পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিহার বিদ্যাপাঠ শ্ৰী প্রভাত সান্তাল গত মাসে শ্রীযুক্ত রাজগোপালাচারীর সভাপতিত্বে বিহার বিদ্যাপীঠের Iাৎসরিক উপাধি-বিতরণ-সম্ভ হইয়া গিয়াছে। ১৯১৭ খৃষ্টাব্দে মহাত্মা iান্ধী বিহারের নীল চাষীদের দুর্দশ মোচনের নিমিত্ত চম্পারণে আসেন । সই সময়ে বিহারের কতিপয় নেতা উহার সহিত সাক্ষাৎ করিয়া একটি মাষ্ঠীয় বিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব করেন। উদ্যোগীদের সঙ্কল্প ছিল যে, প্রস্তাবিত জাতীয় বিদ্যালয়ের সাহায্যে দেশ-সেবার জন্য উপযুক্ত কৰ্ম্ম ড়িয়া তোলা । বলা বাহুল্য, মহাত্মাজী প্রস্তাবটি সৰ্ব্বাস্তঃকরণে সমর্থন রেন এবং জাতীয় বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য তৎকালে কিছু অর্থও সংগৃহীত য়। কিন্তু নন কারণে ঠিক সেই সময়েই প্রস্তাবিত বিদ্যালয়টি স্থাপিত য় নাই । ১৯২০ সালে নিখিল ভারত জাতীয় মহাসভার কলিকাতার বিশেষ ধিবেশনে সরকাবের সহিত অসহযোগের প্রস্তাব গৃহীত হয় । ঐ iস্তাবের একটি ধারার নির্দেশানুসারে সরকারকর্তৃক স্থাপিত অথবা বৃকারী সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলির ছাত্রছাত্রীগণকে স্ব-স্ব স্বল কলেজ ড়িয়া আসিবার জন্য আহবান করা হয়। ঐ আন্দোলনের ফলে ভারতের ভিন্ন প্রদেশে বহুসংখ্যক জাতীয় বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। ১৯২১ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারী মহাত্মা গান্ধী পাটনা ঐরাষ্ট্রীয় মহাiদ্যালয়ের দ্বারোদঘাটন করেন । সেই সময় উক্ত বিদ্যালয়ের প্রতিtঠীগণ ঘোষণা করেন যে, "যে-সমস্ত শিক্ষার্থী সরকারী ও সরকারী iহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়সমূহ ত্যাগ করিয়া আদিতেছে, তাহাদিগকে তীিয় শিক্ষা প্রদান এবং বিহারের যুবকবৃন্দকে দেশ-সেবায় উপযুক্ত করিয়৷ ড়িয়া তুলিবার উদ্দেঙ্গে মহাবিদ্যালয় স্থাপিত হইল” । মৌলানা মজবুল ক্ল ; শ্রীযুক্ত ব্রজকিশোর প্রসাদ, শ্রীযুক্ত রাজেন্দ্র প্রসাদ প্রমুখ বিহারের বর্গকে লইয়। বিদ্যালয়ের পরিচালক-সমিতি গঠিত হয়। বিহার দীপীঠের বর্তমান অবস্থা দেখিয় বলা যায় যে, উদ্যোগীদের উদ্দেষ্ঠ নক পরিমাণে সাফল্যমণ্ডিত হইয়াছে। বিচার বিদ্যাপীঠের অন্তর্ভুক্ত অনেকগুলি জাতীয় বিদ্যালয় আছে। মধ্যে পাটনা শ্রীরাষ্ট্রীয় মহাবিদ্যালয় প্রধান । ইহা ভিন্ন ২৫টি মধ্য ও চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ৩-টি জাতীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ও ইহার প্রাথমিক, মধ্য ও উচ্চশিক্ষার নিমিত্ত স্থাপিত বিদ্যালয়সমূহে fখানে ১৮৩ জন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে ৩১•১ ছাত্র অধ্যয়ন করে। এই "ালয়গুলিতে মাতৃভাষার সাহাব্যে শিক্ষা দেওয়া হয় এবং শিক্ষাখি" মনে ঈশ্বরে ভক্তি ও দেশাত্মবোধ জাগাইবার জন্য প্রয়োজনীয় ংবাদি পাঠ করানে। হয়। কর্তৃপক্ষ ছাত্রদিগের কারু-শিল্প-শিক্ষার

  • 3 যথেষ্ট মনোযোগ দেন ।

পটনা বীরাষ্ট্ৰীয় মহাবিদ্যালয় সহরের হটগোল হইতে দূরে গঙ্গানদীর দিঘাষাটের নিকট স্থাপিত। ইহার সম্মুখ দিয়া গঙ্গা-নদী প্রবাহিত ২৩

