পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२० যে সকল বাঙালী বঙ্গের বাহিরে বাস করেন, র্তাহীদের পক্ষে কৰ্ত্তব্যপরায়ণ হওয়া সহজ নহে । এক দিকে র্তাহাদিগকে বাংলার সাহিত্য এবং বাঙালীর হৃদয়মন হইতে উদ্ভূত সভ্যতার পরিচায়ক অন্য সব জিমিযের সহিত যোগ রাপিতে হয়, অন্যদিকে র্তাহীদের মধ্যে ধিনি যে-প্রদেশে বাস করেন তথাকার নিজস্ব সভ্যতাজ্ঞাপক ও প্রাগতিক সকল জিনিমের সহিতও যোগ রাখিতে হয়। কারণ, কোন স্থানেরই প্রবাসী বাঙালী সমাজের পক্ষে সমুদ্রমধ্যস্থিত দ্বীপের মত হওয়া বাঞ্ছনীয় মহে । যেখানকার জলমাটা হাওয়ার উপর নির্ভর, তাহার সহিত নাড়ীর টান থাকা স্বাভাবিক ও আবশ্যক । অতীত কালে দেখা গিয়াছে এবং এখনও কোথাও কোথাও দেখা যাইতেছে, যে, বাঙালী যেখানেই থাকুন তথাকার সাৰ্ব্বজনিক ব্যাপারের সহিত তাহীদের নেতৃস্থানীয় কতকগুলি ব্যক্তির যোগ আছে। এই জন্য প্রবাসী বাঙালীদের উভয় কৰ্ত্তব্য সম্পাদন ক্ষমতায় বিশ্বাস স্থাপন কঠিন নহে। তাঙ্গাদের অনেকে যে উভয় কৰ্ত্তব্য সম্পাদন করিতেছেন, প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মিলন তাহার অন্যতম প্রমাণ । বীরভূমে বঙ্গসাহিত্য সম্মিলন বীরভূম সিউড়ীতে এবার বঙ্গসাহিত্য সম্মিলনের অধিবেশনে শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সভাপতি হইবেন এইরূপ স্থির ছিল। কিন্তু চিকিৎসকদিগের পরামর্শে তাহাকে নিবৃত্ত হইতে হইয়াছিল। যাহা হউক, তিনি সভাপতির আসন গ্ৰহণ করিতে পারিলে কি বলিতেন, তাহার কতকটা আভাস প্রবাসীর বর্তমান সংখ্যায় প্রকাশিত তাহার “সাহিত্য সম্মিলন” শীর্ষক প্রবন্ধে পাঠকেরা পাইবেন। সিউড়ীর সাহিত্যিক সম্মিলনের বিস্তারিত বিবরণ পরে প্রকাশিত হইবে। প্রথমেই যে সংক্ষিপ্ত সংবাদ দৈনিক কাগজে বাহির হইয়াছে, তাহাতে দেখা যায়, সাহিত্য শাখার সভানেত্রী শ্ৰীযুক্ত সরলা দেবী চৌধুরানীর বক্তৃতায় স্তার আবদুর রহীমের বঙ্গভাষা সম্বন্ধীয় উক্তির সমালোচনা ও প্রতিবাদ ছিল । রহীম সাহেবের কথা যে বাঙালী মুসলমান সমাজের কথা নহে, তাহার অন্তর্গত প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড চাকরীপ্রার্থী ক্ষুদ্র একটি দলের কথা, তাহ মুসলমানেরাও প্রতিবাদ দ্বারা দেখাইয়া দিয়াছেন। বঙ্গসাহিত্য সম্মিলন অনেক বৎসর ধরিয়া হইয়া আসিতেছে। ইহার দ্বার স্থায়ী কাজ কি হইতেছে এবং কি স্বফল ফলিয়াছে, তাহ বর্ণনা করিয়া কেহ এখন একটি তথ্যমূলক প্রবন্ধ রচনা করিলে ভাল হয় । তাহার সময় হইয়াছে। a প্রবাসীর বর্তমান সংখ্যা কোন জিনিষ আদর্শের অনুরূপ করা দুঃসাধ্য । তাহার উপর কলিকাতায় দাঙ্গাহাঙ্গামা হওয়ায় আম|দিগকে নানা বাধা বিল্পের মধ্যে কাজ করিতে হইয়াছে । প্রবন্ধাদি আগে হইতেই বিস্তর সঞ্চিত ছিল, এবং বৰ্ত্তমান সংখ্যার জন্য ও আসিয়াছে অনেক । কিন্তু ডাকবিভাগের কাজ কিছুদিন স্থগিত থাকায় এই সংখ্যার জন্য অভিপ্রেত কোন কোন লেখা বিলম্বে পাইয়াছি, কোন কোনটি এখনও হস্তগত হয় নাই । অবশ্ব সবগুলি " যথাসময়ে পাইলেও ইহাতে ছাপিতে পারিতাম না, যদিও ইহা খুব বড় করা হইয়াছে । ইহার জন্য অভিপ্রেত অনেক লেখা ও ছবি ইহাতে ছাপিতে পারা গেল না । ভারতবর্ষের প্রাচীন সীমা ভারতবর্ষের ও ভারত-সাম্রাজ্যের সীমা প্রাচীন কালে মধ্য-এশিয়া পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল। সেথানে মরুভূমির বালুকার মধ্য হইতে অনেক ভারতীয় পুথি, চিত্র প্রভৃতি পাওয়া গিয়াছে। উত্তর-পশ্চিমে বর্তমান আফগানিস্তানের ও বালুচীস্তানের অনেক অংশও ভারতবর্ষের অন্তর্গত ছিল। এখন র্যাহারা পাঠান বলিয়া পরিচিত, তাহাদের অনেকেরই পূৰ্ব্বপুরুষের হিন্দু বা বৌদ্ধ ধৰ্ম্মাবলম্বী ছিলেন। সম্প্রতি পঞ্জাবের ভূতপূৰ্ব্ব নামজাদা লাট স্তার মাইকেল ওডোয়াইয়ার লণ্ডনের রয়্যাল সোসাইট অব আর্টসের সমক্ষে পঠিত একটি প্রবন্ধে বলিয়াছেন, যে, ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের অনেক সম্রাস্ত মুসলমান পরিবার রাজপুতবংশীয় ; যেমন মালিক