পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

さbrや গ্রামের ভিতরে—আর একখানা তাঙ্গর মাঠে । যে সময়ে শস্য উৎপন্ন হয়, সে কয়মাস তাহারা মাঠে বাস ধtহাতে বহা জঞ্জর শস্ত নষ্ট না করিয়া ফেলে, করে । সেই জন্যই তপন হার সেখানে বাস করে । তারপর শশু সৎগুর্চীত হইলে তাহার! আবার গ্রামে ফিরিয়া আসে ও সেখানে আর-এক শস্যকাল পর্য্যন্ত বাস করে । পাছে বুঠং-বুষ্টং হস্তী শস্য পাইতে আসিয়া তাতাদের কোন ক্ষতি করে, এই ভয়ে তাহার। মাঠের গৃহগুলিকে প্রকা গু-প্রকা ও বৃক্ষের মাথার উপরে নিৰ্ম্মাণ করে । এই গুচ গুলিকে তাঙ্গর “বোরাং" বলে । তাহীদের গ্রামের গৃহগুলি “ছাউং" নামে পরিচিত। তাঙ্গর মাটির উপরে আবর্জনাদি ফেলিয়। ৩৪ ফুট উচু করে এবং তাহার উপরে এগুলি নিৰ্ম্মাণ করে। এগুলি দৈঘ্যে ৩০ হইতে ১৫০ ফুট পৰ্য্যস্থ ও প্রস্থে ১০ ইষ্টতে ৫০ ফুট পয্যন্ম হউয় থাকে। উভয় প্রকার গুহই ঘাস-পড় বা মাগুর দিয়া ছা ওয়া হয় । সদারদের গুহ গুলি দেখিতে অতি মনোরম ৷ গারের প্রধানত কৃষিকায্যের দ্বারাই জীবিকা নিৰ্ব্বাত করিয়৷ থাকে । তাহীদের চেহারা দেপিয়া মনে হয় যেন তাঙ্গর খুব ক্রোপী, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা নয় । তাহার খুব শালু ৪ নমস্ব ভাব । তfকাদের ব্যবহারে কোনরকম কৃত্রিমত। নাই। তাহার। কখনও প্রতি জ্ঞা ভঙ্গ করে না । যখন ভtহার মদ্য পান করে, তপন তাহাদিগকে অতিশয় প্রফুল্ল বলিয়া মনে হয়। যতক্ষণ পর্য্য স্থ জ্ঞান বিলুপ্ত ন হয়, সে পৰ্য্যন্ত তাহার ছেলেমেয়ে, স্ত্রীপুরুষ সবাই একসঙ্গে মদ্য পান করিতে থাকে, আর একযোগে নাচিতে আরম্ভ করে । তাহাদের নাচ ও অদ্ভুত রকমের । ২৫।৩০ জন লোক একজনের পশ্চাতে আর-এক জন এই রকম করিয়া দাড়ায় এবং প্রত্যেকে তাহার পূর্ববৰ্ত্তী লোকের কোমরবন্ধ ধরিয় রাখে । তারপর এক পায়ে ভর দিয়া লাফাইতেলাফাইতে চক্রাকারে ঘুরিতে থাকে, আর বাজনার তালেতালে গান করে । বাজন। সাধারণত বুড়োর ও ছেলেরা বাজয় । পুরুষদের অপেক্ষ মেয়েদের নাচ আর-একটু প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড ভিন্ন রকমের । মেয়ের নাচিবার সময় একজনের পশ্চাতে আর-এক জন দাড়ায় না—তাহারা সারি দিল্প পরস্পরের হাত ধরাধরি করিয়া দাড়ায় ও পূৰ্ব্বোক্তরূপ লাফাইতে থাকে—গানের তালে-তালে তাহার একহাত নামায়, আর সঙ্গে-সঙ্গে অন্য হাত তোলে। পৰ্ব্ব উপলক্ষে তাহীদের এই নাচ দুই-তিন দিন ব্যাপিয় থাকে । সেই সময় তাহার খুব মদ্য পান করে ও ভুরি-ভোজন করিয়া থাকে । গারোদের ভিতরে ও নকল যুদ্ধ-প্রথা চলিত আছে। তাহাদের যুবার সময় সময় ঢাল ও তরবারি লইয়। সকলের সাম্নে নিজ-নিজ সমর-শক্তির পরিচয় দিয়া থাকে । গারোর ভৌগলিক বিভাগ অনুসারে তাহাদিগকে বিভক্ত করিয়াছে, তদ্ব্যতীত তাছাদের ভিতরে ৩টি বিভিন্ন গোত্র পরিদৃষ্ট ३-१५|i, મમૌન (Momin), >{f#! # (Marak) を ও সঙ্গম (Sangma) । আমাদের থায় গারোদেরও বিভিন্ন গোত্র ব্যতীত বিবাহ হয় না ! ২৪টি ব্যতিক্রম ভিন্ন সাধারণতঃ বিবাহের প্রস্তাব মেয়ের পক্ষ হইতেই উপস্থিত করা হয়, ছেলের পক্ষ হইতে হয় না । মেয়ে প্রথম ত একটি চেলেকে পছন্দ করে ও তাই। তাতার পিত, শ্রাতা বা খুল্লতাতের গোচরীভূত করে । তখন তাহারাই বিবাহ ঠিক করে । কন্যা নিজে কখনও বিবাহ ঠিক করে না । গারোদের বিবাহ বিষয়ক আর একটি অদ্ভুত প্রথা প্রচলিত আছে। এপ্রথা কেবল গারোদের দুইটি ভৌগলিক বিভাগ-আবেং ওমেটাবেংদের ভিতরেই দেপিতে পাওয়া যায়। মেয়ের বাড়ী হইতে যখন প্রথম বিবাহের প্রস্তাব আসে, তখন প্রথমত ছেলে সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করির তৎক্ষণাৎ দৌড়াইয়া পলায়ন করে ও গ্রামের বাহিরে কোথা ও লুকাইয়া থাকে। তারপর তাহার একদল বন্ধু-বান্ধব তাহাকে খুজিয়া বাহির করে ও তাহার অনিচ্ছাসত্ত্বেও যেন তাহার। তাহাকে টানিতে-টানিতে পুনরায় গ্রামে - লইয়| আসে । তারপর আবার দ্বিতীয়বার সে পূৰ্ব্বোক্তরূপ পলাইয়। যায় ও পুনরায় ধত হইয় গ্রামে আনীত হয় । কিন্তু তৃতীয় বার যদি ছেলে পলায়ন করে, তবে বুঝিতে হইবে তাহার এই বিবাহে সম্মতি নাই ; আর নিতান্ত