পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

戲 § §

o § বিশ্বভারতী-পরিচয় ( বিশ্বভারতী পরিষৎ-১ পৌষ, ১৩৩২, বক্তৃত। ) একদিন আমাদের এখানে যে উদ্যোগ আরম্ভ হয়েছিল সে অনেক jদনের কথা। আমাদের একটি পূৰ্ব্বতন ছাত্র সেদিনকার ইতিহাসের একটি খণ্ডকালকে কয়েকটি চিঠি-পত্র ও মুদ্রিত বিবরণীর ভিতর দিয়ে আমার সামনে এনে দিয়েছিল । সেই ছাত্রটি এই বিদ্যায়তনের প্রতিষ্ঠা থেকেই এর সঙ্গে যুক্ত ছিল । কাল রাত্রে সেদিনকার ইঠিকথার ছিন্নলিপি যখন প'ড়ে দেখ ছিলুম তখন মনে পড়ল, কী ক্ষীণ আরস্ত, কত তুচ্ছ আয়োজন। সেদিন যে মূৰ্ত্তি এই আশ্রমের শালবীথিচ্ছায়ায় দেখা দিয়েছিল, আজকের দিনের বিশ্ব ভারতীর রূপ তার মধ্যে এতই প্রচ্ছন্ন ছিল ধে, সে কারে কল্পণাতেও আসূতে পাৰ্বত না । এই অনুষ্ঠানের প্রথম সুচনাদিনে আমরা আমাদের পুরাতন অl৮ধ্যদের আহবান-মন্ত্র উচ্চারণ করেছিলেম গে-মস্ত্রে তারা সকলকে ৬েকে বলেছিলেন, “আয়ত্ত্ব সৰ্ব্বতঃ স্বাহ৷” ; বলেছিলেন, "জলধারাসকল গেমণ সমুদ্রের মধ্যে এসে মিলিত হয় তেমুনি করে সকলে এখানে মিলিত হোক ।” তাদেরই আহান আমাদের কণ্ঠে ধ্বনিত হ’ল, কিন্তু ক্ষীণকণ্ঠে । সেদিন সেই বেদ-মক্স আবৃত্তির ভিতরে আমাদের আশা ছিল, ইচ্ছা ছিল, কিন্তু আজ থে-প্রাণের বিকাশ আমরা অনুভব করছি হস্পষ্টভাবে সেটা আমাদের BBB SBK KS BB SBBSBB BBB BBKD BB BBB BB আমার জীবিতকালের মধ্যেই অঙ্কুরিত হয়ে বিশ্ব ভারতী রূপে যে বিস্তার লাভ করবে, ভরসা করে এই কল্পনাকে সেদিন মনে স্থান দিতে পারিনি । কোনো একদিন বিরাট ভারতবর্য এই আশ্রমের মধ্যে আসন পাতবে ; এই ভারতবধ—যেখানে নানা জাতি –নান বিদ },নানা সম্প্রদায়ের সমাবেশ, সেই ভারতবর্ষে সকলের জন্তই এখানে স্থান প্রশস্ত হবে, সকলেই এখানে আতিথ্যের অধিক1র পাবে, এখানে পরম্পরের সম্মিলনের মধ্যে কোনো বাধা, কোনো আঘাত থাকবে না, এই সংকল্প আমার মনে ছিল । তখন একান্তু মনে এই ইচ্ছা করেছিলেম যে, ভারতবধের আর সকপত্রই আমর। বন্ধনের রূপ দেখতে পাই, কিন্তু এখানে আমরা মুক্তির রূপকেই শেন স্পষ্ট BBB S BBBBB BBBBDSB BBBB BBBE0 0C0K BBB BBS BB আমাদেরই ভিতবে । যাতেই বিচ্ছিন্ন করে তাই যে বন্ধন । লে কারারুদ্ধ লে বিচ্ছিন্ন ব’লেই বন্দী । ভেদ-বিভেদের প্রকাণ্ড শৃঙ্খলের অসংখ্য চক্র সমস্ত ভারতবধ:ক ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন stয় পাড়িত ক্লিষ্ট ক'রে রেখেছে, আত্মীয়তার মধ্যে মানুষের যে-মুক্তি সেই মুক্তিকে প্রত্যেক পদে বাধ৷ দিচ্ছে, পরস্পর-বিভিন্ন ঠাই ক্রমে পরস্পর-বিরোধিতার দিকে আমাদের অাকর্ষণ করে নিয়ে যাচ্ছে ; এক প্রদেশের সঙ্গে অস্ত প্রদেশের অনৈক্যকে আমরা রাষ্ট্রনৈতিক বস্তু তামঞ্চে বাক্য-কুহেলিকার মধ্যে ঢাকা দিয়ে রাখতে চাই, কিন্তু জীবনের ক্ষেত্রে পরস্পর সম্বন্ধে ঈর্ষ অবস্থা আত্মপং ভেদবুদ্ধি কেবলি যখন কণ্টকিত হয়ে ওঠে তখন সেটার সম্বন্ধে আমাদের জবোধ পধ্যস্ত থাকে না। এমনি করে, পরস্পরের সঙ্গে সহযোগিতার আশা দূরে থাক, পরস্পরের মধ্যে পরিচয়ের পথও হগভীর ঔদাসীন্তেয় দ্বারা বাধাগ্রস্ত । যে-অন্ধকারে ভারতবধে আমরা পরস্পরকে ভালো ক'রে দেখতে পাইনে সেইটেই