পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] বেকার খাটেন । ওঁর খরচ পত্র চলে কেমন ক’রে ? —খরচ পত্র ? ও কত কাজ করে তার কি কিছু ঠিক আছে ? অদ্ভুত কৰ্ম্মী । —কি, আর কি করেন ? চাকুরী ? ব্যবসা ? নন্দ-বাবু মাথা নাড়িয়া বলিলেন, চাকুরী করে না ত । ব্যবসা করবার মতন মূলধন ও আছে ব’লে ত শুনিনি । তবে — | —তবে অদ্ভুত কৰ্ম্মট কি করেন ? বলিয়। অমিতা হাসিল । —কি মে করে শিশির ?—কিন্তু ব্যবসায় র বেশ মাথা । সেবারে কেমন আগে থেকে আমার কাগজের কণ্টকটুটা ক’রে দিলে ? সাহিত্যে ও প্রগাঢ় বেণিক । অমিত হাসিয়া বলিল, ব্যবসায় মাথা তার সাহিত্যে ঝোপ । হায়রে ! কোথার মধুলোভী ভ্রমরের মপুর %8ন আর কোথায় অন্নের জন্য কোলাহল ! স্বমিতার নিশ্চিত ধারণ হইল সংসারের চাপে শিশির পাত্তর । তারই গুরুভারে তাহার সাহিত্যিক শক্তি চাপ । সে যদি মুক্তি পাষ্টত তবে সেই শক্তি তা গুনের শিখার মন ন উদ্ধৃপানে জলিয়| উঠিত। অমিতা স্পষ্ট দেখিল শিশির যেন ছাইচাপা আগুন । ছাই ঝাডিয়া ফেলিয়। তাহার স্বরূপ প্রকাশ করাইতে হুইবে । আহ ! শিশির যদি ধনী, যদি অক্ষয় কুবেরের ভাণ্ডারের অধিকারী হইত। সরস্বতীর একাগ্র তারাধনায় লক্ষ্মীর বিরূপতাই যে ওর বড় বিঘ্ন ; ক্ষণে ক্ষণে যে প্যান ध्त्र श्झ । সম্মপে কত বৃহৎ কাজ পড়িয়া আছে। তার তুলনায় ক্ষুদ্র একখানি পত্রিকার পরিচালনা তুচ্ছ, অতি তুচ্ছ। অথচ শিশির অগ্রসর হইতে পারিতেছে না। ফুল তুলিতে বাহির হইয়া উত্তরায়ের কাটা ছাড়াইতেই যে তাহার দিন চলিয়া গেল । ব্যবসাতে ওর মাথা আছে। তাই করিয়া একটু. १छ३ग्न नश्श)—क्छि यादन ! ব্যবসা বন্ধটাকে অমিতা সুণাই করিত। শিশির বাবুর ধদি ব্যবসাই করিতে হয় তবে এমন কিছু করা উচিত iাগতে অর্থাগমের সঙ্গে সঙ্গে একটা কোনও মুকুমার সাধনার বিড়ম্বন৷ 33е শিল্পও শ্রবৃদ্ধি লাভ করে। উনি যদি জয়পুর মাৰ্ব্বেলের বুদ্ধমূৰ্ত্তি গড়িয়ে জাপানে চালান দেন তবে নিশ্চয়ই খাস চলে, কিম্বা শিশিরকে অভাব হইতে মুক্ত, সমস্ত বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করিয়া স্বস্থানে প্রতিষ্ঠিত দেখিতে অমিতার ভাবুক মন ব্যাকুল হইয়া উঠিল । তাহার স্বস্থানটা কি, সে সম্বন্ধে অমিতার মনে কোনও স্পষ্ট ছবি নাই। কেবল, সেপানে বাস্তব জগতের কর্কশ কোলাহল নাই । সে আইডিয়ালের আকাশ । মুক্তপক্ষ বিহঙ্গের মতো সেখানে অবাধ ওড়া। তার বিচিত্র রূপ দেখিয়া মাটির মানুষের মন মুগ্ধ হইবে । শিশিরের সাহিত্যে উদাসীনতা দেখিয়া অমিতার মনে মে অভিযোগ ঘনাইয়| আসিতেছিল তাহা গলিয়া গেল । শিশিরের দেয কি ! সে যে জীবন সংগ্রামে বিধ্বস্ত । সে যে ভাগ্যকর্তৃক প্রবঞ্চিত । 来源 来源 来源 পরদিন শিশির আসিলে একট। পরিপূর্ণ আত্মপ্রসাদের সহিত অমিতা জিজ্ঞাসা করিল, আপনার ব্যবসাতে বেশ মাথা, না ? শিশির ঘাড় নাড়িয় বলিল, ষ্টা । যা কিছু আমার সাধ্যাতীত তাইতেই আমার বেশ মাথা । সাধ্যাতীত হবে কেন ? বলিয়া অমিত। নানা রকম রুচিমার্জিত কবিজনোপযুক্ত ব্যবসায়ের অসম্ভব অসম্ভব প্ল্যানের খসড়া হাজির করিল | শিশির হাসিয়৷ বলিল, ব্যবসাতে আমার চাইতে আপনার মাথা ঢের বেশী দেখছি। কিন্তু অকস্মাৎ সাহিত্যচর্চ থেকে ব্যবসাতে মাথা খুলে গেল কেন বলন ত? আমার ত রাতারাতি বড়লোক হবাব ফরমাস ছিল না, কাপির তাগিদ ছিল। কিন্তু আপনাকে এমন ভাবে আটুকে রাখা কি উচিত। আপনার সাহিত্যচর্চ যে টিম টিম করছে। তেলের অভাবে ত টিম টিম করছে না। দপ, দপ, করবার মতো শক্তিই নেই যে। ভগবানের রূপায়, পিতৃপিতামহের বুদ্ধিতে সে অভাব আমার তেমন নাই । অমিতা বিস্মিত হইয়া তাকাইয়। রহিল। শিশিরের