পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] যায়। ঢেউর ধাক্কায় মাছটি বোধ হয় তীরের উপর আসিয়া পড়ে ও আর জলে যাইতে পারে নাই, এবং শৃগাল মহাশয় কাকড় খাইতে আসিয়া বোয়ালের মুখে প্রাণ হারান। ইহা হইতেই বুঝা যাইবে, এই বোয়ালের ই৷ কত বড় । গুপ্ত বাদুড়-বে। তৃবড়ে-মুখে গুবরে পোকার সাধ হোলে সে করবে বিয়ে, ঠিক হোলো সব, ঠেকুল শুধু মনের মতন পাত্রী নিয়ে। অ্যাংএর মেয়ে ব্যাংএর মেয়ে নিজের চোখেই দেখল কত, র্বোচক বেচি হাড়গিলে সব,-কেউ হোলো না মনের মত। ঘটক এল গঙ্গ-ফড়িং তিড়িৎ তিড়িৎ লম্ফ দিয়ে, ধর্টকালীতে চলল সে তে ক’নের গোজে গ্রাম পেরিয়ে । বর্ষী-সখী অনেক ঘুরে আদুর-পুরে বাদুড় পাড়ার বনেদ ঘরে । স্বন্দরী বেী জুটুল এবার গুবরে পোকার বরাং জোরে । , বাদুড় বাপের আঞ্জুরী সে—যেমনি গড়ন তেমনি গঠন,— · যা হোক হোলো একেবারে গুবরে পোকার মনের মতন । বিয়ের রাতে আসর উজল—জোনাক-পোকা জালায় বাতি, ধৰ্বল ছুচে বরের মাথায় মস্ত বড় ব্যাঙের ছাতি । ঝিঝির দলে ঝাঝর বাজায়, ওস্তাদী গায় ভোমরা গুলো, নাচ জুড়েছে ড্যাং ড্যাঙ ড্যাং ঠ্যাংতুলে ব্যাং গালটি ফুলে, বরের মামা নেংটি ইদুর লম্ব গোফে দিচ্ছে চাড়া, অন্দরেতে শঙ্খ বাজায় বাড়ীর মেয়ে আবৃসোলারা । ছাদনাতলায় বর বসেছে টিকটিকিতে মন্ত্র পড়ে,— হঠাৎ একি ! ব্যাপারটা কি ! উড়ল কনে ফুড়ৎ করে’— ধৰ্ব ধৰ্ব ধৰ্ব, কোথায় গেল, ছুটুল সবাই ক’নের পাছে, দেখল খুজে ঝুলছে ক’নে ক্যাওড়াতলার স্যাওড়া-গাছে । শ্ৰী সুনিৰ্ম্মল বসু বর্ষ|-সখী শ্ৰী হেমচন্দ্র বাগচী হে গম্ভীর ! আজি হেরি নভতলে তব বেগ উদাম, অধীর ! একান্ত নি:শব্দ তব পুঞ্জপুঞ্জ বিপুল সঞ্চার সুকুষ্ণ নিবিড় ঘনে ছেয়ে দিল অঙ্গর আঁধার । তিমির রাত্রির মাঝে দিগঙ্গনে ডম্বরু তোমার প্রাণে মোর ধ্বনে অনিবার । আমার পরাণ-শিথী আজি হেরি করিছে নৰ্ত্তন। তব গুরু গরজনে বনে বনে নামিল বর্ষণ ; দেবণরু-তরুশিরে, প্রাসাদের শিখরে শিখরে, বিপুল ঝঞ্চার বেগে কলশব্দে ঝর-ঝর ঝরে ; স্বদূরের শু্যাম সীমা লুপ্ত করি’ শবিত সঙ্গীতে বিরাট এ স্বপ্নপুরী মুছি’ দিয়া একটি ইঙ্গিতে নেমে এল তব অমুচর। প্রাণে যে ফুটিল কেয়ী ;–মেতে উঠে অন্তর-প্রান্তর। নীলাভ্রের আঁখি পরে টানি দিলে মুখাম অঞ্জন —নয়ন-রঞ্জন ! বিচিত্র এ ধরণীর নানাদ্বন্দ্ব-শ্রাস্ত কোলাহল একটি নিমেষ মাঝে মুছে দিলে ; করিলে নিৰ্ম্মল ; . আমার এ হিয়াখানি মুছে দাও, প্রার্থনা আমার, হে বাদল, উদাম, দুৰ্ব্বার ! وخ لا سسس- و وية ক্লান্ত নগরীর বুকে বহে তীব্র পূরব-বাতাস– যেন তব ব্যাকুল নিঃশ্বাস । হে প্রেমিক, শ্বাস্ত বড় ; চিত্ত মোর তৃষায় বিকল ; কমণ্ডলু হ’তে তব ঢাল ঢাল করুণাশীতল সরস, সরল, স্নিগ্ধ, শান্তি-বারি-ধারা। নীরসমারোহ মাঝে আমি আজি হ’ব দিশহারা । ধরারে করিছ শু্যাম, প্রাণদাতা-তুমি হে বাদল ! শ্রাস্তিহীন তাই আবিরল চলে তব হুষ্টিলীল পল্লবের কোমল জীবনে । তাই ক্ষণে ক্ষণে মোদের কঠোরচিত্তে লাগে তব চকিত পরশ, অমৃত-সরস ! যার আশীৰ্ব্বাদরূপে নিত্য তুমি ঝরিছ দেবতা, শুনি’ যার কথা, তোমার কৰ্ম্মের পথে বার-বার আসিছ একেলা, খেলিতেছ চিরন্তনী খেল ;– র্তাহারি কোমল স্পর্শ আজি যেন করি অনুভব ; প্রশান্ত নিশীথে তাই নিঃস্তব্ধ, নীরব— বসে আছি বাতায়ন-পাশে । তুমি আজি সঙ্গী মোর ; আজি তাই ভাসে তোমার সঙ্গীতধ্বনি অস্তরে আমার ! আজি প্রিয়, তব সাথে উারে আমি করি নমস্কার।