পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] ভূমিকম্প 8brS সঙ্গে জলের উত্তাপ ও বৃদ্ধি করাইয়। আলু সিদ্ধ করিয়া ফেলে । পৃথিবীর অভ্যস্তর তরল হইলে ভূপৃষ্ঠস্থ সমুদ্র জলের ন্যায় তাহারও জোয়ার-ভাট। হইয়া সমস্ত পৃথিবীটিকে স্থানবিশেষে ফুলাইয়৷ তুলিত এবং তাহা হইলে জোয়ারের জোরে সমুদ্র-জলের আস্ফালন পরিলক্ষিতই হইত না। এইসব দেখিয়া পণ্ডিতগণ ঠিক করিয়াছেন যে, পৃথিবীর অভ্যস্তুর কাচ কিম্ব ইস্পাতের ন্যায়ু কঠিন । ইহা গলিত তরল পদার্থ হইলে ভূপৃষ্ঠ স্তর কোনো-না-কোনো কারণে কোনে! স্থানে ভাঙ্গিয়া যাইত এবং ভিতরের তরল পদার্থ ঠেলিয়া উপরে আসিত এবং উপরের কঠিন পদার্থ ও নীচে বাইত। অর্থাং পৃথিবী বাসোপযোগীই হইত না । আগ্নেয়গিরি এবং উষ্ণ প্রস্রবণও ভূপৃষ্ঠস্থ স্তরের স্থানীয় è ëIzzi: :fáf SIRA I Radio-activity: : স্থানীয় উত্তাপের কারণ ; এবং ইহাই স্থৰ্য্য ও নক্ষত্রগণের অতীব আশ্চৰ্য্যজনক ভীষণ উত্তাপের স্থ৪ করিয়াছে বলিয়া একটা মত পণ্ডিত-সমাজে প্রচলিত, তবে পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ ভীষণ উত্তাপ সম্বন্ধে কোন সন্দেহ নাই, ভিতরের পদার্থনিচয় কঠিন হইলে ও ঐ উত্তাপে এক অভিনব অবস্থা ধারণ করিয়া আছে । ইহা ঠিক পিচের ( Pitchএর ) মত, হঠাৎ কোন ভার চাপাইলে ভাঙ্গিয়া গুড়া হইয়া যায়। ভার কম হইলে কোনো পরিবর্তনই ঘটে না । কিন্তু বহুকাল ধরিয়া চাপে থাকিলে তরল পদার্থবৎ নীচু হইতে আস্তে আস্তে সরিয়া যায়। এই প্রকার অবস্থাপন্ন পদার্থের উপরই পৃথিবীর বাসোপযোগী বাহ্যস্তর অবস্থান করিতেছে । কিন্তু উচ্চ পৰ্ব্বত হইতে অহরহ নদনদীগুলি নানাপ্রকার পদার্থ সমুদ্রে বহন করিয়া লইয়া যাইতেছে । বহুকালের এই প্রক্রিয়ার ফলে সমুদ্রের দিকে যেমন স্তরের ভার বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইতেছে, পৰ্ব্বতের দিকেও প্রায় সেই পরিমাণ কমিয়৷ আসিতেছে। এই অসমান ভারের চাপ ভিতরের অত্যুষ্ণ পদার্থ-নিচয়কে অধিক ভারাক্রান্ত স্থান হইতে डबल পদার্থবং সরাইয়া দিয়া বাহ্যস্তরকে নীচে নামাইয়া দিতেছে এবং পৰ্ব্বত-পৃষ্ঠস্তরও সেই পরিমাণ উপরে উঠিয়া যাইবার চেষ্টা করিতেছে। এই বলের বেগ বৃদ্ধি পাইতে-পাইতে একদিন হঠাৎ ভূস্তর ফাটিয়া ভীষণ বেগে ভূমিকম্পের সৃষ্টি করিয়া ফেলিতেছে এই ফাটলও একটি স্থায়ী Faultএ পরিণত হইয়া পড়িতেছে। পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ প্রস্তর এই কম্পন বহুদূরে বহন করে । বাহিরের পদার্থও সেই কম্পন বহনে কোন ক্রটি করে না, ফলে দুর দেশে দুইটি কম্পনই অনুভূত হয়। আভ্যন্তরিক কম্পনটি কিছু পূৰ্ব্বে গিয়। পৌছে। চতুদিকে ভূমিকম্পন পরিমাপক কোথায় কোন সময় কম্পনস্বয় পৌছিল তাহ দেখিয়া কম্পনের কেন্দ্র নিণীত হইয়। থাকে । ভূমিকম্পের কারণ সম্বন্ধে এইসব মতই চলিয়া আসিতেছিল । সম্প্রতি কালিফনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূবিদ্যার অধ্যাপক ডা: A. C. Lowson ( এ, সি, লোসন ) ΣΙΣ ( Scismograph ) কালিফোনিয়ার ষ্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠাগার ১৯০৬ সালের ভূমিকম্পে ধংসীভূত একটি মত প্রচার করিয়াছেন তাহাতে এ বিষয়ে নূতন জ্ঞান লাভেরই প্রমাণ পাওয়া যায়। র্তাহার মতটি এই – পৃথিবী আপন মেরুদণ্ডের চতুর্দিকে প্রতি মুহূৰ্ত্তে ১৯ মাইল বেগে ঘুরিবার কালে ঠিক ঋজুভাবে অর্থাৎ at right-angles to the axis il faoi azt; f=4r+ ভাবে ঘুরে ; তাহাৰে উত্তরমেরুবিন্দু ৬০ ফুট ব্যাসের একটি বৃত্ত অঙ্কিত করে । পৃথিবী মেরুদণ্ডের চতুদিকে ঋজুভাবে ঘুরিলে উত্তরমেরুবিন্দুর স্থানচ্যুতি ঘটিবার সম্ভাবন ছিল না। যদিও এই ৬০ ফুট ব্যাস পৃথিবীর আকারের তুলনায় নগণ্য তথাপি এই তিৰ্য্যক গতির ফলে ভূপৃষ্ঠস্থ স্তর সমুদয় আস্তে আস্তে উত্তর দিকে চালিত হইতে বাধ্য। এই মন্থরগতির বলে স্তর-সমুদয় মধ্যে