Եր প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৩ বিবিধ প্রবন্ধ, কাব্য সাঙ্গিতা, দেশ-বিদেশের কথা প্রভৃতির রচন ও সঙ্কলনে বে-আদর্শ এত দিন অল্পসরণ করিয়| আসিতেছে, তাহা ইষ্টতে যেন ভ্ৰষ্ট ন হয় । দেশের বিবিধ নৃতন সমস্যার আলোচনা ও মীমাংস আবশ্যক। তাতীত যাগ আমাদের দিয়াছিল, বৰ্ত্তমানে তাহা সখন আর নাই তখন কেবল বুপ অহঙ্কারে তাহারই বর্ণনায় মুগ্ধ না থাকিয়। ভবিষ্যতে আবার তাঙ্গ কি উপারে ফিরিদু পাওয়৷ সায় তাহা বঙ্গ চেষ্টা আবশ্যক । ভবিষ্যতের মাতুম গড়িবার, মান্সসের চলিবার পথ নির্দেশ করিবার ভার গ্রহণ করিয়া প্রবাসী তাহার পূর্ণশক্তি নিয়োগ করুক, ইহাঙ্গ তাহার পক্ষে নববর্যের সম্যক আবাহন । শী পিষঙ্গদ দেবী শ্ৰীফণীন্দ্রনাথ বস্থ– “প্রবাসী” মাসিক পত্র সে ১৬ বৎসর বয়সে পদাপণ করুল, এটি বাংলাদেশের পরম সৌভাগ্যের কথা বলতে হবে । একশ বংসর তবে বাংলাদেশে সাময়িক পত্র আরম্ভ হয়েছে, এর মধ্যে বেশীর ভাগ মাসিক প" অকালে মীর সিয়েছে । “প্রবাসী’ মে এখন ও সাধারণের প্রিয়পাত্র হ’য়ে রয়েছে, সেট। প্রবাসীর গুণ বলতে হবে । প্রবাসী প্রবন্ধ-সম্ভারের জন্য পরিচিত । কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ, মজুনাথ সরকার, ডাক্তর প্রফুল্লচন্দ্র রায় প্রভৃতি যার লেখক সেই পত্রিক ধে সাধারণের মনোরঞ্জন করবে, তা বল। বাংলা । পরিশেষে আমি প্রবাসী ও প্রবাসীর সম্পাদকের দীর্ঘ জীবন কামনা করিতেছি । --عي শী ফণীন্দ্রনাথ বসু [ শ্ৰী বামনদাস বস্থ— ১৯১১ খৃষ্টাব্দের আগষ্ট মাসে আমি আমার পত্নীর অমৃগের জন্য একমাসের ছুটী লষ্টয়া এলাহাবাদে আসি । তখন আমরা এখানকার চ্যাঠাম লাইন্সের দ্বারভাঙ্গ রিট,টু নামক বাংলায় অবস্থিতি করিতেছিলাম। সেঈ সময় সেইপামে ২রা সেপ্টেম্বর রামানন্দ-বাক্টর সহিত আমার প্রথম সাক্ষাৎ হয় । এখানকার স্বপ্রসিদ্ধ ডাক্তার অবিনাশচন্দ্র বন্দোপাধ্যায় মহাশয় তাহাকে সাথে লইয়। আসিয়৷ আমার সহিত আলাপ করাইয়। দেন। আলাপ হইবার [ ২৬শ ভাগ, ১ম খও পর রামানন্দ-বাবু আমাকে কয়েক মাসের প্রবাসী উপহার দেন। সেই বৎসরের এপ্রেল মাসে প্রবাসীর জন্ম হয় । আমাকে তিনি প্রবাসীর উন্নতিসাধনের জন্য কিছু লিখিয়৷ দিতে অতুরোপ করেণ । আমি জাতিতে বাঙ্গালী তইলে ও আমার জন্ম লঙ্কোরে, এবং শিক্ষা, কৰ্ম্ম ভূমি ও বসবাস পঞ্জাব, বোম্বাই ব| আগ্র ও অযোধ্যার যুক্ত প্রদেশেই হইয়। আসিয়াছে । আমি মুদ্রিত করিবার মত বাংলা কখনও লিপি নাই, লেপায় তত দক্ষ ও ছিলান না । ইহা রামানন্দ-বাবুকে বলায় তিনি আমার লেখার আবশ্যকমত সংশোধন করিয়| দিতে স্বীকত হন । আশার ছুটী ফুরাইয়া মা ওয়ায় তাতার সহিত আলাপ হইবার কয়েক দিবস পরেই আমাকে পুনরায় আমার কৰ্ম্মস্থান সিন্ধুপ্রদেশে প্রত্যাগমন করিতে হয় । নবেম্বর মাসে পুনরায় ছুটী পষ্টর আসি । সে-সময় পারিবারিক দুর্ঘটনার জঙ্গ রাণানন্দ-বাবুর অনুরোধ রক্ষা করিতে পারি নাই । প্রবাসীতে লিপিবার জন্য সৰ্ব্বদাই চেষ্ট৷ কিন্তু কোন বিষয় লইয়৷ লিখিব, ইহাই ছিল গবশেসে ষ্টতাই মনস্ত করিলাম, মে, বোম্বাই যাহাই হউক, করি তাম | মই সমস্ত । প্রদেশের কয়েকটি শহরের বিবরণ ও তাঙ্গদেরই ঐতিহাসিক ঘটন সম্বন্ধে লিপিব । মাননীয় শ্ৰী সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় ইতিপূর্বে “বোম্বাই-চিত্ৰ” নামক একটি পুস্তক বাংলায় লিখিয়াছিলেন । কিন্তু তাতাতে তিনি সেখানকার ঐতিহাসিক ঘটনা তত বিস্তৃত ভাবে লেখেন নাই। সেখানকার মনোরম শহরগুলিরও তেমন বর্ণনা করেন নাই । “শক্রঞ্চয় পাহাড়,” “গিরনার”, “রত্নগিরি,” “আহমদনগর’, বা “মহারাষ্ট্র নৌসৈন্ত,” অথবা মহারাষ্ট্রী ব। গুজরাটী ভাষা ও সাহিত্যের কেহই বর্ণনা করেন নাই । বঙ্গালীর নিকট এইসকল বিষয় আমোদদায়ক হইবে মনে করিয়৷ আমি সেইসকল প্রবাসীতে বাংলায় লিপিতে আরম্ভ করি। আমি যতদূর অনুসন্ধান করিয়া জানিতে পারিয়াছিলাম, কচ্ছপ্রদেশে আমার পূৰ্ব্বে কোনও বাঙ্গালী প্রবাস ব। পদার্পণ পর্য্যন্ত করেন নাই । ‘তাহার বিবরণ বাংলায় আমিই বোধ হয় প্রথম লিপিবদ্ধ করি। প্রবাসীতে এসকল ছাড়া “ইংরেজী ভাষায় বাঙ্গালী লেখক” নামক আরও দুটি প্রবন্ধ লিখি ।
পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।