  • ミs"*炎勾リss")を全名。ミーリ"、ミcm)%。

.দেওয়া হয় । এবং অপর তিন দিকে আম্রকুঞ্জশোভিত বহুদূরব্যাপী খ্যামল মাঠ। হঠাৎ দেখিলে বিদ্যালয়-গৃহ প্রাচীন কালের আশ্রম বলিয়া মনে হয়। বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ইহাকে আশ্রম করিবার সঙ্কল্প করিয়াছেন । বৰ্ত্তমানে অধিকাংশ ছাত্র এবং শিক্ষক মহাবিদ্যালয়-সংলগ্ন ছাত্রাবাসেই থাকেন । ছাত্রগণ ভোর ৪টায় শয্যাত্যাগ করে । তৎপরে স্বানাস্তুে তাহার। প্রার্থণা-গৃহে সমবেত হয়। প্রার্থণাস্তে কিছুকাল বায়াম করিবার পর তাহার। পড়াশুনা আরম্ভ করে । সকালে ৭টা হইতে ১১ট পর্য্যস্ত কলেজ বসে । ১১টার পর স্নানাহার করিয়া বিশ্রামান্ত্রে ছাত্রগণ পাঠাগারে সমবেত হয় । সেখানে সাময়িক পত্রিকাদি পাঠ হয় এবং ছাত্রগণ অধ্যাপকদিগের সহিত বৰ্ত্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক -সমস্যাগুলি লইয়া আলোচনা করে । এখানকার ছাত্রগণ শুধু পুথিগত বিদ্য আহরণ করিয়াই ক্ষান্ত হয় না । বেলা ২ট হইতে ৪টা পৰ্য্যস্ত প্রত্যেক ছাত্রকে কাৰ্বথানা-গৃহে কাজ শিখিতে হয়। সেখানে স্বত্রধরের কাজ, লোহার কাজ ও তাতবুনান শিক্ষা দেওয়া হয় । সাধারণ শিক্ষার সহিত কাৰ্য্যকরী শিক্ষা দিবার ব্যবস্থা করিয়া মহাবিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ প্রথম হইতেই ছাত্রগণকে আস্থনির্ভরশীল করিয়া তুলিবার প্রয়াসী । সন্ধ্যার পর ২৩ ঘণ্টা অধ্যয়ন করিয়া ছাত্রগণ আহারাদি করে । তৎপরে তাহার কিয়ংকাল রামায়ণ পাঠ শুনিয়া বিশ্রাম করিতে বায় । বিদ্যালয়-গৃহের সংলগ্ন মাঠে গাছের নীচেই সাধারণতঃ পড়াশুনা করান হয় । বর্ষাকালে এই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটে। এখানকার ছাত্রগণের নিকট হইতে কোনরূপ বেতন অথবা আtশ্রমে থাকিবার জন্ত কোনরূপ খরচ লওয়া হয় না । অধিকন্তু দরিদ্র ছাত্ৰগণ যাহাতে নিজ-নিজ হাত-খরচ চালাইতে পারে, সে-ব্যবস্থাও কর্তৃপক্ষ করিয়াছেন। পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে, শীরাষ্ট্রীয় মহাবিদ্যালয় বিহার বিদ্যাপীঠের অন্তভুক্ত এবং এখানে বিদ্যাপীঠের নির্দিষ্ট পাঠক্ৰম-অমুযায়ী শিক্ষা প্রদান করা হয় । বিদ্যালয়ে বৰ্ত্তমানে ৫ - জন ছাত্র আছে, তন্মধ্যে ১২ জন বাঙালী । এখানে হিন্দুস্থানী (হিন্দী ও উর্দু, ) ভাষার সাহায্যে শিক্ষাপ্রদান করা হয় । ছাত্রদিগকে অন্তান্ত ভাষ চর্চা করিবারও সুযোগ দেওয়া হয়। উপাধি-পরীক্ষার নিমিত্ত তিন বৎসর পড়িতে হয় । মহাবিদ্যালয়ে নিম্নলিখিত বিষয়গুলির অধ্যাপন করা হয়—ইতিহাস, রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শনশাস্ত্র, সংস্কৃত, ইংরেজী, গণিত, রসায়নশাস্ত্র, পদার্থবিজ্ঞান, হিন্দী, উর্দু, ও বাংলা । ভারতবর্ষের অন্তান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধি-পরীক্ষা (অনাস্ কোসূৰ্ণ) পাঠক্রম হইতে এখানকার পাঠক্রম সহজ নহে। এখানে দুই-একটি বিষয় নূতন-ধরণে শিক্ষা রাজনীতি শিক্ষা-সম্পর্কে প্রাচীন ভারতের রাষ্ট্রীয় জীবন ও ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রীয় জীবনের তুলনামূলক শিক্ষা দেওয়া হয় এবং ভারতবর্ষের ইতিহাসের নামে যে সকল মিথ্যা এবং কল্পিত কথা এঘাৰৎকাল প্রচারিত হইয় আসিতেছে সেগুলি অপনোদন করিবার চেষ্টাও করা হয় । মহাবিদ্যালয়ের পাঠাগারে বর্তমানে-নুমাধিক চার হাজার পুস্তক