পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8®२ খৃঃ মিশরে আরম্ভ হইয়৷ ইহা কনষ্টান্টিলেপল হইয় পুনরায় ইয়োরোপে গিয়াছিল। ১৬৬৫ খৃঃ ইংল্যাণ্ডে মহামারীরূপে ইহা আত্মপ্রকাশ করে। তক্রপ প্লেগ তথায় আর কখন হয় নাই ; লণ্ডন সহরেই লক্ষাধিক লোক মারা যায়। ষোড়শ শতাব্দীতে ইহার প্রাদুর্ভাবে ইয়োরোপে ভয়ঙ্কর মড়ক হইয়াছিল। ১৭৬৯ খুঃ কষ-তুরস্ক যুদ্ধের পর বৎসর, রুষিয়া দেশে আবিভূর্ত হইয় ইঙ্গ বহু লোকক্ষয় করিয়াছিল। তদবধি ইয়োরোপ ইহার বিশেষ লীলাভূমি। অধুনা মধ্যে মধ্যে ঐ মহাদেশে ইহ সংস্থার মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া থাকে । ৫৪২ খৃঃ প্লেগ মিশরদেশে আরম্ভ হইয়৷ আফ্রিকা মহাদেশে প্রায় পঞ্চাশ বৎসর ছিল । ক্রমে সমগ্র আফ্রিকায় বিস্তুত হইয় এসিয়৷ মহাদেশের চীন, পারষ্ঠ ও আরব দেশে ইহা আবির্ভূত হয় । ১৮৮১ খৃঃ চীনদেশে ভয়ঙ্কর মড়ক হইয়াছিল। ১৮৯৪ খৃঃ হংকং হইতে ক্রমশঃ বুদ্ধি হইয়৷ পূৰ্ব্ব ও দক্ষিণ দিকে প্রসারিত হইয়। ক্রমে সমগ্র পুথিবী পরিব্যাপ্ত করিয়ছে । অতি পুবাকালে প্লেগ এদেশে আবিভূত হইয়াছিল। অনেকে বলেন চীনদেশ হইতেই প্লেগ প্রথম ভারতবর্ষে আসিয়াছে । দ্বাদশ শতাব্দীতে ভারতে প্লেগের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয় । ১৩৩৪ খৃঃ দিল্লীর পাঠান নরপতি মহম্মদ তোগলকের সময় ভারতে প্লেগ প্রবেশ করে । ১৩৯. পূঃ আফগান সর্দার টাইমুর যখন দিল্লীনগরে নরশোণিত প্রবাহিত করেন, সেই সময় দুর্ভিক্ষের সহিত প্লেগের আবির্ভাব হইয়াছিল । ১৫৭৫ খৃঃ প্লেগ বঙ্গের প্রাচীন রাজধানী গৌড় নগরের সর্বনাশ করিয়াছে। ১৬১০ খৃঃ মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময় দিল্লীতে মহামারীরূপে ইহ দেখা দিয়াছিল । ১৬৬৪ খঃ স্বরাট বন্দরে আবির্ভাব হয়। ১৬৮৯ খৃ: বোম্বাই সহরে ইহার লীলার প্রথম অভিনয় হইয়াছিল। ১৮১২ খৃঃ কচ্ছ, কাথিয়ার, গুর্জর এবং সিন্ধুদেশ ইহার দৌরাত্ম্য হয়। ১৮১৫ খৃঃ ইহ হিমালয় প্রদেশের কুমায়ূন অঞ্চলে উৎপাত করিয়াছিল । ১৮২৩ খঃ কমায়ুনের অন্তর্গত গড়েীয়াল প্রদেশে প্লেগ বহুদিন অবস্থিতি করে । ১৮২৯ থ: দিল্লী, রোহিলখণ্ড ও তৎনিকটবৰ্ত্তী প্রদেশে ইহার আবির্ভাব হয়। ১৮৩১ খঃ মাড়েtয়ারের অন্তর্গত পশি এবং রাজপুতানার