পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা 7 ছেলেদের পাত তাড়ি—ব্যাবিলোনিয়া ও অ্য সারি lর উপকথা মুম্মু—তুমি ত আমার অবুঝ ছেলে নও, চল তামায়তের কাছে গিয়ে তার সঙ্গে পরামর্শ করি ।” দু’জনে গেলেন অন্ধকারের অধিষ্ঠাত্রীদেবী তামায়তের কাছে, এই আলোর দেবতাদের বাড়াবাড়ি বন্ধ করবার ব্যবস্থা করতে গিয়েই তারা তাকে সাষ্টাঙ্গ প্ৰণিপাত করলেন। অপ মৃ বললেন, “হে বিশালকায়া তামায়াত, দেবতাদের মতলবে আমর ভয় পেয়েছি ; আমার দিলেবিশ্রাম রাত্রে নিদ্রা নেই । আমি তাদের শাস্তি দিয়ে এই বাড়াবাড়ি বন্ধ করব। তাদিকে শোকে দুঃপে ডুবিয়ে দেবে ত| ত’লে আমাদের আর বিশ্রামের ব্যাঘাত হবে না ।” এই কথা শুনে তামায়াত গজ্জন ক’রে উঠলেন । সেই আর সেই গর্জনে প্রবল ঝড় যেন ফু সে উঠল। আন্দোলনের ব্যথায় তিনি সমস্ত আলোকপ্রার্থী দেবতাদলকে অভিসম্পাত ক’রে অপস্থকে জিজ্ঞেস করলেন, “স্বামিন, এদের সমস্ত কাজ পণ্ড ক’রে নিৰ্ব্বিঘ্নে অন্ধকারবিশৃঙ্খলার দেশে আমাদের রাজত্ব বজায় রাখতে হ’লে কি করতে হবে ?” অপসকে লক্ষ্য ক’রে মন্ত্রী মুস্তু ব’লে উঠল, “বাব, এর শক্তিমান হ’লেও তোমার কাছে পবাভূত হবেই। তা’র যতই কেন তপস্ত করুক তোমার কাছে মাথা নত কবৃতেই হবে । তপন তুমি দিনে বিশ্রাম ও রাত্রিতে নির্বিঘ্নে নিদ্র দিতে পারবে ।” মুম্মুর কথা শুনে অপস্থর মুখ আশায় উজ্জল হ’য়ে উঠল বটে, তবু শত্রুর ভীষণ পরাক্রমের কথা মনে ক’রে ভয়ও ই’তে লাগল, তা’র পর তারা তিন জনে মিলে নান|রকমের সর্বনেশে ফন্দী আর্টুতে লাগলেন । এরা যেভাবে সমস্ত জিনিষকে ওলটপালট করতে সুরু করেছে সে ভাষণ ভয়ের কথা । সেই ছোকরা দেবতাদের দমন করাই চাই । কিন্তু ঠিক এই সময়ে সবজান্ত৷ ইয়া হঠাৎ সেখানে উপস্থিত হ’য়ে তাদের দুষ্ট মন্ত্রণ টের পেয়ে এক পবিত্র শ্লোক আ উড়িয়ে অপস্ব আর মুম্মকে বন্দী ক’রে নিয়ে গেলেন । কিংগু ছিল তামায়াতের প্রাণের বন্ধু। সে তামায়াতকে বললে, “অপসু আর মুম্মু ত বন্দী হ’ল ; আমাদের শান্তি ১৭৩ চিরতরে বিনষ্ট হ’ল । হে ঝড় ও বজ্রের দেবী, প্রতিশোধ নী ও” সেই সয়তান দেবতার পরামর্শ শুনে তামায়াত উত্তর করলেন, “তুমি আমার শক্তিতে বিশ্বাস করতে পারে ; লাগাও যুদ্ধ।” অন্ধকার নিরাকার দেশের ও অতল সমুদ্রের দেবতার সমবেত হ’য়ে আলোর দেব তাদের বিরুদ্ধে নানা পরামর্শ আঁটুতে মুরু কবুলে ; সমুদ্রে প্রবল ঢেউ উঠল ; এরা সব যুদ্ধের উল্লাসে মত্ত ; চারদিক তোলপাড় । আদি জননী শুবের অদম্য অস্ত্র-সব এনে দিলেন আর সঙ্গে-সঙ্গে ভীষণাকার এগারো-রকমের দৈত্য হুষ্টি ক’রে দিলেন—অতিকায় সাপ গুলে| চোখ-চোপা দাত ও বিষের থলি নিয়ে কিলবিল ক’রে উঠল । তাদের শরীরের রক্ত হচ্ছে বিধ । কি তাদের ফেসফোর্সানি দেখতেই বা কি ভয়ঙ্কর ! যে তাদের সেই পৰ্ব্বতপ্রমাণ শরীর দেখবে ভয়ে এমনি অভিভূত হ’য়ে পড়বে যে, তার বাচবার আশা নেই। কলসাপ, অজগর সাপ,ভয়ঙ্করী লfচাষ, ঝড়ের দৈত্য, ভীষণ কুকুর, কাকড়াবি;ছর মত ন দৈত্য, মাছের মতন দৈত্য আর পাহা’ড়ে ভেড়া প্রভৃতি স্থষ্টি হ’ল । এদের হাতে চোপচোপা অস্ত্র দেওয়া হ’ল । এরা সবাই বুক ঠুকে যুদ্ধ করবার জন্যে তৈরী হ’ল । তামায়াত ছিলেন ভারি তেজা । তার, হাকিম নড়ে ত হুকুম নড়ে না ; তিনি, কি গু তাঙ্গর সাহায্যে এসেছিল ব’লে তাকে অভিষিক্ত ক’রে শয়তান দেবতাদের সেনাপতি করে দিলেন ; যুদ্ধ-ক্ষেত্রে তা’র হুকুমই সবাইকে তামিল করতে হবে। কি গুকে রাজবেশ পরিয়ে উচ্চাসনে বসিয়ে বললেন, “আমি তোমাকে দেবতাদের উপরে প্রতিষ্ঠিত করলাম ; তুমি তাদের ওপর রাজত্ব করে । আমি তোমাকে স্বামীরূপে বরণ করছি ; তুমি শক্তিমান হও এবং স্বৰ্গ-মর্ত্যের সমস্ত দেবতাদের অতিক্রম ক’রে তোমার নাম জয়যুক্ত হোক ৷” তামায়াত কিঃগুকে অদৃষ্টের লিখনলেখা তাবিজ দিলেন, কিংগু সেটি তা’র জামার ভিতরে বুকের ওপর রেখে বললে, “তোমার আদেশ অমান্ত করে কার সাধ্যি ; তোমার হুকুম শিরোধাৰ্য্য করলাম।”