১ম সংখ্যা ] ছাতনায় চণ্ডীদাস S్చలి চণ্ডীদাসের সমাধি চারিদিকে বেষ্টনী প্রাচীরাবশেষ-সমন্বিত তিন চারি বিধা সমচতুসোণ ভূমি ; ইহাই এখানে “বাসলী-স্থান’ নামে খ্যাত, এবং এখানকার লোকের দৃঢ় নির্দেশ অনুসারে এই ভূমিই চণ্ডীদাসের পদঃরজে পবিত্রিত, চণ্ডীদাসের প্রেমের সাধনায় পূত, চণ্ডীদাসের অতুল সঙ্গীতে মুখরিত। প্রাচীরের পূৰ্ব্ব ও পশ্চিম দিকে দুইটি প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত দ্বার ; পশ্চিমেরটি বড় এবং যত্ন-নিৰ্ম্মিত কারুকার্য্যযুক্ত ; শুনিলাম উহা ছিল মুখ্য দ্বার। বাসলী যাহার প্রতিষ্ঠিত, যাহার কুলদেবতা, সেই ছাতনারাজ নিত্য হস্তী আরোহণে বাসলী-মন্দিরে আসিতেন ; দ্বারের একটু দূরে এক পার্শ্বে হস্তী বাধিবার প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত আলান ( স্তম্ভ ) আজিও শৃঙ্খলচিহ্ন বুকে ধরিয়া দাড়াইয়া রহিয়াছে। স্তম্ভটি দৃঢ়রূপে প্রোথিত । পূর্কের দ্বারটি খিড়কীর দ্বার, পশ্চিমেরটি অপেক্ষ ছোট। উহারই ঠিক সম্মুখে মাত্র কয়েক হস্ত দূরে “বাসলীপুকুর” বা “শাখাপুকুর” । “বাসলী-স্থানে”র দক্ষিণে পচিশ ত্রিশ [ শ্ৰীযুক্ত সাগরচন্দ্র দে মহাশয়ের গৃহীত আলোকচিত্র হইতে হাত দূরে “ধোবাপুকুর”, রাণী-ধোপানীর নামের সহিত জড়িত ৷ “বাসলী-স্থানে’ স্থানীয় কোন লোক আজি পৰ্য্যন্ত জুতাপায়ে প্রবেশ করেন না, ভগ্নাবশেষ প্রাচীর খুলিয়া দিতে কেহই সাহস করিলেন ন, বাসলী ও চণ্ডীদাস বিষয়ক ব্যাপার তাহদের কাছে এতই সত্য, এতই পবিত্র। বাসলী-স্থানের মধ্যে দুইটি বড় ভগ্নস্তুপ দেপিলাম, একটি সদর দরজার সম্মুখে,অন্যটি স্থানটির ঈশান কোণে । শুনিলাম সদর দরজার সম্মুখের স্ত,পটি নাটমন্দিরের এবং ঈশান কোণেরটি দেবী মন্দিরের ভগ্নাবশেষ। এখনও পোত ঠিক আছে বলিয়া মনে হইল । দেবী-মন্দিরের ভগ্নাবশেষের নিকটেই দেখিলাম কয়েকটি বিশ্ববৃক্ষ ; শুনিলাম এগুলি চওঁধুসের রোপিত বিল্ববৃক্ষের বংশধর, তাহার শিকড় হইতে উৎপন্ন পুত্র-পৌত্র-প্রপৌত্র ; গাছগুলির কণ্টকবিহীনতা এবং তাহাদের ফলের ক্ষুদ্রতা দেখিয়া গাছগুলিকে প্রাচীন হঠতে ইষ্টক
পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।