পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లి ఆ ●वानी-tछाé, s००० [ ૨૭ને ভাগ, ১ম খণ্ড জোরে নিজের ঘাড়টা ঘস্তে লাগল । তার ভাই ঘাড়ের দিকে চেয়ে দেখল অনেকটা ফুলে উঠেছে। মুচিটি হেঃ হেঃ করে হেসে উঠে বললে, “কি করে’ ওটা হ’ল তা জানিস্ ফায়কুল, বুড়ী ? ওগুনো ‘স্পেনের মাছি, এই বনে কোনো গাছে বসে ছিল ; তাদের ওপোর দিয়ে বিষ্টি ঝরেছে তারই এক ফোটা তোর ঘাড়ে পড়েছে, আর তাইতেই ফুলিয়ে দিয়েছে।” মেঘের ভিতর থেকে হঠাৎ স্বৰ্য্য বেরিয়ে এলো, তার গরম আলোয় মাঠ আর তিন বন্ধুকে ভাসিয়ে দিয়ে গেলে । দেখলে ভয় হয় ঐ যে কালে মেঘট , সেট। বহুদূরে চলে’ গেছে, সঙ্গে করে’ ঝড়টাকেও নিয়ে গেছে । বাতাস এখন বেশ গরম আর স্বরভিযুক্ত ; বার্ড-চেরী, মেডে-সৃষ্টটু আর লিলী অহা-দি-হব্যালির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে । পশমের মতে দেখতে একটা ফুলের দিকে দেখিয়ে টেরেন্‌টা বললে, “নাক দিয়ে রক্ত পড়লে ওরই পাতা দিতে হয়, তাতে বেশ উপকার হয় ।” তারা একটা বঁশির আওয়াজ আর একটা গুড় গুড় শব্দ শুনতে পেলে, কিন্তু ঝোড়ে মেঘ যে রকম গুড়গুড় শব্দ বয়ে নিয়ে গেছে এটা সে রকম ময় । টেরেনট, ডানিলকা ও ফীয়কুল দেখল যে একটা মাল গাড়ী পাশ দিয়ে ছুটে যাচ্ছে। এনজিনটা হাপাতে হাপাতে কালে ধোয় ছাড়তে ছাড়তে তার পিছনে থান কুড়িরও বেশী গাড়ী টেনে নিয়ে চলেছে । এর ক্ষমতা বিশাল । ছেলে মেয়ে ফুটোর জানতে ভারী আগ্রহ যে কি করে এই এনজিন,— যার প্রাণ নেই—, ঘোড়ার সাহায্য না নিয়ে, চলে ও এত মাল টেনে নিয়ে যায় । টেরেনট এটা তাদের বুঝিয়ে দিতে অগ্রসর হ’ল, সে বলতে লাগল, “বাস্পই এ সব কবৃচে রে,.বাস্পই কাজটা করে...দেখচিস্ট, চাকার কাছে ঐ জিনিসটার নীচে কি রকম জোরে ধাক্কা দিচ্ছে বাষ্প ? আর এটা, .এই দেখছিল, ...এই চাকাটা চলছে...” তারা রেল লাইন পার হ’য়ে গিয়ে বঁধে থেকে নাবতেনাবতে নদীর দিকে যেতে লাগল। তারা ষে কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তা নয়, এলো মেলো ভাবে এদিক ওদিক ঘুরছে, আর সমস্ত রাস্তায় গল্প করতে করতে চলেছে...... ডানিলকা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে আর টেরেনট সে সবের উত্তর দ্যায়। টেরেন্ট তার সব প্রশ্নেরই জবাব দিচ্ছে, প্রকৃতিতে এমন কোনো রহস্য নেই যা তাকে পরাস্ত করতে পারে । সে সব জানে। যেমন ধর, বনের সমস্ত ফুল, পার্থী ও পাথরের নাম সে জানে। কোন লতাপাতায় অসুখ সারে তা সে জানে। ঘোড়া বা গরুর বয়স বলতে তার আটকায় না । স্বৰ্য্যাস্তের দিকে, চাদের দিকে বা পার্থীর দিকে দেখে সে বলে’ দিতে পারে পরের দিন আকাশের অবস্থা কি রকম থাকৃবে । আর বাস্তবিক শুধু যে টেরেনটাই এত বিজ্ঞ তা নয় ; সিলান্ট সিলিচ, সরাইওয়াল, বাগানের মালী, মেষপালক, আর সাধারণ ভাবে বলতে গেলে সকল গ্রামবাসীই, ও যতটা জানে, তা সবই জানে। এ সব লোক বই পড়ে শেখেনি, এরা শিখেছে মাঠে বনে নদীর কুলে ; এদের শিক্ষক ছিল, ঐ পার্থীরাই যখন তারা এদের গান গেয়ে শোনাতো, ঐ স্বৰ্য্যই যখন সে অস্ত গিয়ে রেখে যেতো একটা টকূটকে লালের আভা, ঐ গাছগুলোই, ঐ বুনো লতাপাতা গুলোই । ডানিলক টেরেনটীর দিকে চেয়ে চেয়ে দেখছিল আর তার প্রতি কথাটি পেটুকের মতে গিলছিল । বসন্তকালে মানুষ যখন গরমে এবং মাঠের একঘেয়ে সবুজে শ্রান্ত হ’য়ে পড়েনি, যখন সব জিনিস তাজা ও স্বগন্ধে ভরপুর, কে এই সোনালি মে-বাঁটুলের কথা, এই সারস পার্থীর কথা এই কলনাদিনী স্রোতস্বিনীর কথা আর ধান গাছে শীষ ধরার কথা শুনতে না চাইবে ? তাদের মধ্যে দুজন, মুচি আর ঐ বাপ-ম-মরা ছেলেটা মাঠে মাঠে ৰেড়াচ্ছে আর অনবরত কথা বলে চলেছে। তার শ্রান্ত হয়নি, এ রকম লক্ষ্যহীন হয়ে সারা জগৎটাময় তারা ঘুরে বেড়াতে পারে। তার হাটুছে আর হাটুছে, আর জগতের শোভা নিয়ে গল্প কবৃতে-কবৃতে লক্ষ্যই করছে না ধে সেই ক্ষীণ ছোট্রো ভিখারী-মেয়েটি তাদের পিছনে হোচোট খেতে খেতে চলেছে। ইপিয়ে পড়েছে সে, আর কেবলই পিছিয়ে পড়ছে। চোখে তার জল টল্টল করছে ; শ্রান্তিহীন এই পৰ্য্যটকদের থামাতে পারলে সে স্বধীই হবে, কিন্তু