পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গে বক্তৃতা • শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ময়মনসিংহ মুনিসিপ্যালিটির অভিনন্দনের - প্রত্যুত্তর ময়মনসি হের পুরবাসিগণ, আজ সর্বপ্রথমে আমি .আপনাদের কাছে ক্ষম প্রার্থনা করি । আমি এই ক্লাস্ত দেহে আপনাদের আমন্ত্রণ গ্ৰহণ করে’ এপানে, এসেছি। অপেক্ষ দিন পূৰ্ব্বেষ্ট আমার আসা উচিত ছিল—মখন আমার শক্তি ছিল, স্বাস্থ্য ছিল, ঘেীবন ছিল, সেই সময়ে তাসীর প্রয়োজন ছিল—সে-প্রয়োজন এখানকার জন্যে নয়, আমার নিজেরই জন্তে । নিজের শক্তিকে, সেবাকে সৰ্ব্বদেশে ব্যাপ্ত করার থে-সার্থকতা, সে কেবল দেশের জন্যে নয়, যে সেবা করে তার নিজের পরিপূর্ণতার জন্যে ”ি আমরা ছেলেবেল থেকে কলকাতায় মালুম এবং সেই দক্ষিণ বঙ্গে জীবনের অধিকাংশ দিন কাটিয়েছি। বাংলার সম্পূর্ণ মূৰ্ত্তি আমার ধ্যানের মধ্যে ঠিল, কিন্তু প্রতাক্ষগোচর করুবার অবকাশ পাইনি। সাঙ্গকে বহু পরে বহু বিলম্বে আপনাদের দ্বারে আমি সামাব শক্তির অভােব আপনাদের জানিয়েছি । এষ্টজণ্ঠে আজ যে আমার অর্ঘ্য এনে দেশমাতার এই পূৰ্ব্ববঙ্গীয় পীঠস্থানে দেবে, তার কাছে পূজা নিবেদন করুব,সেসম্বল আমার মধ্যে নেই। কেবলমাত্র অল্প সময়ের জন্যে এসেছি আপনাদের সঙ্গে পরিচয় লাভ করব বলে । কিন্তু 이 হয়তো পরিচয় সহজে হয় না। স্থার্থ পরিচয় সেবা ও ত্যাগের দ্বারাই সম্ভব, কেবল চোখের দেখায় বা বাক্য-বিনিময়ে হয় না । যখন তীর্থদর্শন সহজ ছিল না, যখন সমস্ত পথ পায়ে পায়ে চলতে হ’ত, যথেষ্ট কষ্টস্বীকার করে যাত্রীর তীর্থে যেত, তখনই কৃচ্ছসাধনের দ্বারা তীৰ্থপৰ্য্যটনের সফলতা লাভ হ’ত । যখন অল্প সময়ে কৰ্ত্তব্য শেষ করে?

  • এই বক্তৃতাগুলি স্ত্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় সংশোধন করির ও স্থানে স্থানে স্বয়ং লিখিয়া দিয়াছেন।

ফিরে আসার কোনে গেম পথ ছিল না, তীর্থদর্শনের #ণার্থ ফল তখনই মিলত্র । এখন যেমন দ্রুতবেগে আসা তেমনি দ্রুতবেগে ফিরে যাওয়া যায় ; কেবল ক্ষণিক চোগেদেখার মিলন ঘটে, কি স্থ পরিচয় ঘটে না, ধে-পরিচয় কৰ্ম্মসাধনার মোগেই সম্ভদ । আমি আপনাদের বল্লুম যে, এই পূৰ্ব্ববঙ্গের শুমলক্ষেত্রে আমাদের বঙ্গমাতার একটি বিশেষ পীঠস্থানে আমি এসেছি । কিন্তু দেশের অধিষ্ঠাত্রীর দেখতে পাওয়া যায় না। পড়ে বাহ দারিদ্র্য, তার আশু অপূর্ণ আমরা ধারা জড়ভাবে অলসভাবে দেশে থাকি, যার সেবায় উদাসীন, ত্যাগ করতে অসমৰ্থ, তাদের কাছে দেশের পূর্ণ মূৰ্ত্তি প্রকাশ পায় না । মপন নিষ্ঠার সঙ্গে, ভক্তির সঙ্গে সেবায় ব্রতী হই তখনই আবরণ উন্মোচিত হয়—দেশের যে-ভবিষ্যৎকাল সম্পদে পূর্ণ, সৌন্দয্যে সরস, মহিমায় উজ্জল, তার রূপ দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু পিন আমাদের সেবায়ু কৃপণতা থাকে তপন কেবলমাত্র প্রাণ-ধারণের দ্বারা, ভোগের দ্বার। বৰ্ত্তমান পালটুকুর মধ্যেই বদ্ধ থাকি, ভাবাকালের রূপ প্রত্যক্ষ (ol দেবী মূৰ্ত্তি তে। সহজে আমাদের চৰ্ম্ম-চক্ষে তার হয় না, সেইজন্তে আমরা কৰ্ম্মে উৎসাহ পাই না। কুমক নিজের ক্ষেত্রে নিজে লাঙ্গল দেয়, ধান বুনে, ঘগন তার ক্ষেতে প্রথম অঙ্গরের উদগম হয় তপন সে তাকে সামান্য তৃণ বলে অবজ্ঞার চোপে দেপে না, সে-ই জানে । এর মূল্য কত ; তখন এই অপরিণত হণের মধ্যেই সে অনাগত কালেপ সফলত দেখতে পায়, এই শামল অঙ্করের মধ্যেই সে তার আনন্দিত ধ্যানের দৃষ্টিতে অস্ত্রাণের পনের সোনার রূপ প্রত্যক্ষ করে । তেমনি দেশের হিতসাধনায় ধারা স্থার্থভাবে আত্ম-সমৰ্পণ করে, তারাই ক্ষুদ্র আরম্ভের অসমাপ্তির মধ্যেই বৃহৎ পরিণতির ঐশ্বৰ্য্য স্পষ্ট"দেখতে পায়, অকৰ্ম্ম সমালোচকদের পরিহাস-বাক্যের নিরস্তর অভিঘাতেও তাদের শ্রদ্ধা অভিভূত হয় না। তার