পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা । প্রবাল ఆళి) প্রিয় হাত বাড়িয়ে খোকাকে কোলে নিয়ে জিজ্ঞেস दद्भन्न-“जशा कई cब्र नल ?” নন্দ বললে, “জয়া বললে সে ঘাটে বাসন ভিজিয়ে এসেছে মাজতে হবে ব’লে তাড়াতাড়ি ক’রে চলে গেল।” নন্দাকে একলা দেখে প্রিয় বললে, “হ্যারে নন্দ, তোর বুঝি শীগগির বিয়ে—আমাদের লুচি-সন্দেশ খাওয়াবি ত ?” খুব চঞ্চল আর মুখর মেয়েও বিয়ের কথায় একটু লাল না হয়ে পারে না, নন্দাও সলজ্জভাবে চোখ নীচু ক’রে আঁচলের খুঁট পাকাতে মুরু করলে । প্রিয় আদর ক’রে নন্দার কপালের চুলগুলি সরিয়ে দিয়ে বললে, “বর বুঝি তোকে নিজেই দেখতে এসেছিল ? তোর কি তাকে পছন্দ হয়নি ?” অল্প দিনের পরিচয় হ’লে ও নন্দ প্রিয়র বেশ অতুগত হ’য়ে পড়েছিল । তার এতটুকু বয়সের সামান্ত যা-কিছু দৈনিক অভিজ্ঞতার পুজি, কোনো জিনিষ ভালমন্দ-লাগ৷ বিষয়ে তার ক্ষুদ্র যা-সব মতামত আর এবাড়ী সেবাড়ী হ’তে সংগৃহীত ছোট থাটো যত সংবাদ সমস্তই সে তার পুলিশমাসিকে দুবেলা অযাচিতভাবে শুনিয়ে এসে তবে তৃপ্তি বোধ কবৃত । শ্রোতার আগ্রহের দিকে তার তত মনোযোগ ছিল না, নিজের বলবার উৎসাহ ছিল ঢের বেশী। এখন প্রিয়র প্রশ্ন শুনে সে একটুখানি চুপ ক’রে থেকে বললে—“দেখ মাসি, আমি নিজে হ’তে ত কিছু বলিনি। দিদি আমায় বার বার জিজ্ঞেস করলে পছন্দ হয়েছে কি না বল ন!—তাতেই আমি বলেছি যে পছন্দ হয়নি। আমার দোষ কি ? আমায় জিজ্ঞেস করতে এসেছিল কেন ?” প্রিয় বুঝতে পারলে বালিকা মনে-এক-মুখে-আর বিদ্যাটা এখনো আয়ত্ত করতে পারেনি, কাজেই সোজাস্বজি মনের কথা খুলে বলতে গিয়ে সবার কাছে বেচারী হাস্তাম্পদ হয়েছে। নন্দ আবার ব’লে উঠল— “ওই ষে হেমা পিসি আর নবীনের দিদি, ওরা সব কথাতেই ঢাক পিটিয়ে বেড়ায় । ওদের খুরে কোটা কোটা নমস্কার বাবা,”-ৰ’লেই সে হাত জোড় ক’রে অনুপস্থিতাদের উদেশে সত্যিই বার বার নমস্কার করলে। প্রিয় সে নমস্কারের ভঙ্গী দেখে খিলখিল ক’রে হেসে উঠ ল । - হঠাৎ রমাদের প্রকাগু আঙিনায়—বোল হরি, হরি বোল—বলতে বলতে এক দল চাষাভূযোর ছেলে ঢুকে পড়তেই নন্দ উৎসাহের সঙ্গে ‘ঘেটু গাইতে এসেছে, শুনবে চল, পুলিশ-মাসি”—ব’লেই ছুটে আগন্তুকদের উদ্দেশে প্রস্থান করলে । প্রিয৪ থোকাকে কোলে নিয়ে ঘেটুর গান শুনতে বেরিয়ে এল । ঘণ্টাকর্ণের পূজা-উপলক্ষে ঘেটুর গান বাঙলা দেশের সল পল্লীতেই প্রচলিত, কলকাতা সহরেরও জায়গায়জায়গায় এপৰ্ব্বটি বাদ পড়ে না । তবে নানা দেশে গানের ছড়াটির নানা রূপ দেখা যায়। খুব সম্ভব জল-অনাচরণীয় জাতের ছেলেরাই পল্লীর. এপর্বটি সমাপ করে । বীরভূমের বাউরী, ল্যাট, কোলাই প্রভৃতি জল-অনাচরণীয় জাতের ছেলেরাই মহানন্দে পাড়ার ঘরে ঘরে তিন দিন ধ’রে ঘেটুর গান গেয়ে বেড়ায় । চতুর্থ দিনে গৃহস্থের ঘরে গিয়ে সিধ পয়সা প্রভৃতি যা পায় সেইগুলি সংগ্ৰহ ক’রে নিয়ে পরের দিনে দল বেঁধে কোনো পুকুর বা দীঘির পাড়ে গিয়ে পোযেলার চড়ইভাতি ক’রে থায় । ঘেটু অর্থাৎ ঘণ্টাকর্ণ বেচারী একদিন আমাদের মতো মাহুযই ছিল ; সে ছিল এক মহা শৈব, অর্থাৎ মহাদেবের একজন গোড়া ভক্ত। এই ভক্তির আতিশয্যে বৈষ্ণুষধৰ্ম্মকে সে ভারী হীন-চক্ষেই দেখত। হরিনাম, বিষ্ণুনাম সে সহ করতে পাবৃত না, সে শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা ক’রে নিত্য স্নানে শুচি হ’য়ে ধুতুরাফুল, আকন্দকুল, বেলপাত, গঙ্গাজলে পূজা করত। সন্ধ্যায় আরতির ঘটাও ছিল খুব । কিন্তু আরাধ্য দেবতার প্রাণ-টালা পূজার মধ্যেও তার তৃপ্তি ছিল না, কারণ তার পূজার সময় প্রায়ই পাড়ার কীৰ্ত্তনীয়ার মন্দিরের সাম্নে দিয়ে কৃষ্ণনাম করতে-কবৃতে যেত। এইসব ব্যাঘাতে মনটা তার ভারী খুৎ খুৎ কর্ত। একদিন কিন্তু আশ্চর্ধ্য ব্যাপার ঘটুল। সেই প্রতিষ্ঠিত লিঙ্গ মূৰ্ত্তিতেই স্বয়ং মহাদেব হরিহর মূৰ্ত্তিতে প্রকাশ হয়ে তাকে বললেন, “বৎস, হরি আর হরে কিছুমাত্র প্রভেদ নেই, দুয়ে আমারই এক অভেদ মূৰ্ত্তি ,