অস্তান্য স্থানে ইছ ভীষণ মূর্ষি ধারণ করিয়াছিল। ১৮৩৬ খৃঃ ভারতের পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে প্লেগ আবিভূর্ত হইয়া, তথা হইতে রাজপুতনার পালিনগর ধ্বংস করে । সেই সময় এই মহামারী হিমালয় অতিক্রম করিয়া তিব্বতে প্রবেশ করে এবং তথা হইতে চীনদেশে ব্যাপ্ত হয় । ১৮৯৫ খৃঃ চীনদেশ হইতে পুনরায় ভারতে পদার্পণ করিয়াছিল। ১৮৯৬ থঃ ইহার আবির্ভাব হইলে ভারতের প্রায় ২৫০০ লোকের মৃত্যু হয় । ১৮৯৭ খঃ বোগদাদ নগর হইতে প্লেগ ষ্টীমারষোগে বোম্বাই সহরে আগমন করে। উক্ত বৎসর প্লেগ কলিকাত সহরে আবিভূত হইয় ভীষণ সংহারমূৰ্ত্তি ধারণ করিয়াছিল। সেই সময় বহু লোক সহর পরিত্যাগ করেন । ঐ বৎসর সমগ্র ভারতে প্রায় ৫৬ • • • লোক ক্ষয় হয় । ১৮৯৮ ૨: ه ه و د: آقچه ه با,8 ه, د: به هه باد : ۹ تا هه ۹۰ تا ۵ و دا ९: ৯৩.১৫ জন; ১৯০১ খ: ২,৭৩,৬৭৯ জন । ۹۰۰۰۰وه: بهه هد জন ;

g ۰۰۰. ه هوا: ۹ ه. هد

১২,৮৬,০ ও ৩ জন ; ১৯০৬ খ ; ৩,৩২,০ • • < জন প্লেগে মারা পড়ে এবং ১৯০৭ খ: প্লেগ প্রচণ্ডমূৰ্ত্তি ধারণপূর্বক প্রায় ১৫ লক্ষ ভারতবাসীকে গ্রাস করিয়াছে। তদবধি ভারতে প্লেগ চিরস্থায়ী হইয়া রহিয়াছে । ভারতবর্ষে প্লেগে প্রতি বৎসর গড়ে প্রায় দেড় লক্ষের উপর লোক মৃত্যুমুখে পতিত হইতেছে। অধুনা বীরজননী পঞ্চনদ প্লেগের লীলাভূমি। ভারতে প্লেগ আত্মপ্রকাশ করিবার পর হইতে, এই প্রদেশে যত লোকক্ষয় প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩৩৩ ১৯৭৪ খ: ১৭,২২,২৯৯ জন ; ১৯৯৫ १: [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড হইয়াছে, তদ্রুপ আর অঞ্চ কোথাও হয় নাই। তথার প্লেগ এত অধিক পরিমাণে হয় যে, সময়ে সময়ে আদালতের কার্য্যাদি বন্ধ করিতে হয় । কলিকাতা, বোম্বাই, মাত্ৰীজ, পাঞ্জাব, দিল্লী, স্বরাট, পুনী, পাটনা, ভাগলপুর, করাচী, উত্তর পশ্চিমাঞ্চল প্রদেশ প্রভৃতি নানা স্থানে মধ্যে মধ্যে ইহার প্রকোপ হইয় থাকে। অধুনা ইহা পল্লীগ্রামে পৰ্য্যস্ত বিস্তর লাভ করিয়াছে। বঙ্গদেশে শীতের শেষে ও বসন্তকালে অর্থাৎ জানুয়ারী হইতে এপ্রেল পয্যন্ত ইহার প্রকোপ অধিক হইয় থাকে। বাঙ্গালায় প্রতি বৎসর গড়ে প্রায় ত্রিশ হাজার লোক এই রোগে মরিতেছে। অীর ম্যালেরিয়ার ত কথাই নাই ! অনেকে সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে, ইন্দুর হইতে প্লেগের পরিব্যাপ্তি হয়। এক জাতীয় কীট বা পিশু ইন্দুরকে আশ্রয় করিয়া থাকে। তাহদের দংশন দ্বার প্লেগৰীজ ইদুরের দেহ হইতে মনুষ্য শরীবে সংক্রমিত হয় । ইংরাজ পণ্ডিতের বলেন, যে-স্থানে দরিদ্র্য ও দুৰ্ভিক্ষ সেই স্থানেই ইহর আধিপত্য ! রোগীর বস্থাদি অবলম্বনপূর্বক প্লেগ দেশ-দেশাস্তরে গমনাগমন করে । চীন৷ পণ্ডিতের বলেন, যাহার মুখ ভূমির যত নিকট, সে তত শীঘ্র প্লেগ রোগাক্রান্ত হয়। ডাক্তার রসেল বলেন, ইহা সংক্রামক এবং পালাজ্বরের স্যায় বিস্তারিত হইয়া সময় বিশেষে প্রবল হয় । ( স্বাস্থ্য-সমাচার, চৈত্র ১৩৩১ ) শ্ৰী সুরেন্দ্রমোহন বস্ত্র ক্রীতদাসের ‘ফারক”-পত্ৰ সম্প্রতি ময়মনসিং জেলায় কিশোরগঞ্জ থানার অধীন মেীজ ঘোষপাড়ার একটি জমী সংক্রান্ত মামলা কিশোরগঞ্জের হাকিম ত্রযুক্ত স্ববোধচন্দ্র সরকার মহাশয়ের এজলাসে বিচারের জন্ত উপস্থিত হ’য়েছিল । এই মামলার স্বপক্ষে ও বিপক্ষে যে-সকল কাগজপত্র ও দলীল প্রভৃতি দাখিল হয়, তার মধ্যে একশত বৎসর পূর্বের এমন একখানি দলীল , পাওয়া গেছে, যা থেকে বেশ বুঝতে পারা যায় যে, এত অল্প দিন পূৰ্ব্বেও এদেশে দাস-দাসী ক্রয়-বিক্রয় ও মুক্তি দেওয়ার প্রথা প্রচলিত ছিল । এই দলীলটি একখানি ‘ফারক-পত্র অর্থাৎ ছাড়-পত্র। এতে দেখা যায় যে, ১২৩২ সালে ৬ই মাঘ তারিখে নন্দীপুর নিবাসী ত্রীরামশঙ্কর দেব, স্ত্রীরামকিশোর দেব ও ঐরামরতন দেব তাদের পৈতৃকমনুষ্য অর্থাৎ ক্রীতদাস জীরণরাম ঘোষকে তার দ্বাসত্ব থেকে মুক্তি দিয়ে যারক-পত্র লিখে দিচ্ছেন। এই রণরাম ঘোষের সহিত শ্ৰীযুক্ত রাজকৃষ্ণ নদী মহাশয়ের ক্রীতদাসী শ্ৰীমতী আমরা দাসীর শুভ বিৰাহ স্থির হওয়ায় উপরিউক্ত রামাদি দেবগণ উদের মনিীর দস্তুরী বুঝে নিয়ে তাদের মনুষ্যটিকে এই ছাড়পএ লিখে দিয়েছেন । মাত্র একশত বৎসর পূর্বেও বাঙ্গালাদেশে যে ক্রীতদাস ও ক্রীতদাসীর অস্তিত্ব ছিল--এই দললিখনি থেকে সেট নিঃসন্দেহরূপে প্রমাণিত হয় ; এবং ইংরাজ গভর্ণমেণ্ট ওযে সে-সময় এই দাস-দাসী ক্রয়-বিক্রয় অনুমোদন করিতেন এবং এসংক্রান্ত দলীলপত্রও যে তখনকার আদালতে গ্রাহ্য হত, এসংবাদটাও জানতে পারা যায় আলোচ্য দলীলখানির উপর ইংরাজ ধৰ্ম্মাধিকরণের ১৮২৫ খৃঃ অন্ধের শীলমোহর ছাপ দেখে।