পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& S8 খুজিতেছেন। ইতরজনম্বলভ বাক্য প্রযুক্ত হইতে দেখিয়া ইহা যে ঝুমুর, তাহাও বলিয়াছিলেন। আমার “সংশয়ে” আমি কবির গ্রাম্যত|দোষ দেখাইয়াছি, ঝুমুর, এই নাম কবি নাই। গত বৈশাখের মন্তব্যে লিখিয়ছি “আমার বোধ হইয়াছে “শ্ৰীকৃষ্ণকাৰ্বন" কীৰ্ত্তন আদৌ নহে ঝুমুর ” ইহাও সেই পুরাতন কথা, ঝুমুর নামটি মাত্র নুতন। ইহার অর্থ এমন নয় যে “শ্ৰীকৃষ্ণকীৰ্ত্তনে'র পদগলি ঝুমুরের হরে রচিত। হরিনাম কীতৰ্ন হইতে কীতৰ্ন শব্দ চলিয়ছে। এই হেতু সে পদে আধ্যান্ত্রিক ভাবের প্রকাশ না থাকে তাহকে কৗতন বলা চলে না। এখন কী তনের একটা স্বর হইয়া গিয়ছে, অশ্লীল পদও সে স্বরে গতিতে নিষেধ নাই । তা বলিয়া সেটা কীৰ্ত্তন নয়। ঝুমুরের পদমাত্রেই যে অশ্লীল কিম্ব কবিত্ব-বর্জিত তাহাও নয়। কীতৰ্ন গান ও ঝুমুর গান, দুই জাতি (species) কি একজাতি, যাঠারা আমাদের দেশের গীতের বিবতনের ইতিহাস জানেন তাঙ্গার বলিতে পারেন। আমি দে ইতিহাস জানি না । কলিকাতায় থাকিবার সময় আমি প্রত্নবিং রাপালবীবুর কাছে ছাতনার মন্দির ও ইটের লেখা সম্বন্ধে জানিতে যাই । তিনি কিছু বলিতে পারেন নাই, কিন্তু একখানি পত্র দিয়াছিলেন। সে পত্র লইয় “আকিয়েলজিকাল ডিপার্টমেন্টের' আপিসে যাই । কিন্তু দুৰ্ভাগ্যক্রমে সে সময়ে কোন কত ছিলেন না । কলিকাতা হইতে ফিরিয়া আদিয়া সত্যকিঙ্কর-বাবুকে আমাদের ছাতন ভ্রমণ লিপিতে বলি। তিনি এক খাতায় খসড়া লিপিয়া দেন । তথন আমি বিষয়াস্তরে ব্যাপৃত ছিলাম, থাত থানি আমীর কাছে পড়িয়া রহিল। মাস কয়েক পরে ১৩৩১ সালের আষাঢ় মাসে আমাকে আবার কলিকাত যাইতে হয়। এবারও প্রায় তিন মাস ছিলাম। খাতাথানি সঙ্গে ছিল । কলিকাতায় আমাদের দেশের কবির ঐতিহাসিকের সহিত ছাতলায় চণ্ডীদাস-সম্বন্ধে কথা কহিবার ইচ্ছা ছিল । কিন্তু কলিকাভার অরণ্যে এক পথের পথিক আবিষ্কার সোজা কথা নহে । যে দুই এক জনের সহিত কথা হইল, তাহদের মুখে দেই পুরাতন বুলি, “প্রমাণ পাওয়া যায় না।” স্মরণ হইতেছে কেবল শ্ৰীহরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় বলিয়ছিলেন “প্রমাণ কেহ খোজে নাই ।” এবারেও আমাদের “বক্তা’র সহিত সাক্ষাৎ হয়। তাহাকে থাই খানি পড়িতে দিই এবং তিনি পরে "ভারতবর্ষে’ এক প্রবন্ধে আমার অনুসন্ধানের উল্লেখ করেন । সেটা ছাতনীয় চণ্ডীদাস নয়, শকুঞ্চকীৰ্ত্তনের চণ্ডীদাস যে চণ্ডীদাস ছিলেন না, সেই পুরাণ কথা । গত বৎসর ভাদ্র মাসে তিনি এখানে আসিয়াছিলেন, তখনও সেই কথা । তাহার নিকট শনি, নায়রের বিশালাক্ষী নাকি বাগধী, গ্রামের নাম নাদুর, সেখানেও পুজকের আপনাদিগকে চণ্ডীদাসের [ ? ] বংশধর বলেন, সেখানেও ধোবাপুকুর আছে, থানার না গ্রামের নামের একটা পরিবতন করা হইয়াছে, ইত্যাদি। তিন বৎসর পুবে সেই একবার ছাতনা গিয়াছিলাম। তখনকার দেখা ও শৌন-কে আধার করিয়া অামার মন্তব্য লেখা । সত্যকিঙ্করবাবুও তার খসড়া আধার করিয়া তাইরে অপর দৃষ্টশ্রত বিষয় বিবৃত করিয়াছেন । তিনি ও আমি একই তীর্থের