পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা । ۱۰۰ م . م. - بی س-------بی-مم ノe কিছুকাল ভেটেরিনারি কলেজে পাঠের পরে আবেদনের অস্তরে একটা দারুণ সমস্ত ক্রমশঃ প্রকট হইয়া উঠিতে আরম্ভ করিল। তাহার আজন্ম-সঞ্চিত জ্ঞানে আবেদন বুঝিয়াছিল যে, অ্যালোপ্যাথি মতে চিকিৎসা ও ঈশ্বরের সযত্বে স্বই প্রাণিগণকে বিষ পান করান একই কথা । তাহ ব্যতীত সার্জারির উগ্ৰস্বভাব তাহার কোমল প্রাণে বড়ই অসহ ঠেকিত। কিন্তু ঘোড়ার হাসপাতালে সবই অ্যালোপ্যাথি ও সার্জারি ; কথায় কথায় বিষবং ঔষধ-প্রয়োগ ও ছুরির্কাচি সঞ্চালন । বেচারা অবলা জীবজন্তুদিগের প্রতি এ অবিচার ও অত্যাচার দেখিয়া আবেদনের প্রাণ কাদিয়া উঠিল। একদিন সে দেখিল, একটা অশ্বতরের ক্ষুর কাটিয়া ক্টাছিয়া কি যেন করা হইতেছে। সেখানে উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচারীদিগের মধ্যে কেহ উপস্থিত ছিলেন না। আবেদন বলিল, “আরে, কেন শুধু শুধু জানোয়ারটাকে কষ্ট দিচ্ছ ; একটু খুজা থার্টি লাগিয়ে দাও, আর এক ভোজ ঘাসের সঙ্গে মেখে থাইয়ে দাও, ব্যাস, সব ঠিক হ’য়ে যাবে।” তাহার মুথের আত্মবিশ্বাসপর ভাব দেখিয়া অল্পবেতনভোগী নিরক্ষর যে লোকটি অশ্বতরের চিকিৎসায় নিযুক্ত ছিল সে অবাক হইয়া বলিল, “সে কিরকম ওমৃদ মসাই ? তাও আবার হয় নাকি ? কই, দিন ত দেখি, কেমন খুব ঠিক হ’য়ে যায়।” আবেদন তাড়াতাড়ি বাইসিক্ল চড়িয়া নিকটবর্তী এক হোমিওপ্যাথিক দোকান হইতে ঔষধটি আনিয়া দিল । খাওয়ান হইল। ক্ষুরে লাগাইবার সময় লোকটি আবেদনকে বলিল, “নিন মসাই আপনার ওস্বদ আপনিই লাগান। সেসে বলবেন লাগাবার ভুলের জন্তে ব্যায়রাম সাৰ্বল না ।” আবেদন অগত্যা অশ্বতরের নিকটে গিয়া তাহার ক্ষুরে. খুজা থাটি ঘসিতে আরম্ভ করিল। কিন্তু হঠাৎ কি হইল বলা যায় না, কার দোষে হইল তাহাও বলা যায় না, দেখা গেল পায়ের বাধন চামড়ার ট্রাপটি পা হইতে খুলিয়া ফেলিয়া অশ্বতরটি সবেগে আবেদনের প্রতি পদসঞ্চাৰন করিল। আবেদন তীব্রবেগে নিজেকে রক্ষা చి) . আবেদন পাকড়াশী MMAAMMAMMAMAMAeMAMeMeeeAMMMeAMMAMM MMAeAMAMA AMAMAMMMMASAMAMMAMSMMSASAASASAAAAASA SAAAAS AAAAA

  • २8*

ہستہ مہمحیمیہ.ہ-۔ ہم یےجمہ ہند-یہ۔ میلاحی করিবার জন্য খুজার শিশি মাটিতে নিক্ষেপ করিয়া তিৰ্য্যকৃগতিতে পলায়নপর হইল বটে, কিন্তু তাহার পৃষ্ঠে জিনের কোটের উপর অশ্বতরের খুরের একটা ছাপ, একটা মাঝারী গোছের পতন ও তজজাত কয়েকদিনস্থায়ী গাত্রবেদনা হইতে সে নিজকে বাচাইতে পারিল না। এই ঘটনার পর হইতে কলেজে তাহার খ্যাতি ছড়াইয়া পড়িল । সে সকলের নিকট হাস্যাম্পদ হইল, কলেজের প্রিন্সিপাল তাহাকে ডাকাইয়া এবিষয়ের জন্য তিরস্কারও করিলেন, কিন্তু আবেদনের নিজের হোমিওপ্যাথির প্রতি বিশ্বাস ইহাতে টলিল না। তা’র পর কিছুকাল আবেদন বিবেকের দংশন সহ করিয়াও চুপচাপ রহিল ; কিন্তু যেদিন আসন্ন-বাছুর একটি রুগ্ন গাভী করুণনেত্রে তাহার দিকে তাকাইল, সেদিন সে নিজের ভবিষ্যৎ প্রভৃতি সকল কথা তুলিয়া গাভীটিকে খড়ের সহিত এক ডোজ পালসেটিলা সিক্স-এক্স, দিয়া ফেলিল। ঘটনাচক্রে একজন পদস্থ কৰ্ম্মচারী সেই দিক্ দিয়া যাইতেছিলেন। তিনি আবেদনকে এদিকওদিক তাকাইতে দেখিয় তাহাকে জেরা করিয়া ঔষধ দেওয়ার কথা বাহির করিয়া ফেলিলেন । আবেদনের নামে রিপোর্ট হইল—আবেদন গরু-ঘোড়ার হাসপাতাল হইতে বিতাড়িত হইয়া গৃহে ফিরিয়া গেল । lo/o দিন-কতক আবেদন নিষ্কৰ্ম্ম হইয়া বাড়ীতে বসিয়া রহিল। হোমিওপ্যাথির জন্য জগতের নিকট এইরূপ অবিচার পাইয়া ও লাঞ্ছিত হুইয়া তাহার মনটি বিষাক্ত হইয়া উঠিয়াছিল। সে হোমিওপ্যাথির ফ্যামিলি বক্স ও পুস্তকাদি একটা ভাঙ্গা টেবিলের দেরাজে বন্ধ রাখিয়া তাহার জীবনের অপর অবলম্বন সঙ্গীতের উন্মাদিনী স্বরতরঙ্গে সকল-কিছু ভুলিয়া ঝাপ দিয়া পড়িল । সে সঙ্গীতকে অস্তরের বেদনা ব্যক্ত করিবার শ্রেষ্ঠ পথ বলিয়া বুঝিয়াছিল। তাই তার হোমিওপ্যাথির জন্য আত্মবলিদানের ব্যথা আজ সে ভৈরবী ও যোগিয়ার সকরুণ মূর্ছনায় ভোরের পার্থীর সঙ্গে-সঙ্গেই একতানে ঈশ্বরের চরণে নিবেদন করিল। সেই একই বেদনার উচ্ছ্বাস আবার শুনা