woje স্বপরিচিত । শুনিয়াছি, যে সাতটি গ্ৰীকনগরীর পথে পথে জীবন্ত হোমর ভিক্ষাপাত্র লইয়। ঘুরিতেন তাহাদের প্রত্যেকেই মুত হোমরের অধিবাসিত্ব দাবী করিয়াছিল। বাকুড়া ও বীরভূম উভয়েই চণ্ডীদাসকে আপনার করিয়া লইবার চেষ্টা করিতেছেন । চেষ্ট যাহাই হউক, শেয পৰ্য্যস্ত সত্য জয়যুক্ত হউক, ইহাই বাঞ্ছনীয় । * শ্ৰী সত্যকিঙ্কর সাহানা মন্তব্য চণ্ডীদাস-সম্বন্ধে নানাজনে নানাকথা লিখিয়াছেন। সে সমস্ত একত্র করিয়া বিদ্বং বল্লভ শ্রী বসন্তরঞ্জন রায় মহাশয় তাহার সম্পাদিত ও বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিযং হইতে প্রকাশিত শ্ৰীকৃষ্ণকীৰ্ত্তন-নামক গ্রন্থে পাঠকের গোচরে আনিয়াছেন। তাহাতে দেখি, চণ্ডীদাস-সম্বন্ধে স্থিরনিশ্চয় হয় নাই। দেশ, কাল, পত্র,--এই তিন বিষয়ের জ্ঞান ন হইলে সে জ্ঞান অস্থির । তার্কার প্রচলিত পদ হইতে পাক্ট, তিনি লড় ছিলেন, দ্বিজ ছিলেন, বাসলী-দেবী তাষ্টার উপাস্ত মাতৃ-স্বরূপ। ছিলেন, বাসলীর বরে ও আদেশে তিনি রাধাকৃষ্ণ-বিষয়ক পদ রচনা করেন, নানুর গ্রামের মাঠে, গটের নিকটে বাসলীর স্থান ছিল। অর্থাৎ তিনি (বড়— বঢ় ) অবিবাহিত ব্রাহ্মণ ছিলেন, এবং বাসলী মায়ের পূজ৷ করিতেন, নান্নবের মাঠে । এখানে একটা আশ্চর্য্য কথা আছে । তিনি বাসলীমঙ্গল না রচিয়া পরে সাহা সখী-সংবাদ নামে গ্যাত হইয়াছে, সেইরূপ গান গাইলেন। পূবকালে অনেক কবি স্বপ্নাদেশ পাইয় গান রচিয়াছিলেন ; চণ্ডীদাসও আদেশ পাইয়াছিলেন ; কিন্তু যাঙ্গর আদেশ, তাছার মহিম গাইলেন না ; যাহার গাইলেন, তিনি কবির উপাস্ত নহেন, যে-ভাবে গাইলেন, তাহাতে ঈশ্বরভক্তির লক্ষণ নাই । ইহার উত্তর তাইার প্রচলিত পদ হইতে পাই । তিনি সহজ সাধন করিতেন, রামী রজকিনীর সহিত তাহার প্রসক্তি ছিল । এই হেতু তিনি রাধাকৃষ্ণের প্রবাসী-বৈশাখ, ১৩৩৩
- যদি কেহ এসম্বন্ধে অনুসন্ধান করিতে ইচ্ছা করেন তাহা হইলে, আমাকে ‘বাঁকুড়া'র ঠিকানায় পত্র দিলে তাহার এখানে থাকিবীর বা ছাতনা যাইয়া বাসলীস্থানাদি দেধিবার সমস্ত ব্যবস্থা বিশেষ আনন্দের সহিত করিয়া দিব ।
[ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড প্রেমলীলায় আক্লষ্ট হইয়াছিলেন এবং সে-লীলাবিকাশে সিদ্ধ হইয়াছিলেন। কিন্তু ভজন-সাধন, বিশেষত: তন্ত্রোক্ত সাধন যেমন গৃহ তেমন গোপ্য ; চণ্ডীদাস যে সে কথা গাহিয়৷ বেড়াইতেন, ইহা সহজে বিশ্বাস হয় না। পরকীয় প্রীতি বা কোন নিবোধ স্বয়মুখে প্রচার করিয়া থাকে? সহজিয়াদিগের এ রীতি নয়। চণ্ডীদাস সহজ-সাধক ছিলেন, এবং রামী তাহার নায়িক হইয়াছিল। এই ঘটনা ধরিয়া অষ্টে পদ রচনা করিয়া চণ্ডীদাসের ভণিত জুড়িয়া দিয়াছে । শ্ৰীকৃষ্ণ-কীৰ্ত্তনে এই প্রসঙ্গ আীে নাই। নীলরতনবাবুর অশেষ যত্নে সংগৃহীত পদাবলীর শেষে রাগাত্মিক পদে’ সাধন-প্রকরণ আছে বটে, কিন্তু, সে-সব-পদ যে চণ্ডীদাসের তাঙ্গ বলা দুরুহ। কারণ পোগের পরিভাষায় বর্ণিত ইষ্টলেও লোকসমাজে নিন্দনীয়, এবং তন্ত্রমতে দূষণীয়। এখানে বাসলীর উপদেশ-ছলে চণ্ডীদাস গর, সাজিয়াছেন । গোপিচাদের গানে যোগ বিষয়ে এইরূপ উক্তি-প্রত্যুক্তি আছে, ছন্দে ও মিল আছে । অথচ জানি সে-সব গোপিচাদের নয়, কবির। এখানেও সেক্টর,প হইয়া থাকিবে । চণ্ডীদাসের কাল-সম্বন্ধে ইষ্ট স্থির যে,তিমি চৈতন্য মত। প্রভূর পূবে ছিলেন । অর্থাৎ ১৪০৭ শকের পূবে ছিলেন বোধ হয় আর একটু যাইতে পারা যায়। বিদ্যাপতির সহিত চণ্ডীদাসের মিলন হইয়াছিল । বিদ্যাপতি মহারাজ শিবসিংহের সময়ে ছিলেন, এবং শিবসিংহ ১৩২২ শবে রাজা হন। অতএব চণ্ডীদাস এই শকে ছিলেন, এব: চৈতন্য দেবের প্রায় একশত বৎসর পূবে জন্মগ্রহণ করিয়৷ ছিলেন । সে অীজ পাচ শঅ সাড়ে পাঁচ শত বৎসর এইরূপে যে কাল পাইতেছি, তাহার সহিত অন্য দুই এক লিখিত প্রমাণের মিল হইতেছে। যেমন,বিধুনেত্র পঞ্চবাণ— ১৩৫৫ শকে চণ্ডীদাস ৯৯৬ পদ রচনা সমাপ্ত করেন। ইতাপ দশবৎসর পরে পণ্ডিত কৃত্তিবাসের জন্ম হয়। চণ্ডীদাস কোন দেশের মানুষ, কোথায় বাসলীর পূক্ত: কপিতেন ? এতকাল শনিয়া আসিতেছি, বীরভূমের নাম্নী । নামক গ্রামে যে, এখন প্রশ্নটা নূতন ঠেকিতেছে। কিন্তু পুরান টাকাও বাজাইয়া দেখা ভাল। নায়ুর যেখানে হউক, সেখানে বাসলী চাই । আশ্চর্যের বিষয়, বীরভূমের নান্নরে বাসলী নাই ! যিনি আছেন, তাইার নাম