পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] পল্লীর ইতালিয়ান নাম ফোর্ভেৎসা । ত্রেস্তিনে প্রদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের গিরি-দুর্গের মতনই ফ্রানৎসেনস্ ফেষ্টের দুর্গও পাহাড়ী কলেবরেরই অন্যতম অংশবিশেষ । আইজাক-তালের সঙ্গে এইখানে পুষ্টার-তালের মেলা-মেশা আল্পসের গ্রীষ্মগৌরব ভোগ করিবার জন্য । লোকের ফোর্ভেৎসা হইতে রেলে পুষ্ট উপত্যকার সওয়ারি হয় । ত্রেস্তিনোর উত্তর-পূবে পুষ্টার উপত্যকা । গোজনজাস্ পল্লী ত্রেন্তিনোর আর-এক “কুরট” বা স্বাস্থ্যনিকেতন । উত্তরের দিকে পাহাড়ে বরফের চাপ এখনো দেখা যাইতেছে। গোজেনজস প্রায় চাঃ হাজার ফিট উচু। কাব্য-সাহিত্য সমালোচনা ●b* রেল এখানে দার্জিলিং বা শিমলার পথের মতন একই পাহাড় ঘুরিয়া ঘুরিয়া উচ্চতর স্তরে উঠতেছে। সুইটসাল্যাণ্ডে গোট হার্ড পার হইবার সময়ও এইরূপই করিতে হয় । আইজাক গর্জন করিতে করিতে নামিতেছে । অতি সরু পাহাড়ী পথ। এই পথেই অষ্ট্রিয়ান সেন ত্রেন্তিনো ছাড়িয়া ইন্সব্রুকে ফিরিয়া যাইতে বাধ্য হইয়াছিল। অষ্ট্রিয়া আর ইতালির মধ্যে ইহাই একমাত্র পথ। এই পথের সঙ্কীর্ণতম অংশ ব্রেন্নার পল্লীতে অবস্থিত । সেই পল্লীতেই আজকালকার ইতালির উত্তরতম সীমানা। ইতালিয়ান নাম ব্রেন্নারে । কাব্য-সাহিত্য সমালোচনা শ্ৰী ক্ষেত্রলাল সাহ হার ও জরার প্রভেদ সকলেই বোঝে। হীরার দাম দিয়া জীর কেনে এমন লোক সংসারে নাই । যদি থাকে সে পাগল। কিন্তু এই হার ও জীর এক দরে বিকাইবার একটি স্থান আছে, তাহা কাব্যসাহিত্য। নৈতিক জীবনে যেমন কাম ও প্রেম অনেকটা একরূপে প্রকাশ পায়,—অথচ দুই সম্পূর্ণ বিপরীত, কাম ভোগ, প্রেম ত্যাগ,—তেমনি সাহিত্যে হেয় ও উপাদেয় কাব্য একরূপে প্রকাশ পায়—অবশ্য যাহারা সত্যকার রূপও চেনে না, রসও জানে না, তাহদেরি চোখে । কাব্যের রূপ-রসের তত্ত্ব জানে, এমন লোক সৰ্ব্বত্রই খুব কম। অথচ না বুঝিয়া বুঝিয়াছি মনে করা কাব্যে যেমন সহজ আর কিছুতেই তেমন নয়। একটা অঙ্ক যে কসিতে পারে নাই সে কখনো বলিতে পারে না যে বুঝিয়াছি। কিন্তু একটা কবিতা যে কিছুই বোঝে নাই, সেও তার একটা সমালোচনী লিখিয়া মাসিকে প্রকাশ করে। এদিকে যে-সব কবিতা মাসিকে বাহির হয় তাহার অধিকাংশই ষে কবিতা নয় এই সত্য ? حیاسے- G ۹ কথাটি বলিলে যাহার লেখেন র্তাহারাও চটিয়া যাইবেন আর যাহারা প্রকাশ করেন র্তাহারাও ক্রুদ্ধ হইবেন। বিশ্ৰী কবিতা কেন লেখা হয় তাহার কারণ অনেক ; বলা ও শক্ত নয় ; কিন্তু কেন প্রকাশিত হয় তাহারত একটিমাত্র প্রধান কারণ থাকিতে পারে। বিশ্ৰীকে স্বত্র এবং কুরসকে স্বরস মনে করা হয় বলিয়া । কিন্তু এর মধ্যে একটি সুবিধার কথা আছে। লেখক, প্রকাশক, পাঠক, সকলেই যদি ভাল মনে করেন তবে আর আপত্তি থাকিল কোথায় ? কদাচিৎ দুই-একটি সুন্দর কবিতা মাসিকে দেখিতে পাই । অবশিষ্টের অৰ্দ্ধেক নিতান্ত এবং একান্ত মামুলী ; অৰ্দ্ধেক অপাঠ্য। কিছু দিন পূর্বে প্রবাসীতে না ভারতবর্ষে মোহিত মজুমদারের একটি কবিতা—নাম বোধ হয় “মরা মা” কি এমনি কিছু—বাহির হইয়াছিল। এক রবীন্দ্রনাথের কবিতা ছাড় এর চেয়ে উচ্চ অঙ্গের কবিতা ইদানীং কোন মাসিকে দেখি নাই। এইরকম একটি কবিতা সযত্বে রক্ষা করিয়া অন্য এক শ’টি অনলে আহুতি দিলে কাহারো