পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] অনুবাদিত) । ক্রেডিট সমিতিগুলির ভিতরের নানাবিধ গলদ চোখে iাঙ্গুল দিয়া দেখাইয়া দিয়া তিনি উক্ত রিপোর্টে আরও বলিয়াছেন, এইসকল বিবেচনা করিয়া দেখা যাইতেছে, যে, কো-অপারেটিভ , fঙ্কগুলির কার্য্য-প্রণালী ক্ৰমে-ক্রমে যাহাতে অধিকতরভাবে Commerjal Bankingএর আদর্শ ও কাৰ্য্য-প্রণালীর অনুসরণ করে, তাহার ্যবস্থা করা একান্ত আবশ্যক হইয়া পড়িয়ছে। বস্তুতঃ কো-অপারটিভ ব্যাঙ্কগুলি বৰ্ত্তমানে যে-অবস্থায় উপনীত হইয়াছে, তাহতে নামানতকারীদিগের স্বর্থরক্ষার জন্য বিশেষ সতর্কত অবলম্বন করিয়া লিতে হইবে, (অনুবাদিত) । এখন পাঠক বুঝিয়া দেখুন, যাহার tামান্ত ক্রেডিট সমিতি চালাইতে যাইয় গলদঘৰ্ম্ম হইতেছে, হঠাৎ তাহাদর হাতে সেন্টাল ব্যাঙ্ক পড়িলে উহ। কতদিন সাধারণের বিশ্বাসগজন থাকিবে এবং ঐ ৫ কোটি টাকার কি দশা হইবে ? ৫ । পুর্ণবাবু কি জানেন না, যে, সাধারণ অংশীদারগণ যে-প্রতিনিধি নর্বাচন করেন, উহাদের দ্বারা সেন্টাল ব্যাঙ্কের কার্য্য স্বপরিচালিত হুইবার সস্তাবনা নাই দেখিয়াই অনেক স্থলে রেজিষ্ট্রীর নিজেই বাহিরের লাক নিযুক্ত করেন, র্যহাদের ব্যাঙ্কের ইষ্টানিষ্টের সঙ্গে কোন যোগ নাই। কান-কোন স্থলে সাধারণ মেম্বরদের দ্বারা উক্তপ্রকার লোক নিযুক্ত করাইয়া লয়েন । সুতরাং “কারবারের কর্তৃত্বভার তাহার অংশীদারগণের উপর স্বাস্ত” করার ওজুহাতে কারবারটি সরকারের হাতে যাইয়াই পড়ে। দুই বিড়াল মাখনথগু লইয়। যে বানরের কাছে উপস্থিত হইয়ছিল, পূর্ণবাবু তাঁহারই অভিনয় করিতে যাইতেছেন। সুতরাং ধনিককে বাদ দিয়া শ্রমিকের উন্নতি সাধন করার কল্পন সমবায়ের উদ্দেষ্ঠের মধ্যেই আদিতে পারে না, কেননা, তাহ উভয় পক্ষেরই অনিষ্টকর। ৬। পূৰ্ণবাবু কত কথাই বলিয়াছেন ; উহার আরও একটি অপসিদ্ধান্তের উল্লেখ না করিয়৷ পার গেল না। সাধারণ আমানতকারীর ধারণা এই যে, সেন্টাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের পশ্চাতে সরকার রহিয়াছেন। সেইজন্ত লোকে ভাবে, উহাতে টাকা আমানত করা সপুর্ণ নিরাপদ ; সেইজন্তই টাকার এত আমদানি। যেদিন এই প্রস্তি ধারণা ঘুচিয়৷ যাইবে, আমদানিও থামিবে, তখন বৰ্ত্তমান অবস্থার এই বিশুদ্ধীকরণের চেষ্টাই অধিকরতভাবে ব্যাঙ্কগুলির সর্বনাশ সাধন করিবে । তাই পুর্ণবাবুকে বলি-রজনী ধীরে । i শ্ৰী ধীরেন্দ্রনাথ চৌধুরী | _ “দিল্লীতে ‘ফাল্গুনীর অভিনয়” গত বৈশাখের প্রবাসীতে দিল্লী বেঙ্গলী ক্লাবের উদ্যোগে যে ফান্ধনীর অভিনয় হয়েছিল, তার সম্বন্ধে উহার প্রধান উদ্যোগ-কঞ্জ শ্ৰীযুক্ত ধীরেন্দ্রনাথ গুপ্ত মহাশয় একটি প্রবন্ধ লিখেছেন। প্রবাসী বাঙ্গালী দিল্লীতে ‘ফান্ধনী অভিনয় করতে সাহস করেছিল এবং সে-অভিনয় সুন্দর হয়েছিল একথা শুনে ভারতে প্রত্যেক বাঙ্গালীরই আনন্দ হয়। যারা এর উদ্যোগী ছিলেন, তার নিশ্চয়ই ধন্যবাদের পাত্র ; কিন্তু গুপ্ত মহাশয়ের প্রবন্ধটি পড়ে’ দু’একটি কথা যা মনে হয়েছে তা না লিখে পারছি না। প্রথম কথা, আজ পয্যন্ত কোন অভিনয়—কোথাও কি হয়েছে যাকে perfect বলা চলে এবং যার কোন সমালোচনা সম্ভব নয়? রবীন্দ্র । লাখের নিজের অভিনীত ফাল্গুনীর সমালোচনা করতে লোকে ছাড়েনি এবং আমি বিশ্বাস করি কবি রবীন্দ্রনাথ একথা স্বীকার করবেন যে, অভিনয়ও আরও ভাল হ’তে পারে। এর কোন standard নেই, মাহব নিজের রুচির অনুযায়ী অভিনয়ের