পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] 8%য় পশ্চিম হইতে পণ্ডিতগণকে নিমন্ত্রণ করিয়া লইয়। %, তখন সেই পণ্ডিতগণের দৃষ্টি সেই ভূমিকম্পপ্রপীড়িত দশের এই নিদারুণ উৎপাতের দিকে আকৃষ্ট হয় । এবং ঙ্গে-সঙ্গেই ভূমিকম্প সম্বন্ধে গবেষণা ও আলোচনাদির জ্য একটি সমিতি গঠিত হয়। বস্ত্রাদিরও উন্নতিসাধিত ভূইয়। বৰ্ত্তমানে কম্পনের পরিমাণ- মাপক অতি উৎকৃষ্ট যন্ত্র নিৰ্ম্মিত ও ব্যবহৃত হইতেছে । তাহার সাহায্যে দেখা ধায় যে, ভূমিকম্পের সংখ্য। পূৰ্ব্বে ধাহা অকুমান করা যাহত প্রত্যেক বৎসরই তাহ অপেক্ষা অনেক বেশী সংঘটিত হইয়া থাকে। জাপানে ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দ হইতে ১৮৯২ খৃষ্টাব প্রতি বৎসর গড়ে হাজার বার ভূমিকম্প হইয়া গিয়াছে ; অবশ্য তাহার অনেক গুলিই অতি সামান্ত । ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দের ভীষণ ভূমিকম্পের পর হইতে ইহার কারণ সম্বন্ধে নানা প্রকার মতামত প্রকাশ হইতে লাগিল । কোনো বাঙ্গাল কাগজের সম্পাদক লিখিলেন যে, ভূমিকম্প সে কারণেই হউক দেশে দুভিক্ষে (তখন মধ্য ভারতে eয়নিক দুৰ্ভিক্ষ বিরাজমান ) অনাহারে বহুলোক প্রাণত্যাগ করিতেছে ; করুণাময় পরমেশ্বর তাহাদের জন্য কাজ ংগইবার নিমিত্তই ভূমিকম্পের সাহাধ্যে ধনীর অট্টালিকা * ল করিয়া বহুলোকের থাটিয়া অন্নসংস্থান করিবার পথ 8পন করিয়া দিলেন । গরীবের পর্ণকুটীর অবিকৃতই &পংি গেল। অধ্যাপক স্বৰ্গীয় রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী "ধা" সেই সময় ভূমিকম্পের কারণ সম্বন্ধে এক প্রবন্ধে এই কথার প্রতিবাদে ব্যঙ্গচ্ছলে লিখিলেন যে, যদি অনাহারীর আহার-সংস্থানই ভূমিকম্পের কারণ হইত তবে বিধাতার দয়ার প্রকোপট দুর্ভিক্ষপ্ৰপীড়িত মধ্য ভারতে “দিত না হইয়া আসামের বিজন পাৰ্ব্বত্য দেশে এতটা স্তত হইল কেন তাহা বুঝা যায় না। এই ভূমিকম্পের পর হইতেই ইউরোপ ও আমেরিকায় #মকম্প সম্বন্ধে নানা প্রকার গবেষণা আরম্ভ হয় । У o o o i রিয়াছেন। তাহারা বলেন যে, পৃথিবী বৰ্ত্তলাকার লিয়া ভূপৃষ্ঠ কোথায়ও সমতল নহে, কিন্তু কোনো কোনো দেশে এই বক্রতাজনিত ভূপৃষ্ঠের ঢাল ( curvature ) ভূমিকম্প {গর ফলে ভূতত্ত্ববিদগণ দুই-একটি সত্যের আবিষ্কার . 8boጫ প্রতি ২০ ফুট হইতে ৩০ ফুট মধ্যে এক ফুট পরিমাণ ; আবার কোথাও ৭০ফুট হইতে ২৫ ফুটের মধ্যে এক ফুট মাত্র | যে-সব স্থানে এই বক্রতা অত্যধিক সে-সব প্রদেশেই ভূমিকম্পের কেন্দ্ৰ দেখিতে পাওয়া যায় । জাপানের উচ্চ প্রদেশ হইতে পূৰ্ব্বদিকে ও আন্দিয়ান পৰ্ব্বত হইতে পশ্চিমদিকে প্রশাস্ত মহাসাগর পর্য্যস্ত ১২০ মাইলের মধ্যে ভূপৃষ্ঠে যে ঢাল রহিয়াছে পৃথিবীর আর কোথাও থাড়া ঢাল নাই। ভূমিকম্পও এত বেশী আর কোথা ও সংঘটিত হয় না । এত পশ্চিমে ভূমণ্ডলীদ্ধের ভূমিকম্প-প্রবণ স্থান সমুহ (কাল অংশ ) মে-শক্তির প্রভাবে ভারতের হিমালয় ও ইউরোপের আল্পস্ পর্বতমাল ভূপৃষ্ঠ হইতে এত উচ্চে শির উত্তোলন করিয়া দাড়াইয়াছে তাই এখনও বিলুপ্ত হইয়াছে বলিয়া ভূতত্ত্ববিদগণের সন্দেহ করিবার কোন কারণ উপস্থিত হয় নাই। হিমালয়ের উপরে সমূদ্র সমতল হইতে ১০,০০০ ফুট উচ্চে সমুদ্রবাসী বিহুক । shellfish ) নিৰ্ম্মিত চ-খড়ীর স্তর বর্তমান রহিয়াছে । যে-শক্তি সমুদ্রের গর্ভস্থিত স্তবাবলী ঠেলিয়। এত উচ্চে সাজাইয়। রাখিতে সমর্থ হইয়াছে তাহার পরিমাণ ধে অসামাথা তাহ বলাই নিম্প্রয়োজন। এই পূৰ্ব্বতদ্বয়ের নিকটবৰ্ত্তী স্থানে ভূমিকম্প ও সেই আভ্যন্তরিক শক্তির প্রভাবেই সংঘটিত হইয়াছে বলিয়া অনেকে অল্পমান করেন । ভূপৃষ্ঠ উচ্চ পৰ্ব্বতে কিম্বা নিম্ন সাগর বা হ্রদে পরিণত হইলে স্তরগুলিও সেইসব স্থানে বক্র হইয়। আসে । ১০১২ হাজার ফুট