পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ৷ মেরি|-পরন্ত অ-কংস-রহঙ্গং আলি-গঙ্গ-পঞ্চব অ-সপ্লিক্স-কুরঙ্গঃ তুঞ্চত কারণ স্নগ্ন শুমস্তে কো ণ ষ্ট পচ্ছিঅ মঞি রোদন্থে ? ( বিক্রমোর্কশী ৪র্থ অঙ্ক ) ময়ুর কোকিল হাস আর চক্রবাকে অলি গঞ্জ পৰ্ব্বত দেখেছি মাহীকে নদী ও হরিণে পুছি কাননে ভ্ৰমিয়া তোমাবি কারণে প্রিয়ে কঁ দয়া কাদিয় ॥ উৰ্ব্বশীকে নিয়ে পুরুরবা রাজধানীতে ফিরে যাবে ; তখন সে অপারা উৰ্ব্বশীকেই অনুরোধ কবুছে-- অচিরপ্রভা-বিলসিতৈঃ পতাকিন, হর-কামুকাভিনব-চিত্র-শোভিন । গমিতেন গেলগমনে বিমানতং নয় মাং নবেন বসতিং পয়েীমুচ ৷ ললিতগমন প্রেয়সী অামার. নিয়ে চলে ফিরে মেরে আমার বাড়ীতে, নূতন মেঘকে রথে পরিণত করে', বিজলী-বিলাস তবে চঞ্চল পতাকা রথের শিরে, ইন্দ্রধগুটি রথের চিত্র সকল অঙ্গ ঘিরে । যতদিন উৰ্ব্বশী পুরুরবার কাছে কেবলমাত্র ভাবরূপিণী, abstract ৪ ideal মাত্র, ততদিন পুরুরবা আর উৰ্ব্বশীর অবিচ্ছেদ মিলন--পুরুরবা উৰ্ব্বশীকে সৰ্ব্বত্র উপলব্ধি করেছে । তখনই পুরুরবা উৰ্ব্বশীর মিলন-মণি কুড়িয়ে পেয়েছিল । কিন্তু অপর উৰ্ব্বশীকে প্রয়োজনের ক্ষেত্রে, কৰ্ম্মের ক্ষেত্রে এনে উপস্থিত করতেই একটা শোন পক্ষা তাদের মিলনমণি হরণ করে নিয়ে পালালে । পুরুরব। আর উৰ্ব্বশীর মিলনের একটি সৰ্ব ইন্দ্র স্থির করে দিয়েছিলেন যে, যেদিন পুরুরবা উৰ্ব্বশীর সস্তান সন্দর্শন করবে, সেই দিন তাদের মিলনের অবসান হবে । উৰ্ব্বশীর সন্তান-সম্ভাবন হলো ; কিন্তু উৰ্ব্বশী পুরুরবার সঙ্গে বিচ্ছেদের ভয়ে পুত্র আয়ুকে গোপনে চ্যবন-ঋষির আশ্রমে তাপসী সত্যবতীকে পালন করতে দিয়ে এলো । চ্যবন হচ্ছেন সেই ঋষি, যিনি বুদ্ধ হয়ে ও পুনর্যৌবন লাভ করেছিলেন। সেই চিরযৌবনের আশ্রম থেকে সত্যবতী একদিন উৰ্ব্বশীর পুত্র আয়ুকে নিয়ে তার পিতা-মাতার হাতে সমর্পণ করবার জন্য রাজধানীতে এলেন । সত্যবতীর আবির্ভাবে সৌন্দর্য্য-কল্পনার মিথ্যা কুহক টুটে গেলে— উৰ্ব্বশী আর সম্বন্ধাৰ্তীত ভাবমাত্র রইলো না, পুরুরবা ও উৰ্ব্বশীর বিচ্ছেদ আসন্ন হয়ে এলে ; কিন্তু কল্পনার ইন্দ্রজালে সম্মোহিত পুরুরব। অকুমান করতে লাগলে৷ উৰ্ব্বশী 86t উৰ্ব্বশী তার আজীবন-সহধৰ্ম্মিণা, যতদিন আয়ু তার কাছে