাবারের বিল ও পুনৰ্ব্বার বাড়ী ভাড়া দিতে হইবে বলিয়| আমি অতিশয় ব্যস্ত হইয়া উঠিলাম। সেী ভাগ্যক্রমে সপ্তম দিবসের প্রাতেই প্যারিসের বন্ধুর নিকট হইতে আমি প্রায় ২০০ লির পাইলাম। সেই সময় আমি অল্প অস্থস্থ হইয় পড়ি । যাহা হউক, একটি ডিসপেনসারীতে গিয়া নিজেই নিজের চিকিৎসা করিয়া আবার ঘুরিয়া বেড়ান আরম্ভ করিলাম । ইটালিয়ানগণ অতিশয় ধাৰ্ম্মিক। তাহাদের মধ্যে ক্যাথলিকগণ যিশুর জন্য সোণ-রূপার তৈরী হৃদয়, বহু বৎসর জালিবার উপযুক্ত রাক্ষুসে মোমবাতি ইত্যাদি দান করিয়া গির্জা গুলিকে সমৃদ্ধ করিয়া রোমের সান্ট মারিয়ার গির্জায় একটি প্রসিদ্ধ শিশুর মৰ্ম্মর-মূৰ্ত্তি আছে। তাহার এক পায়ে একটি পিতলের পাদুক পরানো আছে। এই অপূৰ্ব্ব সমাবেশের কারণ এই যে, পদচুম্বন কয়িয়া করিয়৷ ষ্টয়োরোপীয়গণ এই শিশুমূৰ্ত্তির পা ক্ষয়াইয়ু দিয়াছে। আমাদের দেশে চুম্বন সে ভক্তি প্রকাশের অস্ব নহে, ইহা সৌভাগ্যের বিষয়। আর দুষ্ট একটি স্থানের বর্ণনা করিয়াই প্রবন্ধ শেয করিব । কারাকালার মালাগারের ধ্বংশাবশেষ এক 化エtびzi I প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৩ [২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড আশ্চৰ্য্য স্থাপত্য-লীলা ! খৃষ্টীয় ২১২ অকো কারকাল এই স্বনাগার নির্মাণ আরম্ভ করেন ; এবং আলেকজাণ্ডার দেভেরাস ২২২-৩ খৃঃ অব্দে ইহা শেষ করেন । ইহার ভিতর ১৮০০ স্নানার্থীর বসিবার জন্য মৰ্ম্মর-বেদী ছিল এবং গরম ঘর, ঠাণ্ড ঘর, মদনের ঘর ইত্যাদি নানাপ্রকার স্নান ও আরাম-দানের বন্দোবস্ত ছিল । আধুনিক ইটালিয়ানগণ স্নান-সম্বন্ধে বিশেয উদাসীন। যেখানেই অধিকসংখ্যক ইটালিয়ান একত্র হয়, সেখানেই এ কথার সত্যতা স্পষ্ট হইয়া হইয় উঠে। প্রাচীনগণ মানের জন্য এত করিয়াছিলেন দেখিয়াও ইটালিয়ানগণের মনের উৎসাহ বাড়িতেছে না । রোমে প্রায় ১২-১৩ দিন হইল আসিয়াছি । লণ্ডনের ১৩ দিনের বৈকালে টাকা আসিল—শুধু নোটের একাদ্ধগুলি। আমি হতাশ হইয়। অপরাদ্ধের জন্য বসিয়া রহিলাম। ইতিমধ্যে একদিন ল। পারিওল নামক থিয়েটারে গমন করিলাম। মুক্ত বা তা সে ও চন্দ্রীলোকে বসিয়া থিয়েটার দেখিলাম । শুধু ষ্টেজ আছে, বসিবার স্থান সব খোলা মাঠের উপর। ইটালিয়ানগণ স্বভাবতই সুগায়ক । নোটের অপরাদ্ধ শেয অবধি পাইলাম । পক্ষাধিক বাস করিয়া নেপলসে চলিলাম। টাক এখনও পাই নষ্ট । রোমে শেষ শ্ৰীমুধাকান্ত রায় চৌধুরী হেথা উৎসব শেষ ক'রে চল, হোথায় নূতন আয়োজন। হেথা ফুল-ফোট সৌরভ-লোটা, হোথায় ফলের প্রয়োজন ॥ হেথা মোরা দোহে পথের যাত্রী, হোথায় বিরাম-সুখনীড় । হেথা নদী-বুকে বাহিলাম তরী, হোথায় স্যামল মধু তীর ॥ হেথা দীপ জেলে নয়নে নয়নে রূপ-মুধাপানে ছিন্থ রত। হোথা জোছনায় গভীর নিশীথে নিবিড় আবেশ আছে কত। হেথা নিশি হ’ল অবসান প্রিয়ে, পেয়ালার স্বরা হ’ল শেষ, হোথায় প্লভাতে গঙ্গার নীরে স্নিগ্ধ-জীবন-উন্মেষ ।