পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩e [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড ফুল গাড়ীতে পাহাড় পার ( বোৎসেন ) করিতে অভ্যস্ত। বেহালা, সেতার, হাৰ্ম্মোনিয়াম, বাণী বা অন্য কোনো যন্ত্র বাজাইবার সময়ও ঘরের বাহিরে তুফানের আওয়াজ অনেক বাদক কানে ধরিয়া থাকিবেন। সেই সময়ে কণ্ঠ-ধ্বনির অথবা যন্ত্র ধ্বনির এক অপূৰ্ব্ব পরিপূর্ণতা লক্ষ্য কর। বোধ হয় অনেকেরই অভিজ্ঞতার অন্তর্গত। গলার স্বর এবং বাজনার স্বরকে “পরিপূর্ণ” করিয়া তোলাই “হার্শণির” কাজ। দরিয়ার কলকলে, বর্ষার ঝনঝমে, তুফানের প্রলয়-নিঃশ্বাসে আর নিঝরের অফুরন্ত জলের আহবানে এমন অনেকগুলা স্বর অাছে যেসব গানবাজনার সুরের অন্তর্গত ভিন্ন ভিন্ন স্বরের “স্বাভাবিক” জুড়িদার স্বরূপ। যেই এই দুই ধরণের স্বরের দেখাদেখি হয় তেমনি দুয়ে এক আত্মিক সংযোগে মিলিয়া অপরূপ ধ্বনির স্বষ্টি করে। স্বরটা যেন এই স্বর-সংযোগের জন্যই রোজেনগার্টেন বা গোলাপ-গিরি ( বোলজানো হইতে দেখা যাইতেছে ) বসিয়াছিল । এইজন্যই বেহাগই হউক বা ভৈরবীই হউক, —আর গায়ক বাদক ওস্তাদই হউক বা আনাড়িই হউক, —“মেলডি’ বা স্বরগুল ঝরণার আবেষ্টনে স্রোতের “ব্যাকগ্রাউণ্ডে,” ঝড়ের আবহাওয়ায় প্রাণ পাইয়া ফুলিয়া উঠে । “মেলডি’র স্বরগুলার কি একটার যেন অভাব ছিল। অভাব পূরণ হইবা মাত্র স্বর নবরূপে দেখা দিতে 牙T乙夺日 যে-সকল গুণীরা ঝড়-তুফান হইতে, নদীর আওয়াজ হইতে, নিবিড় বনের শে শো হইতে, পাগলা-ঝোরার উন্মাদ গর্জন হুইতে বাছিয়া বাছিয়া স্বরগুলা আলাদা করিতে সমর্থ আর সেইসব বাছা বাছা স্বর আমাদের তথাকথিত রাগরাগিণীর স্বরগুলার সঙ্গে গাথিয় দিতে সমর্থ তাহারাই ভারতে “হার্শণি” আবিষ্কার করিয়া বসিবেন । ইয়োরোপে “মেলডি’র অর্থাৎ রাগরাগিণীর পরিপূর্ণতা-বিধায়ক স্বরগুলা আবিষ্কৃত হইয়াছে আজ বৎসর শ দুয়েক । ভারতের রাগরাগিণীগুলা আজও “ব্যাকগ্রাউণ্ড”হীন রূপে একাকী নিজ নিজ স্বর-জীবন চালাইয়া চলিতেছে। সঙ্গীতের আসল কাঠামটাই রাগরাগিণী, গৎ, স্বর অর্থাৎ “মেলডি” । “মেলডি’-হীন সঙ্গীত কল্পনা করা অসম্ভব। “হার্শ্বণি” হইতেছে “মেলডি’র সখা সখী, স্ত্রী স্বামী-জুড়িদার ইত্যাদি । “হার্শ্বণি"-হীন সঙ্গীত অসম্ভব নয়। “মেলডি” স্বরাষ্ট্ৰ-হাৰ্ম্মণি একূল টিকিতেই পারে না। কিন্তু “মেলডি’র সঙ্গে “হার্শ্বণি”র