ভাল-মন্দ বিচার করে থাকে। ীি ধরে নেওয়া যায় যে,দিল্লীর অভিনয় সৰ্ব্বাঙ্গলের হয়েছিল, তবুও কি আলোচনা-পরিচ্ছদ-বিপ্লব e(tó: আমরা আশা করি যে, প্রত্যেক দর্শকের সত্ত্ব এক হবে ? যদি তা’ না হয়, তবে হয় তার অর্বাচন"হরিণ-শিশুর দলের” অথবা "জ্ঞানের চশমাধারী” পণ্ডিতের দলের। গুপ্ত মহাশয় চাবুক হাতে করে তাদের শাসন করতে এসেছেন দেখে হাদিও পায় এবং দুঃখও হয় । হাসি পায় এইজন্য যে, দিল্লীতে ‘ফান্ধনী’র রসগ্রহণ করতে হয়ত এক গুপ্ত মহাশয়ই পেরেছেন, এই ভাবটির প্রকাশ দেথে দুঃথ হয়, যে, তিনি দৈব কারণে দিল্লীতে না থাকলে এমন জিনিসের ভাব ও রস গ্রহণের লোক থাকৃত ন৷ দিল্লী-সহরে । হায় ভগবান! মানুষ যদি বুঝতে পাবৃত কোথায় তার নিজেকে প্রকাশ করার ইচ্ছ। এবং সে-প্রকাশের জম্বা সে কি নী করতে পারে । দ্বিতীয় কথা । যারা সমালোচনা করেছেন, তার যে শুধু দোষ বের করার জন্যই করেছেন এ ধারণা কি করে” গুপ্ত মহাশয়ের মাথার প্রবেশ করল, তা বুঝলাম না। কৰ্ম্মকৰ্ত্তারূপে তিনি চাবুক হাতে করে’ শিক্ষণ দিতে না বেরিয়ে যদি তিনি ভাল ভাবে সমালোচনা গ্রহণ করতেন, এবং ক্রটিগুলি স্বীকার করতেন তবে ভাল হ’ত । একথা তার বোঝা উচিত ছিল যে, জ্ঞানের চশমা যার নাকে দিয়েছিলেন, তারা রবীন্দ্রনাথের "ফাল্গুনী”কে তার চেয়ে কম বোঝেন না । তাদেরও বাঙ্গালীর প্রাণ এবং সে প্রাণ “ফাগুন লেগেছে’র স্বরে মেতে ওঠে। সমস্ত বুঝবারও রস-গ্রহণের ক্ষমত একজনের, এ কথা ভাবা অসৌজন্য ছাড়া অন্ত-কিছু নাম দেওয়া যায় না, বিশেষতঃ তিনি নিজে অধ্যক্ষ হ’য়ে নিজের প্রশংসা করা নিতান্ত অশোভন হয়েছে। তৃতীয় কথা, যদিও সামান্ত কথা, তবুও না বলে’ দিলে হয়ত পাঠকবর্গ ঠিক ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন না, তাই বলছি । বেঙ্গলী ক্লাব পয়সা নিয়ে অভিনয় করেছেন। দু’টাকার কম খরচ কারও হয়নি এবং যার বেঙ্গলী ক্লাবের সভ্য নন তাদের ঠিক্‌ দু’টাকার উপযুক্ত অভিনয় হয়েছে কি না একথা বলার নিশ্চয় অধিকার আছে। “সিন উঠতে বিলম্ব কেন হ’ল” এ সমালোচনা শুনে চটে” না গিয়ে অস্বাভাবিক বিলম্ব হওয়ার দরুণ ক্রেট স্বীকার করে নেওয়া উচিত ছিল । বাঙ্গালী আমরা, সবাই জানি কত কষ্ট করে’ এই অভিনয়ের আয়োজন হয়েছে। ক্রটা হওয়াই স্বাভাবিক এবং সেজন্ত কেউ কিছু মনে করেনি বা কেউ অসৎ অভিপ্রায়ে সমালোচনা করেনি । একথা মনে ভেবে নিয়ে কতকগুলি অৰ্ব্বাচন ছেলেকে শাসন করতে চেষ্টা কর৷ অত্যন্ত অশোভন হয়েছে এবং আমি বাঙ্গালী ক্লাবের সভ্যরূপে উার এই ছেলেমামুর্ঘীর প্রতিবাদ করছি। আমাদের অভিনয়কে আমরা defend না করাই সঙ্গত ছিল। ভাল বলাবার এ উপায় নিশ্চয়ই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট উপায় নয়, এই কথা বলে আমার বক্তব্য শেষ করছি। দিল্লীপ্রবাসী বেঙ্গলী ক্লাবের জনৈক সভ্য পরিচ্ছদ-বিপ্লব এই বৎসরের চৈত্রের পত্রিকায় ঐযুক্ত উপেন্দ্রনাথ দাসগুপ্ত মহাশয় যে পরিচ্ছদ-বিপ্লব-শীর্ষক এক প্রবন্ধ লিখিয়াছেন, সে-সম্বন্ধে কিছু প্রতিবাদ করিতে চাই । (১) তিনি প্রথমতঃ বলিয়াছেন যে, এদেশে জাৰ্য্যগণের আসিবার পূর্বে কি কোল, ভিল প্রভূতি, কি দ্রাবিড় কেহই পরিচ্ছদ ব্যবহার জানিত না । উলঙ্গ অবস্থায় থাকিত ? কিন্তু গ্রাবিড়গণ যে আর্য্যগণের আসিবার পূৰ্ব্বেই এক উচ্চ সভ্যতার ভূষিত ছিল, তাহ নিম্নলিখিত ঐতিহাসিকগণের মত হইতেই স্পষ্ট প্রমাণিত হইবে ।