পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এর সংখ্যা ] অভাব ও অত্যাচারের তাড়নায় বৰ্ত্তমান নাই। ভবে এই দুঃস্থ ভিক্ষুককে সন্ত্রাস্তবংশীয় বলিয়া চিনিয়া লইতে কষ্ট হয় না। ভূতপূৰ্ব্ব জার-ভগিনী গ্র্যাণ্ডডাচেস্ ওল্গা এই বালিকাকে বহুবিধ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে দেখিয় আপনার ভ্রাতুপুত্র বলিয়। স্বীকার করিয়াছেন। শৈশবকালের এমন সমস্ত কথা সে বলিয়াছে যtহ রাজ-পরিবার ছাড়া আর কাহারে জান সম্ভব নয় ; এমন সব রীতিনীতির কথা এ অবগত আছে যাহা অস্ত কাহারে পক্ষে জানা অসম্ভব। বিশেষ করিয়৷ এই বালিকার ধাত্রী ও পারিবারিক ডাক্তার শারীরিক পরীক্ষা করিয়৷ এমন সব চিহ্ন ও বিশেষত্ব দেখিয়াছেন যে, উহার নিঃসন্দেহে বিশ্বাস করেন যে, ইনিই রাজবংশের শেষ কুলপ্রদীপ । জাৰ্ম্মানির যুবরাজ ও উহার পত্নী এই বালিককে দেখিতে গিয়া উহাদেরই সগোত্রীয় জ্ঞানে ইহার সহিত একত্রে আহার করিয়াছেন । বালিন হাসপাতালে রোগিণ জীর রোমানফ বংশের হত্যাকাণ্ড ইউরোপের রাজকূলের লোকের স্বাস্ত্রীয়হননেরই সমতুল্য জ্ঞান করেন। তাহার। ১৯১৮ সাল হইতে এঙ্গাবৎকাল নন। উপায়ে জারবংশের কেহ জীবিত আছে কি না নিদ্ধারণ পঞ্চশস্ত—রুষিয়ার রাজকন্য। আনাসটাসিয়া &షీపి করিতে চেষ্টা পাইতেছিলেন। তাহারাও এবিষয়ে অনুসন্ধান করিতেছেন ও প্রকৃষ্ট প্রমাণ পাইলেই আদরে এই দুর্ভাগিণীকে নিজেদের গোষ্ঠীতে স্থান দিবেন। সেই হত্যাকাণ্ডের পর হইতে কি কি ঘটিয়াছিল তাই জিজ্ঞাসা করতে সে যাহা বলিয়াছে তাহা এই— ১৯১৮ সালের ১৭ই জুলাই রাত্রিতে একদল রেডসৈন্ত আসিয়৷ তাহাদের উপর অমানুষিক অত্যাচার করিতে থাকে ; গুলির আঘাতে ও মঙ্গীনের খোচায় সে সঞ্জাশুন্য হইয় পড়ে। জ্ঞান ফিরিয়া পাইবার সঙ্গে সঙ্গে সে বুঝিতে পারে তাঙ্গকে গরুর গাড়ীতে করিয়৷ কোথায়ও লইয়৷ যাওয়া হইতেছে। সেই গাড়ীতে রেডণৈষ্ঠ দলের দুইটি যুবক ছিল । তাহীদের মধ্যে একজনের নিকট সে জানিতে পারে যে, রাজবংশের অন্ত সকলে নিহত হইয়াছে ও গোর দিবার জন্য মৃতদেহগুলি মোটর লীতে করিয়৷ পাশ্ববৰ্ত্তী জঙ্গলে চালান দেওয়া হইয়াছে। তাহাকে তখনে জীবিত দেখিয় তাহার গোপনে সরাইয়৷ আনিয়ছে । রাজ-সৈন্যদলের আগমনে ভয় পাইয়া পলায়নকালে অন্ত সকলে ইহা লক্ষ্য করে নাই। রাজ-সৈন্যদল আসিয়া দেথে যে, মৃতদেহগুলিকে কবর না দিয়া দাহ করা হইয়াছে স্বতরাং কেহ বাচিয়া আছে কি না তাহা তাম্বারা বুঝিতে পারে নাই । সৈন্ত দুইজন নানা ভাবে চিকিৎসা করিয়া বালিকার জীবন রক্ষা করে । তিন মাস এই ভাবে চলিয়৷ তাহার ধ্রুমানিয়ায় উপস্থিত হয়। বুখারেষ্টের এক মালীর কুটিরে তাহাকে বাস করিতে দেওয়া হয় । তারপর সেখানে সে প্রায় মৃত্যুমুখে পতিত হইয়াছিল। যুবকের তাহকে মৃত মনে করিয়া একদিন বরফের মধ্যে কবর দিয়া খাদে । কিন্তু সে মরে নাই, বরফের মধ্যে কেমন করিয়াই সে প্লাচিয় উঠে ও পুনরায় সেই মালির ঘরে বাস করিতে থাকে। এখানেই সৈন্য দুইজনের একজনের সহিত তাহার বিবাহ হয় ও একটি পুত্রসস্তনও হয়। কিছুকাল পরে তাহার স্বামী বুখারেন্থের রাস্তায় বলশেভিকদের গুলিতে নিহত হয় । इशत्र ११ cम श्रावांद्र थश् श्ध्न ५ ठशन cमयाब्रव्र नाशया বার্লিনের ঠাসপাতালে আসে। তাহার সন্তান কোথায় আছে সে জানে না। তাহার সপ্তানের খোজ করা হইতেছে। ইউরোপের সমস্ত রাজকুল-নিযুক্ত সমিতি এই মহিলার তত্ত্বাবধান করিতেছেন। বাহিরের কোনো লোককে এখন ইঙ্গর সহিত দেখা করিতে দেওয়া হইতেছে না ও বলশেভিকদের যড়যন্ত্র কল্পনা করিয়া ইহার প্রত্যেক খাদ্য-দ্রব্য পরাক্ষা করিয়া দেওয়া হইতেছে । এখানে রাজকুমারা অনাসটাসিয়ার গোলবৎসর বয়সের ও বার্লিন ঠাসপাতালের এই রোগিণীর ছবি দেওয়া হইল। প্রথম ছবিটি ৯ বৎসর পূৰ্ব্বে গৃহীত।