পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Wり মাম আকাশ-প্রণিহিন্ত-ভুজঃ মিৰ্দ্দয়শ্লেষঠেঙ্গেব লক্কায়াস তে কথম স্থাপি ময় স্বপ্ন-সন্দর্শনেষু, পষ্ঠ্যন্ত্রী না? ন থলু লহুশে ন স্থলীদেবতানী? মৃক্তাস্তুলাস শুরকিশলয়েম্বশ্ৰুলেশাঃ পতন্তি ॥ প্রণয়কপিঙ্গ, তোমাৰ ছবিটি শিলাতলে লিপি ধাতুর রাগে, চরণে পড়িয! সাধিব তোমায এমন ইচ্ছা মনেতে জাগে ; অশগুণলেতে দৃষ্টি আমার রুদ্ধ হয় গে৷ তাঁপির পাতে, কর কৃতাশ্ব পাপে ন সঙ্গিতে মেীদের মিলন ছবিরও সাথে । স্বপ্নে তোমারে দেখিলে কখনো আলিঙ্গনের জম্বা হায় বাকুল দুষ্ঠাত বাড়ীয়ে লক্ষে বাধি । কেবল শুষ্ঠতায় : আমার দুঃপে বনদেবতার চোপের ঝরিয় পড়ে, মুক্ত-সমান শোভা পায় তাঙ্গ তরু-কিশলয় ফুলের পরে। মেঘদূত থেকে উদ্ধৃত শেষ শ্লোকের অন্তরূপ পংক্তি টেনিসনের “ইন মেমোরিয়াম’ কাব্যে আছে— Tears of the widower, when he sees A late-lost form that sleep reveals And moves his doubtful arms, and feels Her place is empty, fall like these. বিপত্নীকের অশ ঝরে, যখন দেখে সেই সদ্য-হারা মুর্ভূিপালি স্বপ্ন-মবারেই, সন্দেহেতে শঙ্কা-ব্যাকুল মেলুলে বাহু হায় প্রিয়ার শুন্য স্থানটি পরে এমনি আছাড় খায় ! রাজা আজ প্রেয়সী পত্নী ইন্দুমতীকে হারিয়ে বিলাপ করতে করতে হাবাণে প্রিয়ার সৌন্দৰ্ঘ্য প্রকৃতির মধ্যে পরিক্ষিপ দেখে কথঞ্চিং সাস্থন লাভ করেছিলেন – কলম্ অন্ততৃতীয় ভাতিং কলহংসৗধু মদালসং গতম, পুষতযু বিলোলম্ ঈক্ষিতং পবনধুত-লতাঙ্ক বিভ্রমঃ ত্রিদিবোংমুকয়াপ্যবেক্ষ্য ম{ং নিহিতা: সত্যম্ অর্মী গুণাস্ ত্বয়া । ( রঘুবংশ, অঞ্জবিলাপ, ৮।৫৯, ৬০ ) তুমি তো স্বগের স্বযম, মৰ্ত্তে কিছুদিনের জন্য স্খলিত হয়ে পড়ে আমার প্রিয়া-রূপে আমার কাছে ধর দিয়েছিলে ; তুমি আমাকে ছেড়ে গিয়ে ও— কোকিল-কণ্ঠে কণ্ঠের স্বর, মরাল-গমনে গতি মনোহর, হরিণ নয়নে দৃষ্টি চটুল, দোদুল লতাৰ ভঙ্গী অতুল, সান্তন দিতে রেখে গেছে। ইয় স্বর্গে যাবার বিষম ত্বরায় । রামচন্দ্র ও সীতাহরণের পর তাকে অন্বেষণ করতেকরতে প্রকৃতির সব্বত্র প্রিয়ার সাদৃত পরিব্যাপ্ত দেখে কথঞ্চিৎ তুপ্তি লাভ করেছিলেন ; কিন্তু বর্ষ এসে উপস্তিত প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড ক্ত ওয়াতে বিরতল্যাকুল রামচন্দ্র সেই প্রিয়াচ্ছবি আর দেখতে পাচ্ছেন না ; তাই তিনি বিলাপ করে বলছেন— যৎ-ত্বন-নেত্র-সমান-কান্তি সলিলে মগ্নং তদ ইন্দীবরম ; মেঘৈর অন্তরিতঃ প্রিয়ে তব মুখচ্ছায়ানুকারী শশী । যেহপি ত্বদ গমনানুকারি-গতয়স তে রাজহংস গতা: ; ত্বং সাদৃঙ্গ-বিনোদ মাত্র অপি মে দৈবং ন হি ক্ষম্যতি ॥ তোমার নেত্র-সমান-কাস্তি সুনীল নলিনী সলিলে ডুবে : তোমার যুগের ছবি অমুকারী চন্দ্র ঢেকেছে মেঘের স্তপে, তোমার গমন-অন্তকারী রাজহংসেরা গেছে মানস-সরে, সদৃশ বস্তু দেপার তৃপ্তিটুকুও দৈব লুপ্ত করে । .~* ు -سمي . প্রিয়ের সঙ্গে মিলনে সেই প্রিয় নিদিষ্ট রূপের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে থাকে, আর তার বিরহে তার রূপ বিশ্বময় ছড়িয়ে যায়। রূপের পাধন ভাঙলেই রূপাতীত অপরূপ প্রকাশ পায়। এই তত্ত্বটি অনেক কবিই হৃদয়ঙ্গম করেছেন । —কবীন্দ্র রবীন্দ্রনাথ “শিশুর বিদায়” কবিতায় থোকাকে দিয়ে বলিয়েছেন সে সে তার মার কাছ থেকে চলে’ গেলে ও মাকে একেবারে ছেড়ে যাবে না ; সে হগওয়ার স্পর্শ হয়ে, জলের শীতলতা হয়ে, বৃষ্টির শব্দ হয়ে, বিদ্যুতের চমক হয়ে, জ্যোংস্ন' হয়ে, স্বপ্ন হয়ে মাকে বারম্বার দেখা দেবে—- পূজোর কাপড় হাতে করে’ মাসি যদি শুধায় তোরে “খোকা তোমার কোথায় গেলে চলে ?” বলিসূ--খোক সে কি হারায় ! আছে আমার চোখের তারায়, মিলিয়ে আছে আমার বুকে কোলে ! শেলী তার সন্তানের বিয়োগে লিখেছিলেন— Where art thou, my gentle child : I,et me think thy spirit feeds. With its life intense and mild. The lovo of living leaves and weeds Among these tombs and ruins wild:— Let me think that through low seeds Of the sweet flowers and sunny grass Into their hues and scents inay pass A portion.---------- (To William Shelley. অসম্পূর্ণ কবিতা) কোথায় তুমি বাছা আমার কোথায় তুমি হার ? e তোমার মধুর উজল জীবন হয়তো জোগায় সরস গোপন তরু-তৃণের আনন্দিত বাচায় প্রেরণায় !