১ম সংখ্যা } চক্ষায় তাহার পেট ভরিত না । অবশেষে কোনোরূপে মুঠ জুটাইবার জন্য তাকে কাজের চেষ্টায় লাগিতে =ইল ; প্রথম-প্রথম অনিচ্ছায়, নিরুদ্যম ভাবে, তার পরে Iণপণে, সমস্ত মন দিয়া অনেকের দুয়ারে গেল, তাড় স্ট্রাইল, গালাগালি থাইল, এবং অনেকগানে নিতান্ত স্থার গাইবার ভয়ে পলাইয়া আসিল । সবখানেই জিজ্ঞাস কুঁতি সে ইতিপূৰ্ব্বে কি করিত, কোথায় ছিল। প্রথম-প্রথম বলিয়াছিল, কিন্তু পরে আর কাহাকেও লিল ন যে, তার ইতিপূর্বে একটা কদৰ্য্য অপরাধের # ভযোগে তিন বৎসরের জেল হইয়াছিল। কারণ, সে দেখি ছ যে, যখনই সে অভিযোগটাকে মিথ্য বলে তখনই লৈকে মুখ টিপিয়। হাসে, এবং বলে যে সেখানে তার ষ্টবিধ হইবে না । দিন কাটির ধায় । ক্রমে সে বেপরোয় হইয়া উঠিল। র। ৫ }র মোড়ে মোড়ে দাড়াইয়া দেখিল এখানকাব লক্ষ লোক ক্ৰমাগত কাজের তাড়ায় ছুটয়াছে, কেহ নিশ্চেষ্ট নাই, তিলেকের জন্য দাড়ায় না। ইহাদের মুখে অতিরিক্ত পরিশ্রমে ক্লাস্থির চিহ্ন আছে—কিন্তু কৰ্ম্মহীন জীবনের rয-বিষাদ তাঙ্গ যে ইহার চেয়ে কত বেশী ভয়ানক তাই তে তার অজান নাই। সে বাচিতে চায়, কুঁড়েমি পরিয়া নয়, ভিক্ষা করিয়াও নয়, গতরে খাটিয়া, মাথার সাম পায়ে ফেলিয়। কোনোরূপে সে দুমুঠি অন্নের জোগাড় করিতে চায়। জীবনে তার আশা নাই, উৎসাহ নাই, ভরস; নাই, বঁচিবার সাধ ও বিশেয অবশিষ্ট নাই—তার ময়ূরভঞ্জের শিল্প SD) ছোট গায়ের চিহ্নহীন ছোট ঘর ও সংসারের অবসানের সঙ্গে-সঙ্গেই সে-সব সাধ তার ফুরাইয়াছে । কিন্তু তাই বলয় ক্ষুধা সে-কথা মানে না, তৃষ্ণ সে-কথা শোনে না, তাহার। তাহাকে বাচিবার জন্য তাগিদ দিতেছে ; করিম ভাবিল এর চেয়ে জেল ঢের ভাল, হাড়-ভাণ্ড পরিশ্রম,—গাওয়ার জন্য এমন ভাবিতে হয় না। আর দেহের ক্লান্ত্রির নীচে মনের অবসাদ তলাইয়া যায় । ‘মহাত্মা গান্ধীকি জয়’ বলিয়৷ একদল ভলান্টীয়ার থদ্বরের টুকুর উড়াইয়। চলিয়ছিল—তাহাদের সঙ্গে দু’জন পুলিশ। চারিদিকে লোক চীৎকার করিতেছিল, ‘বন্দে মাতরং’ । ‘মহাত্মা গান্ধীকি জয়’ বলিয়া করিম তাহাদের মধ্যে যাইয়। পড়িল । এ বিলাতী কাপড়াওয়াল।”—নিকালে বলিয়া পুলিশ তাহাকে সরাইয় দিতে গেল। করিম আপত্তি করিল—কিন্তু দুটি রুলের ৫ তায় মীমাংসা হইয় গেল । দু’পারের জনতা ভলান্টিয়ারদের ঘেরিয়৷ চীংকার করিতে করিতে চলিয় গেল । হতবুদ্ধির মত করিম পথের মাঝখানে দাড়াইয়। রছিল, ভাবিয়া পাইল না কেন সরকারের জেলের ফটক বিন কারণে ও একবার তাহাকে বরণ করিয়া লইল, আবার কেন আজ যখন তার নিতান্ত প্রয়োজন তখন সে ফটক তাহার সমস্ত মিনতি আগ্রাহ করিয়৷ এমনি করিয়া তার মুখের উপর বন্ধ ইষ্টয়া গেল,—একি আইনেরই মর্জি না তার নসিব ? ميجيعgجيوبييتيجيستح* ময়ূরভঞ্জের শিপ শ্ৰী ফণীন্দ্রনাথ বসু ভারতীয় শিল্পের পরিচয় দিতে হ’লে আমরা সাধারণতঃ সচি,ভরহুত, অমরাবতী, বুদ্ধগয়া, সারনাথ প্রভৃতি স্থানের শিল্পের উল্লেখ করি । এর মধ্যে যদিও উড়িষ্যার মন্দিররাজির পরিচয় সহজেই এসে পড়ে, তবু তার মধ্যে ময়ূর ভঞ্জের শিল্পের স্থান অনেক দিন থেকে ছিল না । প্রথমে শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বস্থ মহাশয় ময়ূরভঞ্জের শিল্পের কথা পণ্ডিত-মহলে উপস্থিত করেন । তিনি ময়ূরভঞ্জের রাজ সরকারের সাহায্যে সেখানকার অনেক অজ্ঞাত মূৰ্ত্তির
পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।