পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] তাহার অস্ত্যেষ্টিক্রিয়া সমাপন করে ও তৎপরে মুত ব্যক্তির বাড়ীর সাম্নে তাহার স্মৃতি-রক্ষার্থ কাঠের স্মৃতি-স্তম্ভ প্রোথিত করে । এই স্মৃতি-স্তম্ভগুলি তাহাদের নিকট “কিমা’-নামে পরিচিত। এই "কিমা"তে মৃত মহুয়াটির মুখের প্রতিকৃতি খোদিত করা হয় । গারোরা মহাদেবের পজা করিয়া থাকে, কোন-কোন গ্রামে গারোর স্বয ও চন্দ্রের পূজা করিয়া থাকে ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় অন্ত-কোন ক্রিয়া-কলাপের পূৰ্ব্বে তাহাধের ধৰ্ম্মে সাধনার বিড়ম্বন Հե ձ বলির ব্যবস্থা আছে। এই বলির পশু সাধারণত বৃ ছাগল, শূকর, মোরগ বা কুকুর—এই বলি তাহা.ে দেবতার সামনে হইয়া থাকে, গারোরা ভূত-প্রেতে বিশ্ব করিয়া থাকে । দোষ করিলে গারোদের সাধারণত জরিমানা দিে হয়। গারোদের সর্দাররা “বুনিয়া"-নামে পরিচিত এই বুনিয়ারাই প্রায় সব বিবাদের মীমাংসা করি: থাকে । সাধনার বিড়ম্বন৷ শ্রী দেবেন্দ্রনাথ মিত্র ছাত্র-জীবন সমাপ করিম ঘরে তাসিয়৷ অমিতা মনে মনে ভাfবল, এইবার সত্যকার কাজ করিতে হইবে । কলেজে ছাত্রদিগের নিকট তাহার খ্যাতি ছিল,--সে লিখিত । ঘরের আলো বাহিরেও যেমন খানিকট ছড়াইয় পড়ে, তাহার লেখার কিছু কিছু প্রকাশিত হইয় সেই খ্যাতি কলেজের বাহিরেও তেমনি খানিক ছড়াইয়া পড়িয়ছিল। সেখানে অমিতাকে ঘিরিয়া সহপাঠিনী সঙ্গিনীগণের যে সকল মজলিস বসিত সে-সবের আলোচনার বিষয় ছিল অমিতার ভবিষ্যৎ । বাহিরে সমস্ত বাংলাদেশ জুড়িয় তাহার জন্য আসন পাত রহিয়াছে, বাহির হইয়া গ্রহণ করিতেই যা দেরি । গৃহে আসিয়া অমিতা দেখে পড়া নাই, পরীক্ষা নাই, সঙ্গিনীদের অশ্রান্ত স্তবগুঞ্জনধ্বনি চিরদিনের মতন থামিয়া গিয়াছে। যতদূর দৃষ্টি যায়, অখণ্ড অবসর ব্যাপিয়া রঙ্গিন আলো ঝলমল করিতেছে—কোথায়ও বিশ্রামহীন বিচিত্র কৰ্ম্মজীবন চোখে পড়ে না। আজ প্রথম যৌবনের ধান ছুটিয়াছে, মনে কবিত্বের রং ফুটিয়াছে, বিশ্বের সম্মুখীন হইয়া অপূৰ্ব্ব কিছু একটা করিবার ইচ্ছা অজ্ঞাতে অন্তরে জাগিয়া উঠিয়াছে। অথচ, কই করিবার মতন কাজ কি আছে ? কিছুই ত চোখে পড়ে না। তাহার যখন সময় হইল, তখন সংসারের প্রয়োজনও সব যেন শেষ হইঞ্জ গিয়াছে। কোথায়ুও কাহারও অপেক্ষ নাই । - অমিতা পিতার কাছে প্রস্তাব - , কাগজ বাহির করিবে । অমিতার পিতা নন্দ-বাবুর একটা দৈনিক কাগ{ আছে । সেই কাগজখানিই তাহার সমস্ত অবসর ঢাকি রাখিয়াছে । কন্যার উপযুক্ত বয়স হইয়াছে, লেখা পড়া; সমাপ্ত, স্বতরাং পিতার মনে স্বভাবতই তাহার বিবা{ে কথা উঠে। কিন্তু তিনি সেদিকে কিছু করিয়া ভুঞ্জিী পারেন নাই। একে ত অবসর নাই, তার ప్రొ শিক্ষিত কন্যার পাত্র নিরূপণের ভার কতটা পিত। উপর আর কতটা তাহার নিজেরই হাতে, সে বিষয়ে তিনি কিছু সিদ্ধান্ত করিতে পারেন নাই। জানাশে৷ কতবিদ্য ছেলেদের নাম মনে মনে আলোচনা করে। কাহাকেও দিব্য মনে ধরে,–কিন্তু ঐ পর্য্যন্ত। ন্তে । বিরল ছোট সংসারে একমাত্র কন্যা শূন্য নৌকার भज़नं ভাসিয়-বেড়ায়, হঠাৎ এক এক সময়ে অত্যন্ত বেশী কল্পি তাঙ্গ নজরে পড়ে। এমনি সময়ে কাগজ বাহির কবি প্রস্তাবে তিনি একটা কূল দেখিতে পাইলেন । , ঞ্জি আবার কাগজ ! কেন এইটে—_