পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ৷ میمہ سہیمہ سہیے۔--- “উৰ্ব্বণী” 19హి দেশের আইন অনুসারে চোরের উপর প্রভুত্ব লাভ করে ক্রুদ্ধ হয়ে উজীরকে পদচ্যুত ও নির্বাসিত করলেন ; যুস্বফকে স্নেহের ক্রীতদাস করে নিজের কাছে রাখেন। মাসীর মৃত্যুর পর যুস্থফ পিতার কাছে আসে। কিন্তু তার ভাইএর ঈর্ষাম্বিত হয়ে যুস্বফকে এক মরুভূমির মধ্যে শুষ্ক কুপের ভিতর ফেলে দেয়। দাসবণিকেরা তাকে উদ্ধার করে’ মিশর দেশে তাকে বেচ তে নিয়ে যায়। মিশর রাজ্যে যুস্থফের সৌন্দর্য্যের জনরব ছড়িয়ে পড়লো। রাজা স্বন্দরকে দাস-রূপে ক্রয় করতে চাইলেন । যুস্থফের সৌন্দর্য্যের থ্যাতি শুনে জুলেখা গোপনে তাকে দেখেই তো চিনতে পারলে এই সেই তার স্বপ্নদৃষ্ট মনোহরণ ! জমালী দীদ বেশ আজ হুদ-ই ইদরাক্। চু জ। জ আলুদগী আব, ও গিল পাক্ । দেখলে সে রূপ চমৎকারী অতীন্দ্রিয় অতীত ধারণার— যেমন জীবের আত্মা পূত কাদা-জলের কলুষতার পার। জুলেখা উজীরকে দিয়ে রাজার অনুমতি নিয়ে যুমুফকে দাসরূপে ক্রয় কবৃলে । জুলেখা মনে কবৃলে সুন্দরকে যখন আমি দাস-রূপে পেয়েছি তখন তাকে আমার পাওয়া হয়ে গেছে । কিন্তু দাসের দেহই বিক্রীত হয়, তার চিত্ত তো স্বাধীন থাকে। যুম্বফ সৌন্দৰ্য্যস্বরূপ, জুলেখা ভোগাকাঙ্ক্ষা ; জুলেখা যুম্বফকে ভোগ্য রূপে চায়, আর যুমুফ পালায়,— ভোগাকাজক্ষায় সৌন্দৰ্য্য ক্লিষ্ট হয় । ঘৰ্ম্ম চীজে রগ জ। র৷ থরশিদ । কে গাহী বাশদ ও গাহী ন-বাশদ ॥ এই তো রে দুখ প্রাণকে যেনে কঁটার ঘায়ে জ্বালায়— রূপরঙ্গ এই রয়েছে, পলক ফেলতে পালায়। জুলেখা স্বামী উজীরের কাছে য়ুসুফের নামে মিথ্যা অপবাদের অভিযোগ করে যুমুফকে বন্দী কবুলে। যে ছিলো দাস সে হলো কারাগারে বন্দী। জুলেখা নিত্য রাত্রে কারাগারে গিয়ে বন্দীর অনুগ্রহ ভিক্ষণ করে, কিন্তু ব্যর্থমনোরথ হয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ফিরে আসে। রি স্তু সেই হতাশার দুঃখের মধ্যেও তার এই সাম্বন যে সে তার মনোহরণকে চোখে তো দেখে আসছে । জুলেখার মিথ্যা অভিযোগ ধরা পড়ে গেলো। রাজা چـاسـ د 8 যুমুফকে মুক্তি দিয়ে উজীর দিলেন। জুলেখা বিধবা হলো ; এখন দারিদ্র্য, দুঃখ তার অমুচর। বৈধব্যের দুঃখ প্রিয়বিরহের দুঃখ ও নিজের আচরণের অনুতাপ ও লজ্জা তাকে পীড়া দিতে লাগ লো । ( রবীন্দ্রনাথের রাজা নাটকের সুদর্শনাও অন্ধকার ঘরের রাজা ভ্ৰমে স্ববর্ণকে বরণ করে এমনি অনুতাপ ও লজ্জা ভোগ করেছিলেন ) জুলেখা পথের ধারে পর্ণকুটার বেঁধে বাস করছে, যদি কোনো দিন এই পথ দিয়ে মনোহরণ যুমুফ যায় তো সে শুধু তাকে একবার দেখে নয়ন সার্থক করবে। সে পথিক মাত্রকেই নিজের কুটারে আহবান করে আতিথ্যসেবা করে কি জানি তারই মধ্যে যদি তার য়ুস্থক ছদ্মবেশে এসে থাকে । জুলেখা শোকে একেবারে নীল হয়ে উঠলো—মিশরের শোক-প্রকাশক বস্ত্র নীল রঙের। জুলেখা বিরহে শোকে বিগত-যৌবনা শ্ৰীহীন জীর্ণ শীর্ণ হয়ে গেলো। কাদতে কঁদিতে শেষে অন্ধ হলো । এই দুঃখের তপস্যায় জুলেখার মিশর দেশী নীল শোকবাস ভারতবর্ষীয় শুভ্ৰ শোকবাসে পরিণত হলো—অর্থাৎ জুলেখার চিত্তের ভোগবাসনার কলুষ দূর হয়ে তার অন্তর শুচি নিৰ্ম্মল শুভ্র হয়ে উঠলো । তখন একদিন এই পথের ধুলার পরে অন্ধতার অন্ধকারে যুস্থফের সঙ্গে তার মিলন ঘটুলো । ( এমূনি মিলন ঘটেছিলে। অন্ধকার ঘরের রাজার সঙ্গে স্থদর্শনার। পাৰ্ব্বতী যখন মদনকে সহায় করে শিবকে পেতে চেয়েছিলেন তখন তিনি প্রত্যাখ্যানের দুঃখই পেয়েছিলেন শেষে তপস্যার দ্বারা শিবকে উপযাচক রূপে আকর্ষণ করেছিলেন । শকুন্তলাও যখন ভোগাকাজক্ষা নিয়ে রাজাকে পেতে চেয়েছিলেন তখন প্রত্যাখ্যানের অপমানই পেয়েছিলেন, কিন্তু তপস্যার পরে অমৃতপ্ত রাজাকে চরণতল থেকে তুলে নিয়েছিলেন । ) এই আখ্যায়িকাটিকে স্বফী ভক্তগণ ভগবান ও ভক্তের মিলনের রূপক রূপে ব্যাখা করতে চান। কিন্তু সে ব্যাখ্যা জানবার প্রয়োজন এখন আমাদের নেই।