পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ఫిE সুর্য্য অস্ত যাইতেছে। আকাশ উজ্জল। একটি ভরত-পক্ষী দৃষ্টির অগোচর হইয়। শূন্য-পানে উধাও উড়িয় উঠিতেছে আর অতি মধুর কণ্ঠে কুজন করিতেছে। তাহার চারিদিকে অসীম আলোকের রাশি । তাহার মনোহর সঙ্গীত-সুস্বর সেই আলো-রাশির মধ্যে দিগ দিগন্তরে ছড়াইয়া পড়িতেছে। কবি এই বিষয়টি নিবিড়-ভাবে প্রাণের মধ্যে অনুভব করিলেন । র্তাহার মনে হইল, এই নিৰ্ম্মল আলোরাশির মধ্যে এই মনোবিমোহন সঙ্গীত বিহঙ্গের মত কোনো সাধারণ-শরীরী জীবের হইতে পারে না। এই কল্পনা র্তাহার অনুভূতির তীব্র গভীরতার উপর নির্ভর’ করিতেছে । তিনি মনে করিলেন — ইহা কোনো উজ্জল আনন্দময় ভাব-রূপী জীব-বিশেষের গীত-ধ্বনি নিশ্চয়ই। কাজেই তিনি ইহাকে blithe Spirit বলিয়া সম্ভাষণ প্রবাসী-শ্রাবণ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড করিলেন। আলোকময় আকাশে উধাও হইয়া উড়িয়া যাওয়া – সঙ্গীত-মধা ছড়াইতে ছড়াইতে । কবি দেখিলেন, ইহাই তাহার প্রাণের সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ। তাহার প্রাণ ইহাই চায় । সুতরাং ঐ সঙ্গীতশীল বিমান-চারী বিহঙ্গের উপর তিনি নিজেরই মন-প্রাণ আরোপ করিলেন । উহাকে আপন বলিয়া বরণ করিয়া লইলেন । Hail to thee ! বলিবার ইহাই তাৎপর্ষ্য । Hail মানেই তাই । বন্দনা করিয়া বরণ করা । ইহার পরে Bird thou never wert—বলা অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং ইহার সঙ্গে Hof Alfo-Bird thou never art—Bird thou never will be-as thou art the immortal Spirit of a never-ending song of deathless joy ! বিজয়-যাত্রা শ্ৰী মঞ্জুলা দেবী হে তরুণ, হে চির সুন্দর, অনাদি রূপের আলো তুমি যবে এলে বিস্ময়-বিমুগ্ধ আঁখি মেলে দিয়েছিল সাড়া মোর সকল অন্তর ; বিপুল স্পন্দনে থরথর সকল চেতনাখানি উঠেছিল কেঁপে দেহমন "ব্যেপে,— প্রলয়ের ঝঞ্চtহত সাগরের হিন্দোলের মত অশাস্ত উদ্ধত রুদ্রক্ষুধা ছুটেছিল লক্ষকোটি ব্যগ্র বাহু মেলি’ আলিঙ্গনে বেঁধে নিতে উচ্ছাসে উদ্বেলি মত্ত অসংযত । তুমি এলে প্রশান্ত স্বন্দর, প্রথম উষার মত অনাহত আনন্দ-ভাস্বর ! তুমি এলে আসে যথা মধু সমীরণ লঘুগতি নিঃশব্দ-চরণ মুকুলের চিত্তখানি করে নিতে জয় । হে রহস্যময়, কেমনে জিনিস নিলে নাহি জানি আমি । ওগো স্বামী, কি অমৃত মৰ্ম্মকোষে করিলে সঞ্চার, কি মন্ত্রে করিলে শাস্ত নৃত্যশীল চিত্ত-পারাপার : আমি শুধু জানি ভিখারীরে সিংহাসনে বসাইলে আনি ; শুধু জানি তুমি বুকে এলে, হৃদয়-কমলে রাঙ্গ রাজীব চরণখানি ফেলে জাগাইলে অপূৰ্ব্ব যৌবন,— বিকাশের মুখ-শিহরণ। প্রেম দিয়ে কামনারে জয় করে নিলে - তবু ধরা দিলে ; হে বিজয়ী শক্তিমান, দিলে ধরা বিজিতের পাশে— এ পুলক জাগে আজ বিশ্ব ভরি’ আকাশে বাতাসে, বাজে ওগো অন্তর-তন্ত্রীতে মৌন ধ্যানে নীরব সঙ্গীতে।