আমাদের সকলের চেয়ে দুৰ্ব্বলতার কারণ। রাতের বেলায় আমাদের ভয়ের প্রবৃত্তি প্রবল হয়ে ওঠে, অথচ সকালের আলোতে সেট দূর হয়ে যায়। তার প্রধান কারণ, সকালে আমরা সকলকে দেখতে পাই, রাত্রে আমরা নিজেকে স্বতন্ত্র করে দেখি । ভারতবর্ষে সেই রাত্রি চিরন্তন হয়ে রয়েছে। মুসলমান বলতে কী বুঝায় তা সম্পূর্ণ করে, আপনার করে, অর্থাৎ রামমোহন রায় যেমন ক’রে জানতেন, তা খুব অল্প হিন্দুই জানেন। হিন্দু বলতে কী বোঝায় তাও বড়ো করে, আপনার করে অর্থাৎ দারাশিকে একদিন যেমন ক’পে বুঝেছিলেন তাও অল্প মুসলমানই জানেন । অথচ এইরকম গভীর ভাবে জানার ভিতরেই পরস্প.ার ভেদ ঘোচে । কিছুকাল থেকে আমরা কাগজে পড়ে আসছি পাঞ্জাবে আকালী শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি প্রবল ধৰ্ম্ম-আন্দোলন জেগে উঠেছে, যার প্রবর্ত্তনায় তাঁর দলে দলে নিৰ্ভয়ে বধ-বন্ধনকে স্বীকার করেছে । কিন্তু অহা শিখদের সঙ্গে তাদের পার্থক্য কোথায়, কোন্ধানে তারা এত প্রচও আঘাত পেয়েছে ও কোন সত্যের প্রতি শ্রদ্ধাবশত তারা সেই আঘাতের সঙ্গে প্রণাস্তকর সংগ্রাম ক’রে জয়ী হয়েছে, সে-সম্বন্ধে আমাদের দরদের কথা দূরে থাক, আমাদের জিজ্ঞাসাবৃত্তি পর্য্যস্থ জাগেনি। অথচ কেবলমাত্র কথার জোরে এদের নিয়ে রাষ্ট্রীয় ঐক্যতন্ত্র স্বষ্টি করব বলে কল্পনা করতে কোথাও আমাদের বাধে না । দক্ষিণাত্যে যথন মোপ ল. দৌরাত্মা নিষ্ঠুর হয়ে দেখা দিল তখন সে সস্বন্ধে বাংলা দেশে আমরা সে.পরিমাণেও বিচলিত হইনি যতটা হ’লে তাদের ধৰ্ম্ম, সমাজ ও আর্থিক কারণ ঘটিত তথ্য জানবার জন্য আমাদের জ্ঞান-গত উত্তেজন জন্মাতে পারে । অথচ এই মালাবারের হিন্দু ও মোপ লাদের নিয়ে মহtঞ্জাতিক ঐক্য স্থাপন করা সম্বন্ধে অন্ততঃ বাক্যগত সংকল্প আমরা সৰ্ব্বদাই প্রকাশ ক’রে থাকি । আমাদের শাস্থে বলে, অবিদ্য৷ অর্থাৎ অজ্ঞানের বন্ধনই বন্ধন । একথা সকল দিকেই থাটে । ধকে জানিনে তার সম্বন্ধেই আমরা যথার্থ বিচ্ছিন্ন। কোনো বিশেয দিনে তাকে গলা জড়িয়ে আলিঙ্গন করতে পাবি কেননা সেটা বাহ, তাকে বন্ধু-সম্ভাষণ করে অশ্রপাত করতে পারি কেননা সেটাও বাহ, কিন্তু "উৎসবে ব্যসনে চৈব দুর্ভিক্ষে রাষ্ট্রবিপ্লবে রাজদ্বারে শ্মশানে চ” আমরা সহজ ঐতির অনিবার্ধ্য আকর্ষণে তাদের সঙ্গে সাযুজ্য রক্ষা করতে পারিনে । কারণ যাদের আমরা নিবিড় ভাবে জানি তাবাই আমাদের জ্যাতি । ভারতবর্যের লোক পরম্পরের সম্বন্ধে যখন মহাজ্ঞাতি হবে তথনি তাঁরা মহাজাতি হ’তে পারবে । সেই জানূবার সোপান তৈরি করার দ্বারা মেলুবার শিখরে পৌছবার সাধনা আম্বা গ্রহণ করেছি। একদা যেদিন মুহম্বর বিধুশেখর শাস্ত্রী ভারতের সর্ব সম্প্রদায়ের বিদ্যাগুলিকে ভারতের বিদ্যাক্ষেত্রে একত্র করবার জন্ত উদ্যোগী হয়েছিলেন তখন আমি অত্যস্ত আনন্ম ও উৎসাহ বোধ করেছিলেম। তার কারণ, শাস্ত্রী-মশায় প্রাচীন ব্রাহ্মণ পণ্ডিতদের শিক্ষাধারার পথেই বিদ্যালাভ করেছিলেন । হিন্দুদের সনাতন শাস্ত্রীর বিদ্যার বাহিরে যে-সকল বিদ্য আছে তাকেও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বীকার করতে পাৰ্বত তবেই যে আমাদের শিক্ষা উদারভাবে সার্থক হতে পারে, তার মুখে এ-কথার সত্য বিশেষভাবে বল পেয়ে