পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা । पूर्वश्ष्ठान অল্প সময়ের জন্যও বন্ধ রাখিতে আইনতঃ বাধ্য নহে। অবশু আপোসে তাহা রাখা যাইতে পারে । অতএব মুসলমান নেতাদের বুদ্ধিমান ও বিবেচক হওয়া দরকার । - খিলাফৎ সমিতির লম্ব চৌড়া কথা দিল্লীতে খিলাফত সমিতির অধিবেশনে খুব লম্বা চৌড় গরম গরম কথা হইয়া গেল । উষ্মাটা এই ভাবে বাহির হইয়া গিয়া মেজাজ ঠাণ্ড হইলে মুখের বিষয় হইবে । বালকের আঁধারে পথ চলিতে চলিতে কোথাও ভূত আছে বলিয়৷ অমূলক ভয় পাইলে কখন কখন উচ্চস্বরে কথ। বলিয়া বা জোর গলায় গান করিয়া সাহস দেখাইতে বা ভয় ভূলিতে চায়। খিলাফতীদের লম্বাচৌড় কথা এই জাতীয় নহে ত? মহম্মদ আলী গান্ধীকে সধৰ্ম্মী করিবেন খিলাফং সমিতির অধিবেশনে মহম্মদ আলী বলিয়াছেন, তিনি সেই দিনের প্রতীক্ষা করিতেছেন, যে দিন তিনি গান্ধীকে কন্ম পড়াইয়া মুসলমান করিবেন। আর্য্যসমাজী কেহ সেই দিনে গান্ধীর “বিশাল ভাই” শোকৎ আলীকে শুদ্ধি দ্বারা হিন্দু করিবার জন্য প্রস্তুত থাকুন। শুদ্ধি ও সংগঠনের উদ্দেশ্য অহিন্দুকে হিন্দু কর নূতন নহে, প্রাগ ঐতিহাসিক সময় হইতে চলিয়া আসিতেছে ; যদিও ইহার প্রণালী খৃষ্টিয়ান ও মুসলমান প্রণালী হইতে ভিন্ন ছিল। ইহাতে মুসলমানদের রাগ করা উচিত নহে । তাহাদের পক্ষে অন্যধৰ্ম্মাবলম্বীকে মুসলমান করা যদি গহিত না হয়, তাহা হইলে অন্য ধৰ্ম্মাবলম্বীর পক্ষেও মুসলমানকে সেই ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করা অন্যায় নহে। মুসলমানের। যদি বহুশতাব্দীব্যাপী স্বধৰ্ম্মবিস্তার-চেষ্টা দ্বারা হিন্দুত্বের উচ্ছেদ সাধন প্রয়াস না করিয়া থাকেন, তাহা হইলে হিন্দুত্বের প্রসার চেষ্টাও ইসলামের উচ্ছেদ সাধনের জন্য করা হইতেছে না। হিন্দু সংগঠন হিন্দু সংগঠনের খুব প্রয়োজন আছে। কিন্তু এই চেষ্টাকে সফল করিতে হইলে যাহ করা দরকার, সে . বিবিধ প্রসঙ্গ—ধনপ্রাণ রক্ষার জন্য জরুরী আইন 8 e > সম্বন্ধে নেতারা ও অনুচরেরা যেন আত্মপ্রতারিত না হন । অস্পৃশ্বত ও অনাচরণীয়তা ত সম্পূর্ণরূপে নষ্ট করিতেই হইবে, অধিকন্তু পঞ্জাব প্রাদেশিক হিন্দু সভার অধিবেশনে সভাপতি ডাক্তার মুঞ্জে যাহা বলিয়াছেন, তাহাও পূর্ণ মাত্রায় করিতে হইবে। যথা, “হিন্দুসমাজভূক্ত সকল জাতের সামাজিক অধিকার, বিশেষ সুবিধা এবং সামাজিক মৰ্য্যাদা সমান হওয়া উচিত, ধাহীতে কোন জা’ত অন্য কোন জা’ত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ বা নিকৃষ্ট বিবেচিত না হয় ।” এতদ্ভিন্ন তিনি বাল্যবিবাহের সম্পূর্ণ উচ্ছেদ চান, এবং আখাড়া প্রতিষ্ঠা ও তথায় লাঠিখেলা অসিশিক্ষণ আদি চান । নিঃসন্তান অল্পবয়স্ক বিধবাদের বিবাহ দেওয়াও অত্যাবশু্যক । ধনপ্রাণ রক্ষার জন্য জরুরী আইন কলিকাতায় দাঙ্গাহাঙ্গামা হওয়ায় গবন্মেটি একটি জরুরী আইন করিতে চাহিতেছেন । তাহার তাৎপৰ্য্য এই —সরকার যদি মনে করেন, যে, গুরুতর দাঙ্গাহাঙ্গামাআদি কারণে কলিকাতা ও তৎসমীপবৰ্ত্তী স্থানে লোকের ধনপ্রাণ বিপন্ন হইয়াছে বা হইবার আশঙ্কা হইয়াছে, তাহ হইলে তিন মাসের অনধিক কালের জন্য অতিরিক্ত ক্ষমতা গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং তখন এই জরুরী আইন জারী হইবে । তাহার বলে পুলিশ কমিশনার ও জেলাম্যাজিষ্ট্রেট দাঙ্গাহাঙ্গামার স্বষ্টিকারী বা উত্তেজনাকারী ব্যক্তিকে দুই বৎসরের অনধিক কালের জন্য প্রেসিডেন্সীএলাকা হইতে কিম্বা, সে ব্যক্তি বাংলার অধিবাসী না হইলে, বাংলাদেশ হইতে নির্বাসিত করিতে পারিবেন। তাহা করিয়া ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাংলা গবন্মেণ্টের কাছে রিপোর্ট দাখিল করিবেন। এরূপ জরুরী আইনের প্রয়োজন স্বীকার করি না । পুলিশ ও ম্যাজিষ্ট্রেটের হাতে যথেষ্ট ক্ষমতা আছে। এবং এরূপ আইনের অপব্যবহারের খুব সম্ভাবনা আছে। কিন্তু যদি সৰ্ব্বসাধারণের প্রতিবাদ সত্ত্বেও আইন করা হয়, তাহা হইলে এইরূপ বিধিও করা উচিত, যে, বহিষ্কার বাংলা গবন্মেণ্টের অমুমোদনের পর হইবে, এবং বহিষ্কারের আগে বহিষ্কৃত ব্যক্তি হাইকোর্টে আপীল করিতে পারিবে এবং সেই আপীল হাইকোর্টকে অবিলম্বে নিম্পত্তি করিতে হুইবে ।