পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] শব্দ হয়ে সেই তপস্বী নরনারায়ণের ইন্দ্ৰিয়-জালায়নের ফাক দিয়ে বারঙ্গার উকি মেরে মেরে তার মনোহরণ করে, তাকে সৌন্দর্যের মাধুর্য্যের মধ্যে মুক্তি দিতে হাতছানি দিয়ে ডাকতে থাকে । নরনারায়ণের তপস্যা ভঙ্গ করতে মেনক-রস্ত প্রভৃতি প্রসিদ্ধ অঙ্গরাগণ অসমর্থ হলে, এমন কি জগতের তিল-তিল উত্তমের সমষ্টি স্বরূপিণী যে তিলোত্তম সে ও যখন পরাভূত হলে, তখন নারায়ণ বিষ্ণুর উরু থেকে উৰ্ব্বশীকে উংপাদন কর হলো । পদ্মপুরাণে এই উপাথ্যানটি একটু অদ্যবিধ । লসন্তকে সহায় করে’ও মদন ও অপারারা মগল নরনারায়ণের তপস্য ভঙ্গ করতে অসমর্থ হলো খন যিনি স্বমাধুর্য্যে বিশ্বকে মোহিত করেন, সেই মদন ও কুসুমাকর বসন্থ ঠ জনে মিলে সৌন্দর্য্যললাম ভূত অপারাদের অঙ্গ থেকে উৰ্ব্বশীকে অঙ্গ দান করে । অপারারা সৌন্দর্য্যময়ী ; সৌন্দর্য্যের সারাংসার হচ্ছে উৰ্ব্বশী। তাই কবি উৰ্ব্বশীকে سسسس-}ى تراب آية ))ة “মুনিগণ ধান ভাঙি দেয় পদে তপস্যার ফল, তোমারি কটাক্ষ-পাতে ত্রিভুবন যৌবন-চঞ্চল।” পুরাণেও দেখতে পাই--উৰ্ব্বশীর যখন আবির্ভাব হলে। 35이지 থেলোক্যগুন্দরীরঙুম্ অশেযম অবনীপ । গুণৈর লাঘব অভ্যেন্তি যস্ত: সন্দর্শনদ অনু । তাং বিলোক্য মহীপাল চকম্পে মনসানিল । বসন্তে বিস্ময়ং যাতঃ, স্মর; সম্মার কিঞ্চ ন ॥ রস্তী-তিলেবুমাদুশি চ বৈলক্ষ্যং দেব যোৰ্মিত: | ন রেজুর অবনীপাল তলুলক্ষ্যহৃদয়েক্ষণা: | JBB BBBBB BBBB BBBS BB BBBBBB STTS BBBBBB হানপ্রন্থ হয়ে গেলে ; তাকে অবলোকন করে’ বায়ু মনে মনে কেঁপে উঠ লো ; বসন্ত বিস্ময়ে অভিভূত হলো ; যিনি স্বয়ং স্মর, তিনিও এমন মতিভ্রাস্ত হলেন যে কিছুই স্মরণ করতে পারলেন না ; রম্ভ। তিলোত্তম প্রভৃতি দিব্যাঙ্গনগণও সেই উৰ্ব্বশকে মানস-নয়নে দর্শন করার পর আর দর্শনযোগ্য থাকলে না । সৌন্দৰ্য্যলোকে নন্দনকাননে সিনি সৌন্দর্য্যের ইন্দ্রজাল রচনা করেন, সেই ইন্দ্র উৰ্ব্বশীকে ইন্দ্র-সভার প্রধান নর্তকী নিযুক্ত করলেন । কিন্তু ইন্দ্র-সভায় থেকেও উৰ্ব্বশীর মন মর্তের পুরুরবার, সঙ্গে সম্মিলিত হবার জন্য চঞ্চল হয়, নৃত্য কালে অন্যমনস্কতায় তার তালভঙ্গ হয়। আবার অন্যদিকে উৰ্ব্বশীকে দেখে অবধি