পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা । পুলিশের ক্ষমতার অতীত এবং পুলিশ আইন অনুসারে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োগেও এ-সমস্তার সমাধান হইতে পারে না । “পূর্ববঙ্গের একজন জেলামেজিষ্ট্রেট এই মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছেন যে, হিন্দু এবং মুসলমান উভয় সম্প্রদায়েরই যে-সব লোকের সহিত এ বিষয়ে তাহার কথাবাৰ্ত্ত হইয়াছে, তাহার বলিয়াছেন যে, সংবাদপত্রসমূহে বৰ্ত্তমানে যে-সব খবর অতিরঞ্জিত আকারে বাহির হইতেছে যদি সেগুলি বন্ধ হয়, তাহা হইলে স্বাভাবিক অবস্থা সত্বরই ফিরিয়া আসিতে পারে। অনেকেরই মত এইরূপ ।” আশা করা যায় যে, অত্যাচরিত স্থানসমুহের সংবাদপত্রগুলি এই ইস্তাহারের যথাষথ উত্তর দিবেন। হিন্দুর কৰ্ত্তব্যপালন— কিছুদিন পূৰ্ব্বে ঢাকার মুসলমানদের জিদ ও ভীতি প্রদর্শনের ফলে ঢাকার তিনজন হিন্দু ভদ্রলোক তথাকার সমগ্র হিন্দুর পক্ষ হইতে মসূজেদের সন্মুখ দিয়া শোভাযাত্র লইয়৷ যাওয়ার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন । গত ১৪ই মে তারিখে ঢাকার হিন্দু জনসাধারণের এক সভাতে নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলি গৃহীত হইয়াছে – বিগত ৩০শে এপ্রিল তারিখের আসানমঞ্জিলের সভায় উপস্থিত হইয় যে তিন জন হিন্দু ঢাকার হিন্দুদের পক্ষ হইতে গায়ে পড়িয়া মসজিদের সম্মুখ দিয়া বাদ্য ভাণ্ড সহ বিবাহের মিছিল লইয়া যাওয়ার জন্ত মুসলমানদের নিকট ক্ষম প্রার্থনা করিয়াছেন, এই সভা উহাদের কাৰ্য্যের তীব্র নিন্দ করিতেছেন । অধিকন্তু এই সভা প্রচার করিতেছেন যে, উক্ত তিনজন ভদ্রলোক মোটেই ঢাকার হিন্দু সমাজের প্রতিনিধি নহেন। স্বতরাং হিন্দুদের পক্ষ হইতে ক্ষম প্রার্থনা করার কোনই অধিকার উtহাদের নাই । ঢাক-প্রকাশ হিন্দুর ক্রটি— সহযোগী আনন্দবাজার সংবাদ দিতেছেন— “কলিকাত সহরেও এমন একটি ঘটনা ঘটিয়াছে, যtহীর জঙ্ক হিন্দুদের লজ্জায় মাথা হেঁট করা উচিত। নারিকেলডাঙ্গার হিন্দু পোষ্টমাষ্টার নিজের বাড়ীতে শঙ্খ-ঘণ্টা বাজাইর সত্যনারায়ণ পূজা করিতেছিলেন। এমন সময় পাড়ার জনকয়েক মুসলমান আসিয়া বলে, নিকটেই মসজিদ– তাহীদের নমাজের ব্যাঘাত হইতেছে। অতএব পোষ্টমাষ্টার শঙ্খ-ঘণ্টা বজাইতে পরিবে না। পোষ্টমাষ্টীবটি ভয় শঙ্খ-ঘণ্ট। বাজানো বন্ধ করিলেন এবং অশাস্ত্রীয় ভাবেই পুজার কার্য্য শেষ করিলেন। ইতিপূর্বে জামালপুরেও এইরূপ একটি ঘটনা হইয়া গিয়াছে। এইসব ব্যাপার ইহঁতে কি বুঝিতে হইবে যে হিলুদের নিজের বাড়ীতে বসিয়াও শঙ্খঘন্টাদিবাদ্য-সহকারে পুজাৰ্চনা করিবার অধিকার নাই, মুসলমান গুণ্ডীদের জিদ ও ভীতি প্রদর্শনে তাহাও বন্ধ করিতে হইবে ?” পোষ্টমাষ্টারের ধৰ্ম্মবিশ্বাস মুসলমানদের ধৰ্ম্মবিশ্বাসের বা জিদের সমান দৃঢ় হওয়া উচিত ছিল। পাবনা হিন্দুসভ— গত মাসে পণ্ডিত স্যামকুমার চক্ৰবৰ্ত্তীর সভাপতিত্বে পাবনা হিন্দু সভার অধিবেশন হুইয়া গিয়াছে। সভায় (১) যতীন্দ্র-চন্দ্রকান্তের স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করিয়া, (২) মন্দির ও প্রতিম| ধ্বংসের প্রতিবাদ করিয়া, (৩) হিন্দু-মুসলমান চুক্তির প্রতিবাদ করিয়া, (৪) এবং মুসলমান-প্রধান স্থানে হিন্দু কনেষ্টবলের সংখ্যাবৃদ্ধির জন্ত সৰ্বকারকে অনুরোধ করিয়া ৪টি প্রস্তাব গৃহীত হয়। & দেশ-বিদেশের কথা AAAAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAAS AAAAA AAAAMMMM AMMMAAMMMA AeeAA AMAMAA AMAMAJAAA AAAA AAAAMMMAAA AAAA SAAAAS AAAAA AAAA AAASS ○ )● ভূবনেশ্বর রামকৃষ্ণ মিশন— আমর ভুবনেশ্বর রামকৃষ্ণ মিশনের একথও বার্ষিক বিবরণ পাইয়াছি। বিবরণে মিশনের কৰ্ম্মীগণের সেবা-কার্য্যের তালিকা, হিসাবনিকাশ ইত্যাদি অাছে। আলোচ্য বর্ষে মিশনের কাৰ্য্যের প্রসার হইয়াছে। বাংলায় খদ্দর বিক্রয়--- বাংলায় খাদির চাহিদা দিন দিন বুদ্ধি পাইতেছে। বাংলা যে খাদি চায়, বাংলা যে পুরাতন বস্ত্রশিল্প পুনরুক্কার করিতে দৃঢ়সঙ্কল্প হইয়াছে তাহা বুঝা যায় তাহার খাদি গ্রহণের দিকে দৃষ্টিপাত করিলে। খাদিপ্রতিষ্ঠান ১৯২৪ সালে ১২ মাসে মোট থাদি বিক্রয় করিয়াছেন ৮৫, ৩৫৮ টাকার এবং ১৯২৬ সালের জানুয়ারী হইতে এপ্রিল পৰ্য্যন্ত মাত্র চারিমাসে খাদি বিক্রয় হইয়াছে মোট ৮৬, ৮৩০ টাকার। ইহাতে বাংলার প্রাণের স্পন্দনই অনুভূত হইতেছে। যে-হারে বাংলায় খাদির চাহিদা বৃদ্ধি পাইতেছে তাহাতে ১৯২৫ সালের বিক্রয়-অঙ্ক যে ১৯২৬এর অনেক পিছনে পড়িয়া থাকিবে তাঁহাতে আর কোনও সন্দেহ নাই । খাদিপ্রতিষ্ঠান প্রেরিত তুলনা-মূলক বার্ষিক বিক্রয় নিয়ে দেখান যাইতেছে। ১৯২৪ ు చె& ১৯২৬ জানুয়ারী ৩২৯৬\ ૭૭8ના ২১৭১ e\ ফেব্রুয়ারী ي • د ۹ت ૭૦ નારા २०७०8x মার্চ २७७२९ レa・8、 ૨8હ8૧ এপ্রিল ৪১৬৫\ اه د ۷ ه هدف۹ داx٨ه نا মে 9y48N ১৮২৭ •\ છ૭૪૭-૨ জুন ૭.૬૨૨માં ১৩৪২২\ (চারি মাসে) জুলাই ৫৭৩১N >*>>२९ আগষ্ট ১২৯৩০\ ડ 8 ૦૭8 সেপ্টেম্বর ১৪৩০৭\ २२०४१९ অক্টোবর >२8७२९ >૭૭aાના নভেম্বর જ8૭ના ১৮৩৭৩\ ডিসেম্বর १७०8९” २००००९ 49tt^ » ጓሯ..¢&/ শিক্ষিত মুসলমানের হিন্দু ধৰ্ম্ম গ্রহণ— আসাম প্রদেশের অন্তর্গত গৌহাটীর নিকটবৰ্ত্তী জামদীঘি নামক স্থানে ২১ জন মুসলমান স্বেচ্ছায় পবিত্র হিন্দুধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছেন। তন্মধ্যে কতিপয় শিক্ষিত মুসলমানও আছেন। একজন মুসলমান পোঃমাষ্টার এবং আর একজন মুসলমান ওভারসিয়ার এই-সঙ্গে হিন্দু ধৰ্ম্মে দীক্ষা গ্রহণ করিয়াছেন। তথায় হিন্দুসভার কোন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। তাই স্থানীয় হিন্দুগণ তাড়াতাড়ি একটি হিন্দুসভা প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন, অতঃপর এই সভা বিশেষ আগ্রহের সহিত মুসলমানদিগকে হিন্দু বলিয়া গণ্য করিয়াছেন । ধৰ্ব্বাস্তর গ্রহণের জন্ত ইহাদিগকে কয়েকটি দেব-ক্রিয়া করিতে হইয়াছিল । তাহ সম্পন্ন হওয়ার পর হিন্দুধৰ্ম্মে নবাগত মুসলমানগণ হিন্দুর দেবমন্দিরে প্রবেশ করির শালগ্রামশিলা স্পর্শ করিয়া পবিত্র হইয়াছেন। যে-সভায় ইহাদিগকে দীক্ষ দেওয়া হয়, তথায় গীতাপাঠ হইয়াছিল এবং সভাস্তে বিরাট ভোজের আয়োজন ছিল । সমস্ত শ্রেণার হিন্দুগণ এই ভোজে যোগদান कब्रिब्रां८छ्न । --বরিশাল