আছে ততদিন উৰ্ব্বশীর স্মৃতি ও তার নষ্ট হবার নয় । সংস্কৃত নাটক বিয়োগান্ত করা রীতিবিরুদ্ধ কালিদাস আয়ু ও ঐন্দ্রজালিক ইন্দ্রের আশীৰ্ব্বাদের রূপকে উৰ্ব্বশীকে পুরুরবার আজীবন-সহধৰ্ম্মিণী করে দিয়েছেন । সুন্দরকে সম্ভোগ করবার কামন। মনে স্থান দিলে অভিশপ্ত হ’তে হয়, এ কথ। কবি কালিদাস র্তার অনেক কাব্যেই প্রচার করেছেন । শকুন্তল ও দুষ্মন্ত যখন কেবলমাত্র ভৌগলিপ্তার আকর্ষণে মিলিত হ’তে চেয়েছেন, তখন র্তার। শাপগ্ৰস্ত হয়েছেন । পাৰ্ব্বতী যুগন মদনকে সহায় করে শিবের হৃদয় জয় কবৃতে চেয়েছেন, তখন ঠাকে প্রত্যাখ্যাত ইয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। কামী ফুক্ষকে প্রভুশাপে প্রিয়ার সঙ্গ থেকে বঞ্চিত হয়ে দূরে নির্বাসিত কালিদাস দেখিয়েছেন বিরহী যক্ষ দূরবন্ধুর্গত হয়ে প্রিয়ার রূপের পাচ্ছে ; কিন্তু মনের মধ্যে ভোগবাসন প্রবল থাকতে সে কিছুতেই সমগ্র রূপকে আয়ত্ত করতে পারছে না । তাই যক্ষ খেদ করে বলছে - খামাঘঙ্গং চকিতহরিণ-প্রেক্ষিতে দৃষ্টিপাত; বস্তুচ্ছায়াং শশিনি, শিখিনাং বহুভারেসুকেশন উৎপগুমি প্রতনুষু নদীবাচিযু ভ্ৰাবিলসান ; হওৈকস্থং কচিদপি ন তে চণ্ডি সাদৃগুমু অস্তি । ( মেঘদূত, উত্তরমেঘ ) তব অন্ধের লাল দেখি আমি খাম-লতিকার দোদুল দোলে. চন্দ্ৰেতে মুখ, চকিত দৃষ্টি ইরিণীর টানা আঁথির কোলে, ময়ূর-বর্হে কেশরাশি তব, ক্ৰবিলাস নদীবাঁচির গায়, একস্থানে তবু ছবিটি তোমার হেরি না তো কভু কোপন হায় । যক্ষ প্রিয়াকে সম্পূর্ণভাবে পাবার লালসায় ধাতুরাগ দিয়ে শিলাপটের উপর প্রিয়ার ছবি একেছে ; কিন্তু যখনত সেই ছবিকেও সে স-লালস দৃষ্টিতে দেখতে যায়, তখনই তার দৃষ্টি অশ্বজলে আচ্ছন্ন হয়, তার আর ছবি দেখারও জো থাকে না ; সে স্বপ্নে প্রিয়ার দর্শন দি বা পায়, তাকে আলিঙ্গন করতে গিয়ে তার প্রসারিত ভূজদ্বয় শূন্তকেই বুকে বাধ বার ব্যর্থ প্রমাস করে ; তার দুঃপে বনদেবতারা শিশিরাশ্র বর্ষণ করে— হওয়াতে হতে হয়েছিলে । ত{াদল বহু বস্তুতে দেপ তে ত্বামৃ আলিথ্য প্রণয়কুপিতাং ধাতুরাগৈ; শিলায়াং আত্মানং তে চরণপতিতং যাবদ ইচ্ছামি কৰ্ত্তম, অশ্রৈস্তাবন মুহুর উপচিতের দৃষ্টির আলুপ্যতে মে : ক্ররস তম্মিলনপি ন সহতে সঙ্গমং নৌ কৃতান্ত ।