পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 প্রবাসী—বৈশাখ, סיסיסיצ [ २७+ छान, »य थ९ মৰ্ম্মাহত ও আদলে তাহার আঙ্গুলহাড় হইয়াছে। লাং চি ফং বলিল, “মি দকৃতল গিব মেদিসিন” (আমি ডাক্তার ঔষধ দিব)। আবেদন তাহার সহিত চলিল। কিছুদূর গিয়া লাং চি ফং চীনা ভাষায় আনন্দজ্ঞাপক একটা চীৎকার করিয়া রাস্ত ছাড়িয়া প্রাস্তরের মধ্যে দৌড়িয়া চলিয়া গেল এবং অনতিবিলম্বেই কয়েকটা গাছগাছড়া হাতে করিয়া আবেদনের নিকট আসিয়া বলিল,"তু মিলিং কিওল” (দু মিনিটে রোগশান্তি ) ৷ লাং চি ফং পাতাগুলি চিবাইয়া আবেদনের আঙ্গুলে লাগাইয়া দিবার দুমিনিটের মধ্যে সত্য-সত্যই তা’র ব্যথা একেবারে সারিয়া গেল । আবেদন অবাক । সে লাং চি ফং-কে অনেক ধন্যবাদ দিল এবং অন্য কোন কাজ না থাকায় তাহার সহিত তাহার বাসায় চলিল। আবেদন দেখিয়া শুনিয়া বুঝিল যে চীন দেশটি খুব প্রকাও, তাহার সভ্যতা অতি প্রাচীন এবং দর্শন, বিজ্ঞান, শিল্পকলা, সাহিত্য, নাট্য, সঙ্গীত ইত্যাদি সকল বিষয়েই চীনারা পৃথিবীতে ‘অগ্রগামী । সে স্থির করিল চীন-দেশে গমন করিবে । লাং চি ফং আবেদনকে চীনা ভাষায় কয়েকটি কথা, একটি চীনা পোষাক ও কয়েকজন চীনা ভদ্রলোকের নিকট পরিচয়পত্র দিয়া তাহাকে দুইতিন সপ্তাহ পরে একদিন চীন-দেশে রওয়ানা করিয়া দিল । যাত্রার পূৰ্ব্বে আবেদন কাকাকে লিখিল, “যে চীন সভ্যতার চরমে পৌছাইয় সহস্ৰাধিক বৎসর হিমালয়ের মতন স্থিরভাবে চঞ্চল বহির্জগৎকে কৃপা-কটাক্ষে দেখিতেছে, সেই চীন আজ আমায় ডাক দিয়াছে। আমি চলিলাম। পিতা সন্তানপূজা করিয়া আজ আমায় জগতের চক্ষে হাস্যাম্পদ করিয়া গিয়াছেন, আবার ভ্ৰাম্যমাণ হইলাম, দেখি পূৰ্ব্বপুরুষপূজা-নিমগ্ন চীন আমায় কোন শিক্ষা দান করে।” |L/o পিকিংএ পৌছিয়া আবেদন দিন-কতক মােয়ারি করিয়া দেখিল যে চীনাদিগের কোন-কোন মহাপুরুষের মধ্যে জাতীয়তার প্রাণ জাগ্রত রহিয়াছে। নবীন চীন-দলের । প্রাণ লিয়াং চি চাও, দার্শনিকশ্রেষ্ঠ কুহুং মিং এবং নাট্যকার ও অভিনেতার রাজা বর্তমান চীনের শেকৃপিয়ার মে লাং ফং প্রথমতঃ আবেদনের দৃষ্টি আকর্ষণ করিলেন। আবেদন একটা কার্ডে নিজের নাম ও তাহার নীচে “ভ্রমণকারী ও 8s off coro” (Tourist and Volunteer Servant to the Cause of Culture ) ® *°teft ছাপাইয়া লইয়া সকলের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া বেড়াইতে আরম্ভ করিল। তাহার মহাপুরুষ-দর্শনের কাহিনী সে নিয়মিত-রূপে লিপিবদ্ধ করিয়া একটি বাংলা সাপ্তাহিকে প্রকাশ করিতে লাগিল । লিয়াং চি চাও তাহাকে বলিয়াছিলেন, “হে নবীন ভারতবাসী, তোমরা ব্রাহ্মণ ও মন্দির তুলিয়া দাও এবং প্রতিপৃহে মন্দির ও প্রতিপ্রাণে ব্রাহ্মণ্য প্রতিষ্ঠিত করে ।” আবেদন তাহাকে বলিয়াছিল,“আপনি যাহা বলিয়াছেন তাহা যথার্থ, তবে আমি বলি দুইপ্রকার বন্দোবস্তই থাকুক।” মেলাং ফং কে ভারতীয় নাট্যকলা সম্বন্ধে প্রশ্ন করায় তিনি বলিলেন, যে উহা শুধু ভারতীয় নহে এবং নাট্য নহে আর সকল কিছুই উহা হইতে পারে। র্তাহাকে আবেদন জিজ্ঞাসা করিল, “তবে কি আপনি ভারতীয় নাট্যের উপর গ্রীক সভ্যতার প্রভাবে বিশ্বাস করেন ?” মেলাং ফং বলিলেন, “কোন প্রভাবের কথা আমি বলিতেছি না, কথা হইতেছে অভাবের।” কু হুং মিংকে আবেদন সাংখ্যদর্শনের বেদনার চিরনিবৃত্তির চেষ্ট ও টাও দর্শনের “পথ” সম্বন্ধে কিছু বলিতে বলায় তিনি কিছু বলেন নাই, শুধু শিরঃসঞ্চালন করেন। আবেদন তাহাকে বলিয়াছিল যে তিনি যদি এই দুই দর্শনের মিশ্রণে টাংখ্য-দর্শন নাম দিয়া কোন নূতন মত প্রচার করেন তাহা হইলে সে র্তাহাকে সাহায্য করিতে প্রস্তুত আছে। ফু হুং মিং পুনৰ্ব্বার উভয় দিকে শিরঃসঞ্চালন করিলেন । এইরূপ অনেক “ইণ্টারভিউ”- ( সাক্ষাৎকার ) এর কাহিনী আবেদন বাংলা দেশের পাঠকদিগের কৌতুহল নিবৃত্তির জন্য পাঠাইয়াছিল। সে স্বপ্রসিদ্ধ চীনা অঙ্ক ও দর্শনবিদ বেতলা লাশেংকে কেমন তর্কে কোণঠাসা করিয়াছিল, চীনের সর্ব