যাত্রী, দুই এক মাসের নয়, অন্ততঃ ছয় বৎসরের। ইহাও বলি যদি “প্রমাণ পাওয়৷ বায় না", এই বুলি পুনঃ পুনঃ ন শনিতাম তাহা হইলে ব্যাপারটা কি তাহ জানিবার আগ্রহ হইত না । "বক্তব্যে"র মধ্যে কাজের কথা একটি আছে, সেটা গ্রামের নাম, নাদুর বা নান্নর । এ কথাটা আমার দ্বিতীয় মস্তব্যে বিচার করা যাইৰে । শ্ৰী যোগেশচন্দ্র রায় প্রবাসী—অষাঢ় ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড ভ্রম সংশোধন বৈশাখের প্রবাসীতে প্রকাশিত ছাতনায় চণ্ডীদাস মন্তব্যে কয়েকটু छूल श्ञाय्छ् । (5) ছাপার ভুল,— ৩১ পূঃ ১২৫ পং প্রকৃত স্থানে প্রাকৃত হইবে। ৩৪ পৃঃ ১৪ পং সখীসংবাদ, পদ, কত স্থানে সপীসংবাদপদকতা হইবে। (২) তথ্যের ভুল,— /• পণ্ডিত কৃত্তিবাস ১৩৫৫ সালের দশ বৎসর পরে জন্মগ্রহণ করেন নাই ; ১৩৫৪ সালে করিয়াছিলেন। ( ১৩২০ সালের সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকার ৪র্থ সংগ্যt ) v• ছাতনীর বাসলী রাজবংশের কুলদেবী নহেন। বাসলীর বত মান মন্দির রাজবাড়ীর সংলগ্ন, তাইরে রাজপ্রদত্ত ভূমি-সম্পত্তি আছে এবং রাজ উtহার সেবায়ৎ । ইহা হইতে ভুলের উৎপত্তি । রাজবংশ বৈঞ্চব, কুলদেবত মদনগোপাল । বাসলী ছাতনার গ্রামদেবী । v• ছাতনীর রাজ, মল্লভূমের রাজার সামপ্ত ছিলেন, এবং এই হেতু রাজ্যের নাম সামন্তভূম,—একপ রাজা স্বীকার করেন না। বর্তমান রাজবংশ ছত্রী । বাকুড়ায় সমস্ত নামে এক জাতি আছে । সে জাতির সহিত রাজবংশের সম্পর্ক নাই। শ্ৰী যোগেশচন্দ্র রায় বাকুড়ার মেডিক্যাল স্কুল অধ্যাপক বিনয়কুমার সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও সম্পাদিত “আর্থিক উন্নতি” পত্রিকার ১ম সংখ্যার ৭২ পৃষ্ঠায় মিশনী ব্রাউন সাহেব সম্বন্ধে লেগ হইয়াছে, যে, তিনি বাঁকুড়ার “প্রাণস্বরূপ” এবং বঁকুড়ার মেডিকেল স্কুলেরও উদ্ভব এবং স্থিতি তারই জন্য"। ব্রাউন সাহেব সৎকৰ্ম্মশীল এবং প্রশংসাৰ্থ ব্যক্তি। কিন্তু তাহাকে বাঁকুড়ার “প্রাণস্বরূপ” বলা নিতান্তই অত্যুক্তি। বাঁকুড়ার মেডিক্যাল স্কুলের উদ্ভব ও স্থিতি কেবল উtহীরই জন্ত নহে । উহা বাঁকুড়া সন্মিলনী কর্তৃক স্থাপিত হইয়াছে। উহ। চালাইবার জন্ত এবং উহার নিমিত্ত চাদ তুলিবার জন্য তিনি খাটিয়াছেন ইহা অবগুই কৃতজ্ঞতার সহিত স্বীকার্ঘ্য ; কিন্তু বাঁকুড় সন্মিলনীর ও তাহার কোন কোন কৰ্ম্মীর উল্লেথ ইহার সংশ্রবে না করিলে ভ্রম ও নিমকহারামী হুইবে । “বাঁকুড়ার মানুষ’ গাঞ্চোদের কথা জ্যৈষ্ঠ মাসের “প্রবাসীতে” “গারোদের কথা” হরিপদ-বাৰু উহার “আসামী বন্ধুর” প্রমুখাৎ যেমন শুনিয়াছেন, তেমনই লিপিবদ্ধ করিয়াছেন বলিয়াই অনুমান হয় । গারে পুরুষরা সচরাচর যে বস্ত্র পরিধান করে, উহাকে “গানদু’ বলে, “গাণ্ডে” নহে। স্ত্রীলোকদের পরিধেয় বস্ত্রের নাম—"ীথিং” । স্ত্রীলোকেরাই পুরুষদের তুলনায় বরং স্বত্রী : বিপরীত নহে। ইহাদের ভিতর স্বন্দরী পদবাচ্য স্ত্রীলোকও একান্ত দুলৰ্ভ নহে। বর্ণে ও শারীরিক গঠনদিতে তাহারা গুণমাঙ্গী খাসিয়া রমণী অপেক্ষ কোন অংশে হীন নহে ।