পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سb-b� কোনো ক্ষতি হইবে না। কিন্তু বহু অপদার্থ কবিতাrubbish-কে এই কবিতাটির উপরে স্থান দিবার লোক শত শত বিজ্ঞ-বিচক্ষণের সমাজেও আছে। তবে কবিতাটি কোনো পাশ্চাত্য কবিতার অমুসরণ কি না বলিতে পারিলাম না । তা থাকৃ। এপ্রবন্ধে আমি রবীন্দ্রনাথের কাব্যের সমালোচনা সম্বন্ধে দুই চারিটি কথা বলিব। রবীন্দ্রকাব্যের সাধারণতঃ চার শ্রেণীর সমালোচনা হইয়া থাকে —অন্ধ-নিন্দ-মূলক ; অন্ধ-প্রশংসা-মূলক ; বর্ণনা-মূলক ; আর দর্শন-মূলক বা বিজ্ঞান’-মূলক অর্থাৎ যার नागे theoretical * ইহার কোনটিই প্রকৃত কাব্য-সমালোচনা নহে। প্রকৃত কাব্য-সমালোচনাকে যদি বলি সৌন্দর্য্যতত্ত্বমূলক বা রসতত্ত্বমূলক তাহা হইলে ইহা তৎক্ষণাং ঐ বিজ্ঞানের মধ্যে যাইয়া পড়িবে, কিন্তু ইংরেজী পরিভাষা ব্যবহার করিয়া যদি বলি aesthetic তবে অনেকটা অর্থ প্রকাশ *4 & aesthetic নামক সমালোচনারও বিজ্ঞানের কবল হইতে উদ্ধার নাই । আমার বক্তব্য এই যে, অনেক সময়ই আমাদের দেশে সৰ্ব্বদাই—কবি যাহা দেন সমালোচক তাহা এক দিকে আলগোছে সরাইয়া রাখিয়া তাহাই উপলক্ষ করিয়া নিজের ভাব বা রস ও চিন্তার প্রবাহ ছটাইয় দেন এবং মনে করেন খুব সমালোচনা করিলাম। এই শ্রেণীর লেখা আর যাহাই হোক সমালোচনা নহে। রবীন্দ্রনাথের কাব্যের যে-সব সমালোচনা আজ পৰ্য্যন্ত বাহির হইয়াছে তাহার মধ্যে অনেক ভাল ভাল কথাও পাইয়াছি এবং বহু কাজের কথাও পাইয়াছি। কিন্তু রবি-বাবুর কাব্য কি পদার্থ":এবং অন্যান্য উচ্চ শ্রেণীর কাব্যের তুলনায় তাহার স্বাতন্ত্রা কোথায় ইহা কেহ বুঝাইয়া দিয়াছেন, একথা কিছুতেই স্বীকার করিতে পারি না। রবি-বাবুর কাব্য খুব কম লোকেই বুঝিয়াছে। ইহা কাহারো কাহারে খুব ভাল লাগে, আবার কাহারো কাহারো একেবারেই ভাল লাগে না এই মাত্র। যাহাদের ভাল লাগে তাহাদের কেহ কেহ সেই ভাললাগাটা আমাদিগকে বুঝাইতে চেষ্টা করিয়াছেন । দুই চার

  • বিজ্ঞান বস্তু সম্পর্ক বিরহিত idea বা ধারণা।

হইবে । প্রবাসী—শ্রোবণ ১৩৩৩, [ ২৬শ ভাগ, ১মথ ও জন ব্যক্তি, আমি দুই জনকে জানি যাহারা রবি-বাবুর কাব্যজ্ঞান বিচারের দ্বারা এবং প্রাণের দ্বারা ও সম্যকৃরূপে উপলব্ধি করিয়াছেন, র্তাহারা কেহই কোনো সমালোচন। লেখেন নাই । রবি-বাবুর কোনো কবিতা সম্বন্ধে কোনো কথা জিজ্ঞাসা করিলে ইহার মুখে যাহা বলেন তাহাই শুনিয়া মুগ্ধ হই। কিন্তু যাহারা রবীন্দ্রনাথের কাব্য সম্বন্ধে লিখিয়াছেন তাহদের মধ্যে মাত্র একজন ব্যক্তি প্রকৃত পক্ষে এবং অত্যন্ত গভীর ও সৰ্ব্বাঙ্গীনভাবে রবীন্দ্রনাথকে বুঝিয়াছেন বলিয়া আমার মনে হয়। ইনি স্বৰ্গীয় মোহিতমোহন সেন । কাব্য-সাহিত্যের বিভিন্ন সংস্করণ প্রকাশ, শ্রেণীবিন্যাস, সঙ্গীকরণ, ভাষ্যকরণ, টাকা-টাপ্লনি, ব্যাখাদি লিখন প্রভৃতি যত কাজ এদেশে সম্পাদিত হইয়াছে আমার মনে হয় তাহার মধ্যে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ, সৰ্ব্বাপেক্ষা মূল্যবান কাজ রবীন্দ্রনাথের কাব্যের ৬/মোহিত সেনের সংস্করণ। প্যালগ্রেভ তাহার গোলডেন ট্রেজারিতে বিভিন্ন গীতি-কবিতা-কুসুম বাছিয়া বাছিয়া গাথিয়া গাথিয়া যে মনোহর গীতি-মালিকা রচনা করিয়াছেন তাহাতে তিনি অসাধারণ নিপুণতা, বিচার-শক্তি এবং কাব্য-কলা-কুশলতারও পরিচয় দিয়াছেন এবং তজ্জন্ত তিনি দেশে দেশে অশেষ সুখ্যাতি অর্জন করিয়াছেন। কিন্তু মোহিত-বাবুর সম্পাদিত কাব্য-গ্রন্থ গোলডেন ট্রেজারির চেয়ে শুধু অনেক বৃহৎ নয় অনেক শ্রেষ্ঠ জিনিষ। এই কাব্য-গ্রন্থ সম্পাদনে তিনি যে গভীর ও গৃঢ় কাব্যরস-জ্ঞান, যে সমুচ্চ সৌন্দর্ষ্য-বোধ, যে অতুলনীয় কাব্য-স্থষমার বিচার ও বিবেচন শক্তি, যে অপূৰ্ব্ব বিন্যাস নৈপুণ্যের পরিচয় দিয়াছেন তাহার তুলনায় প্যালগ্রেভের অহরূপ গুণাবলী অনেক ক্ষুদ্র বিষয়। প্যালগ্রেভ যাহা করিয়াছেন তাহার নাম স্বরুচি-সঙ্গত নিপুণতা । মোহিতবাবু যাহা করিয়াছেন তাহা সৌন্দৰ্য্য-জ্ঞানগম্ভীর রসমাধুৰ্য্যায়ুভব তরঙ্গায়িত কাব্য-বিচারের এবং কাব্য-রসাস্বাদনের মৌলিকী উদ্ভাবনী শক্তির এক প্রকাও ব্যাপার। .তিনি শত-সহস্ৰ কবিতা বাছিয়া বাছিয়া গুছাইয়া গুছাইয়৷ ভাব রস ও রূপ স্বষ্টির কলা-কৌশলের স্বল্প তারতম্যামুসারে আগে পরে যথাসঙ্গতিক্রমে শ্রেণীবদ্ধ করিয়া