পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆశిe প্রবাসী—শ্রোবণ, ১৩৩৩ { ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড করেছে। আরও একটা কথা লক্ষ্য করুবার আছে। সেটা হচ্ছে এই যে, তথাকথিত সভ্যতার গৰ্ব্বে গৰ্ব্বিত হয়েও আমরা বিনিময়-প্রথাকে আজ পর্য্যন্তও সম্পূর্ণরূপে বর্জন করে চলতে পারিনি। আমাদের নিত্য-নৈমিত্তিক গৃহস্থালীতে ও সাংসারিক জীবনে এখনও আমরা যথেষ্ট পরিমাণে বিনিময়-প্রথা চালিয়ে থাকি এবং এ-সব ক্ষেত্রে অশান্তির কোনও কারণই উপস্থিত ट्ध्न नीं । সুতরাং আজ নবযুগের এই নব প্রেরণার দিনে আমাদের ধারা নতুন অর্থনীতিবিৎ হবেন তাদের હકે সমস্তাটা সমাধান করুবার জন্যে এগিয়ে আসতে হবে। আজ জগতে অবশ্য সংস্কারকের অভাব নেই। নানা বিষয় সংস্কার করবার জন্যে নানা লোক এগিয়ে আসছেন। পরের দুঃখ-কষ্ট যাতে দূর হয় তা সকলেরই প্রার্থনীয় বটে ; কিন্তু প্রকৃত পক্ষে রোগের কারণ নির্ণয় ক'রে তার প্রতীকারের চেষ্টা করা সকলের সামর্থ্যে কুলম ন । বর্তমান সভ্যতা সম্বন্ধে আমাদের কতকগুলা ཨཀ་། : কুসংস্কার রয়েছে যে, কোনও কিছু যদি এসভ্যতার | পরিপন্থী বলে মনে হয় তা আমরা গ্রহণ করতে সাহস । করিনে। কিন্তু আজ আমাদের মন থেকে পুরাতন | অর্থনীতির ভূলধারণাগুলা দূর ক’রে দিতে হবে ; “অথ" ব্যবহার সম্বন্ধে যে অন্ধকুসংস্কার যুগযুগান্ত ধ’রে আমাদের মনের উপর রাজত্ব করছে তাকে দূর করে দিয়ে নতুন প্রণালীতে বিনিময়-প্রথা প্রচলনের জন্য ব্যবস্থা কৰে । হবে। ভগীরথের মত আজ নবযুগের নবীন অর্থনীতিবিং ; র্তার নব অর্থনীতির শঙ্খ বাজিয়ে নবভাবধারার :- } প্লাবন আনবেন তাতে ভেসে যাবে সমস্ত পুরাতন যুগযুগান্ত-সঞ্চিত আবর্জনরাশি ও খসে পড়বে মানুষের । নিজ হাতের গড় শৃঙ্খল যা সে এককালে अलभर মনে ক’রে অঙ্গে ধারণ করেছিল । | ক্ষণিকের আনন্দ ঐ মুধাকান্ত রায় চৌধুরী পান করি’ লহ বন্ধু হৰ্ষ-তপ্ত স্বর নিম্প্রভ যৌবন তব হোক ফিরে পুরা, ক্ষণিকের তরে বন্ধু দুই চক্ষু ভরি’ উৎসবের দীপ্তরূপ লহ পান করি’ । বিশুষ্ক অধর পরে নিমেষের তরে হাস্তের নিঝর ধরে, পড়ুক গো ঝরে,— অস্তব-সাহারা ভূমে উৎসবের গান রচুক আনন্দ যেন ওয়েসিস্ প্ৰাণ। আজ প্রাতে জাগি কাল ভূয়ে টুটে পুষ্প, তবু ওষ্ঠে তার হাস্ত রহে ফুটি', গন্ধ পেয়ে তার ছুটে আসে অলিদল— প্রশাস্ত-গুঞ্জন-গীতে উদ্দাম চঞ্চল। “ক্ষণিক” সার্থক হয় ক্ষণ-হৰ্ষ-বুকে, ব্যর্থ করিও না তারে মান মৌন মুখে।