পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] বাহিরে পাঠক অগণ্য, ভক্ত অনেক,সমালোচকেরও অভাব নাই। কিন্তু সাহিত্যের সেই বিপুল ক্ষেত্রটি দূরেই রহিল । তার হাওয়া আসে, কিন্তু দেখা মিলে না। স্বষ্টির আনন্দে জীবনের ভিতরে বাহিরে দুকূল ছাপাইয়া কোথায় পরিপূর্ণতার বান ৬াকিয়া যাইবে । কিন্তু এযেন একটি ক্ষীণস্রোত-রেখা তর তর করিয়া বহিয়া চলিয়াছে – দুইধারে বিস্তৃত বালুর চড়া ধু ধু করিতেছে। সংসারে ধোবার হিসাব, বীর সঙ্গে বকবিকি দিন ভরিয়া যেন থাকে থাকে সাজান । দিনান্তে শিশির ‘মন্দিরে’র আলোচনা লইয়া আসিলে, তবেই একটু পরিত্রাণ । সমস্ত দিন বর্ষার জল-কাদা আঁধারের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি করিবার পরে একবার একটুখানি আলোর আভাস । প্রতিদিনকার তুচ্ছতার উপরে তাহার যে কল্পনা, যে সাধন। অমিতা শিশিরের নিকটে তারই একটা পূৰ্ণাহুভূতি পাইতে চাহে । সে যখন ধরে চাল ডাল, ধোব। বী লইয়া মগ্ন ছিল, সেই সময়ে বাহিরে যেন অপূৰ্ব্ব কিছু একটা ঘটিয়া গিয়াছে। সেই ইতিহাসটি সে ইহার নিকট অবগত হইতে চাহে । তাহার সাহিত্যসাধনা বাহিরে যে আলোর চমক প্রতিনিয়ত হুষ্টি করিতেছে, সেই রূপটি বাহিরের প্রতিনিধিস্বরূপ অন্ততঃ একটি মানুষের মাঝেও প্রতিফলিত হউক । কিন্তু শিশিরের কথায় ত সারাদিনেরই সুর, অপূৰ্ব্ব কিছুর ধ্বনি নাই । সে কথায়বাৰ্ত্তায় বক্‌মক্‌ করিয়া উঠে না, সরস কথার সূক্ষ্ম স্তবে রঙ্গিন মায়ার হুষ্টি করিতে পারে না । তাহার আলাপে অৰ্চনার মন্ত্র নাই। এ-হেন সাহিত্যিকের সঙ্গে রসপিপাস্ব তরুণী কবির কাব্য গুঞ্জনে ঝঙ্কার উঠে না—কেবলই ছন্দভঙ্গ হয়। অমিত কল্পনার হাওয়ায় মাটির পৃথিবী ছাড়াইয়া বহু উৰ্দ্ধে উড়িতে চাহে। শিশির প্রতিপদবিক্ষেপে কঠিন মাটিতে ঠোক্কর থায় । অমিতা ঘা মনে করে তা হয় না । সেজন্য শিশিরকে দোষও দেওয়া যায় না, অথচ তাহার উপরে রাগও ধরে । 豪 擎 豪 অমিতা বৈষ্ণবকাব্য সম্বন্ধে একটি প্রবন্ধ রচনা করিতেছে। বিষয় পুরাতন হইলেও সে রং ফলাইয়াছে নূতন । শিশিরের কাছে তাহার মৌলিকতা যাচাই . 举 সাধনা র বিড়ম্বন৷ ३8> করিবার জন্য সে আগ্রহে অধীর । কিন্তু শিশির আসি ‘মন্দিরের আয় ব্যয়ের হিসাব আলোচনা স্বরু ক{ দিল । একটু শুনিতে না শুনিতেই অমিতার বির ধরিল। অথচ বিষয়টা গুরুতর—উড়াইয়া দিলে দায়ি হীনতার পরিচয় দিবার আশঙ্কা । শিশির থামে না এদিকে বৈষ্ণব-রস টাকা-পয়সায় ভরাট হইয় ওঠে & অমিতা শেষে অসহিষ্ণু হইয়। বলিল, যেমন দেন পাওন মিল করছেন, তাতে কবিতা না লিখে হিসেব নিযে থাকৃ: তাতেই নোবেল প্রাইজ পেতেন । অমিতার কথায়-বাৰ্ত্তায় প্রায়ই এমনি রহস্তের স্বরে সঙ্গে খোচীর তীক্ষত জড়াইয়া যায়। শিশির বিন্তি হইল না। সহস্তে বলিল, আপনার কাছে শুন-গু:ে এখন বুঝতে পারছি আমার আগাগোড়াই ভুল। বোধ হ বিধাতার ভুলেই আমার স্থষ্টি । - শিশিরকে আক্রমণ করিয়াও মুখ নাই। অমনি : আত্ম-সমৰ্পণ করিয়া পরাজয় স্বীকার করিয়া বসে তাহাতে আক্রমণ-বৃত্তি চরিতার্থ হয় না, আঘাত করিয়া স্বর্থ হয় না—কোক বাড়িয়া যায় মাত্র। অস্থিত। भt করিল খুব একটা শক্ত জবাব দিবে, কিন্তু উপযুক্ত তি, মুখে আসিল না। শুধু বলিল, আগাগোড়া ভুল হ’লে তবু ত সে একরকম ঠিক হ’ত। এযে আধখানা ভুল, আ । আধখানা ঠিক । - —আচ্ছ, আপনার প্রবন্ধটা ঠিক-আধখানাকে{ শোনান। অমিতা পড়িতে লাগিল। রস স্বষ্টি করা: তাহার কাজ, সমালোচনায় তাহ নিড়ানো এই খণ্ড" তাহাতে আবার শিশিরের বৈষ্ণবসাহিত্যে চম' দখল। অমিতা সঙ্কোচের সহিত অগ্রসর হইতেছে ত' মাঝে মাঝে বক্তব্য পরিষ্কার করিবার জন্য ব্যাখ্যা ' টিপ্পনী করিতেছে, হঠাৎ লক্ষ্য করিল শিশির পুনঃ পু । দেয়ালের ঘড়িটার দিকে চাহিতেছে । পড়ার আবেগ থামিয়া গেল। খাতাটা সরাইয়া রাখিয়া অমিত কহিল, কোন কাজের সময় হ’ল ? ল’ কলেজের ? —না।’ সে ত সকালে । অন্য একটু কাজ ছিল। পরে গেলেও চলবে। তাড়া নেই কিছু। কি পড়ছিলেন—? t —দুনিয়ায় যত কাজ সমস্ত ৰবি তাপনীল དཀའམ་”༠༥མན་ཊ་སྐང་