পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ԳՀ যায় ; ( কালি এত ঘষিতে হইবে যেন ঘষিবার পাত্র নিঃশেষ হইয়া তলানি হষ্টয়া যায় ; অর্থাৎ কিনা খুব কাজ করিতে হইবে ) । দিন ধরিয়া জলের অনুশীলন করিতে হইবে । পাহাড় পাঁচ দিল আঁকিতে হুইবে । দশহাজার পুস্তক অধ্যয়ন করিতে হইবে, এবং দশ হাজার লি ষ্ঠাটিতে হইবে । ( শিল্পীকে অনেক গ্রন্থ পড়িতে হইবে, এবং বহু দেশভ্রমণ করিতে হইবে । সে শিল্পের সমালোচন অথবা চিত্রের ইতিহাস তাহাতে জানিতে পরিবে ! প্ৰকতির সে স্বাভাবিক আকৃতির অনুশীলন করিবে । ইহাতে তাহার জ্ঞানের চর্চ। হইবে ) ! * বিরুদ্ধবাদী হয়ত বলিবেন, ওকি ! আর্টের উপর ব্যাকরণ, আর্টিষ্ট কোন দিনই ব্যাকরণ মেনে চলে না। কারণ বাহিরের প্রকৃতি ও আটি ষ্টের হুষ্টি এক নয় । আর্টিষ্ট প্রকতি থেকে উপাদান গ্রহণ করে কল্পনার রংএ রঙিয়ে একেবারে নূতন জিনিষ হুষ্টি করে, যার সঙ্গে প্রকতির কোনো সম্বন্ধ নেই। বিখ্যাত আট-ক্রিটিকু অস্কার ওয়াইল্ড বলেছেন, ‘আট’ ভিতরে পূর্ণ বিকাশ লাভ করে ; বাহিরে নহে। বাইরের কোনো সাদৃশ্যের পরিমাপ দ্বারা তাহাকে বিচার করিলে চলিবে না । আট মুকুর নহে বরঞ্চ অবগুণ্ঠন । তার ধে পুষ্প, তা কোনো কাননে ফোটে না, তার যে পাখী, তার সন্ধান কোনে বনভূমিতে মিলে না । আট বহু জগৎ ভাঙ্গে এবং গড়ে । নিৰ্ব্বাচন এবং বাহুল্য দ্বারা আটের রূপ প্রকটিত হয় । আট আমাদের স্বকীয় আত্মার ঘনীভূত রূপ ভিন্ন অন্য কিছু নহে । কথাটা খুবই সত্য । আমিও মানি, আট মানে নকল করা নয় । কিন্তু কল্পনার ফুল ফোটাতে হ’লে বস্তুর গঠন ( form ) esąs Sf3 fx foiềzi ( character ) fągają করে জানা দরকার । আর্টিষ্ট যদি ফুলের আকারপ্রকার না জানল, তবে তার লালিত্য ফোটাবে কি রকমে ? চীনা বা জাপানী আটিষ্ট তুলির দুই টানে ফুল, লত, পাতা,আকাশে উড ডীয়মান পার্থীর ঝাক অবলীলা

  • Raphael Petrucci & Rosso Encyclopedia de la Peinture Chinoise gɛtʊ wrists i

প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড ক্রমে একে ফেললে । এটা কি কেবল নিছক কল্পনার জোরেই সে আকুল, তা নয় ; আগে তার ওসকল বস্তু ভাল ‘ষ্টাডি’ করা ছিল, আকার এবং বিশিষ্টতার ভাল জ্ঞান ছিল, তাই এত সহজে এরকমে একে ফেলতে পেরেছে । আমাদের না আছে বস্তুর জ্ঞান, না আছে ষ্টাডি, অথচ রাতারণতি একট। নাম-করা আর্টিষ্ট হ’য়ে যেতে বাসনা । একজন ইংরেজ সমালোচক কবিদের সম্বন্ধে লিখেছেন, “কবিদের কবিতার ভিতর যে কেবল inspiration ব। অনুপ্রেরণ আছে, তাহা নহে ; তার ভিতর কিছু perspiration বা ধৰ্ম্মও আছে”—অর্থাৎ কিনা কবি হ’তে গেলে পড়াশুনা ও পরিশ্রমের প্রয়োজন আছে ; চিত্রকরদের সম্বন্ধেও একথা ঘাটে । আমাদের এখনকার আর্টিষ্টদের কাজের ভিতর inspiration er E frf zil giffe, zil,ftig perspiration একেবারেই নাই । র্যাফেল পাটরুসি লাওটুসের লিখিত ‘চিত্রকলার মূলস্বত্রের’ উপর যে টিপ্পনি করেছেন, তাতে লিখেছেন “প্রথম হইতেই শাস্ত্রকার ( লাওটুসে ) অঙ্কন-রীতিকে ( technique ) oil (inspiration ) হইতে নিম্নে স্থান দিয়াছেন । কিন্তু আবার এই কথাও তিনি প্রথম হইতে বলিতেছেন যে, অঙ্কন-রীতিকে যথেষ্ট পরিমাণে আয়ত্ত করিতে হইবে । যে তাহ পারে না, সে নিজেকে প্রকাশ করিতে অক্ষম, এবং তার কাছে অনুপ্রেরণার কোন মূল্য নেই। প্রথম উচিত এক মূল নীতি অবিচলিতভাবে অমুসরণ করা, এবং পরে বিচার পূর্বক সমস্ত পরিবর্তনের মধ্যে প্রবেশ করা।”(লাওটুসে ) লিওনার্ডও তার চিত্র-সম্বন্ধীয় পুস্তিকায় বিশেষভাবে বলেন যে, "এই রূপের জগতের তত্ত্ব গুলি আপনা আপনি আসিয়া উপস্থিত হয়, তাহাদিগকে আয়ত্ত্ব করিয়া, ইহাকে অনুশীলন করিতে হইবে, এবং যে উপায় সমূহ দ্বারা শিল্পী নিজেকে প্রকাশ করিবে, তাহাই প্রথম দেখিতে হইবে ।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা জানি যে দৃষ্টিশক্তি দ্রুতগামী এবং এক মুহূৰ্ত্তে অসংখ্য রূপ দৃষ্টিপথে পতিত হয়। কিন্তু এক সঙ্গে একটা