পুথিবীপতি পুরুরবার ও উৰ্ব্বশী 80 মন তন্ময় হয়ে আছে ; পৃথুল পৃথিবীর পতি হয়ে পুরুরব স্বর্গের উৰ্ব্বশীর বিরহে কাতর । দেবতার শাপে স্বর্গভ্রষ্ট হয়ে উৰ্ব্বশী-অপারার সঙ্গে মানব-পুরুরবার কিছুদিনের জন্য মিলন হলে । এই পৌরাণিক মুখ্যায়িকাটিকে অবলম্বন করে’ সৌন্দর্য্যের ঐন্দ্রজালিক কবি কালিদাস বিক্রমোর্কশী-নাটক রচনা করেন । কালিদাসের উৰ্ব্বশী রূপবর্তী রূপগতীত অপরূপ । তার উৰ্ব্বশী কেবল-সৌন্দর্য্য-রূপিণী, যুবতী-শশিকল, যুথিক-শবল-কেশী, স্তিবীেবন । বাংলার কবি ও উৰ্ব্বশীকে প্রশ্ন করেছেন— কোনোকালে ছিলে না কি মুকুলিক বালিকা-বয়সী হে অনন্তযৌবন। উৰ্ব্বশ । সেই উৰ্ব্বশীর ক্রমবিকাশ নেই, দেশ-কালে সৌন্দর্ঘ্যের নূ্যনাধিক্যের তারতম্য নেই, সে চিরন্তনী, স্বসম্পূর্ণা ! ‘জ হবে।-বিসেস-সঙ্কিদস্স স্লউমারঃ পহরণঃ মহেন্দুসস’— মে উৰ্ব্বশী কারে বিশেষ তপস্যায় শঙ্কিত মহেন্দ্রের হাতের প্রধান প্রচরণ---এ প্রহরণ ইন্দ্রের অপর প্রহরণ চয়ে ৪ বজ্রের ন্যায় কঠিন নয়, এটি সুকুমার প্রহরণ! এই মারাত্মক ! এই সিরি-সেীরিএ — সুকুমারের মার বজ্রাঘাতের উৰ্ব্বশী রুব-গবিদ sি গৌরীকে ; রূপের প্রভায় প্রত্যাগ্যান বা চেয়ে ৪

  • ?琉5iび研びj1

পরাস করেন— সেই প্রত্যাপ্যাত ব্যক্তি কেবলমাত্র গৌরীষ্ট নন, তিনি শ্ৰীগৌরী—শ্ৰীসমন্বিত। গৌরাঙ্গী ; তিনি কেবলমাত্র শ্ৰীগৌরীই “আবার রূপগৰ্ব্বিত!—নিজের রূপৈশ্বৰ্য্য-সম্বন্ধে সচেতল ; তিনি ও উৰ্ব্বশীর কাছে পরাজয় মানেন । এই উৰ্ব্বশী “অলঙ্কারে সগ গসস’--বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মা-কিছু ভালোর ভাণ্ডার স্বর্গ, সেই স্বর্গের ও অলঙ্কারস্বরূপ এই উৰ্ব্বশী । পুরুরবা একস্ত-সৌন্দর্য্যদিদৃক্ষু হয়ে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সর্বসৌন্দর্য্য-স্বরূপিণী উপার্শীকে প্রেয়সী করেছিলেন । কিন্তু তাই রূপসী উৰ্ব্বশীকে সেবাদাসী করবার বাসন প্রকাশ পাওয়াতে উৰ্ব্বশী পুরুরবার উপর কুপিত হয়ে সৌন্দর্য্যের জন্মভূফুি ঙ্গিমালয়ের একাস্থে কুমার-বনে প্রবেশ করলে । নন, তিনি বিক্রমোর্কশী ১ম ৭, ৪র্থ অঙ্গ ) ভোগ-বাসনাতে সৌন্দর্য্য কলুষিত হয় , মার বন্যপ ও যার কাছে কুৎসিত প্রতিপন্ন হন এবং