৫২ এবং ব্রিটেনবাদী প্রস্তর যুগের মামুষেরা, ম্যামথ জাতীয় হস্তী যুগের সহিত প্রতিদ্বস্থিতায় কাল কাটাইত, সেই সময়ে নাইল এবং ইউফ্রেটিস নদীর উপকুলবাসা মানবের উল্লেখযোগ্য সভ্যতা লাভ করিয়াছিল। ঘে-সময় মানুষ অগ্নির ব্যবহার মোটেই জনিত ন, ও সেই কারণে আমমাংসও ভগণ করিত,ব| মৎস্ত বা মাংস ভক্ষণ করিত নী,ও প্রস্তরের বিবিধ যস্থ ও অস্ত্ৰ নিৰ্ম্মাণে পটু ছিল না, এমন এক সময় যে ছিল, তাহ। আমর অম্লমান করিতে পারি। সেই সময়ই পৃথিবীর প্রত্নপ্রস্তর যুগ । প্রত্ন প্রস্তরযুগের কাল হইতে এখনকার সময় পৰ্য্যস্ত লক্ষাধিক বৎসরের নুন হওয়া সম্ভব নয়। পৃথিবীতে দুইবার তুষার যুগের আবির্ভাব হয়। অনেকের অনুমান, তুষার যুগন্বয়ের মধ্যবৰ্ত্তী কালে পৃথিবীতে মানুষের সমাগম হয়। প্রায় লক্ষাধিক বৎসর পূৰ্ব্বে শেষ তুষার যুগের অবসান হয়। সুতরাং শেষোক্ত হিসাবে মানব-জাতির বয়স দুই লক্ষ বৎসরেরও অধিক ধরা যাইতে পারে । প্রায় ছয় সাত লক্ষ বৎসর পূর্বে অস্ত্যাধুনিক যুগের আবির্ভাব হয় । অস্ত্যাধুনিক যুগের প্রারস্তকালে যদি মানুষের আবির্ভাব হইয় থাকে, তাহা হইলে বুঝিতে হইবে প্রায় ছয় সাত লক্ষ বৎসর পূৰ্ব্বেও পৃথিবীতে মানুষ ছিল। অস্ত্যাধুনিক যুগের পুর্বের যুগকে বঙ্গাধুনিক ( Plioront ) যুগ বলা হয়। এই যুগে ব্রিটেন দ্বীপ য়ুরোপ মহাদেশের সহিত সংযুক্ত ছিল । বহ্বাধুনিক যুগে মানবজাতির পূর্বপুরুষের ধরণী-পৃষ্ঠে বিচরণ করিতেন, এবং এমনও প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে যে, এই যুগের শেষভাগে, মানবের আবির্ভাব হয় । প্রায় আট কোটি বৎসর পূৰ্ব্বে জীব-জননী ধরিত্রার জন্ম হইয়াছিল, এবং প্রায় চার কোটি বংমর পূৰ্ব্বে ধরিত্রী জীবজননী-পদারূঢ় হন । মানব ধত্রিীর সর্বকনিষ্ঠ সন্তান, পৃথিবীতে তাহার বয়স আট লক্ষ বৎসর মাত্র । . অনেকে অনুমান করেন যে, প্রথম তুষার যুগের আবির্ভাবের পূৰ্ব্বেও পৃথিবীতে মানুষ ছিল। যদি এই অনুমান যথার্থ হয়, তাহা হইলে, মানব-জাতির বয়ঃক্রম দশ লক্ষ বৎসরের কম নয় । তবে pro-glacial যুগে মানবের অস্তিত্ব ছিল কি না তাহ একরূপ সন্দেহের বিষয় । যtহ। হউক, মামুযের বয়ঃক্রম অস্তুতঃ দশ লক্ষ বৎসর ধরা যাইতে পারে। প্রাচীন মিসরীয় ভাষl, Hamito-Semitie বিভাগের অস্তগত । পুবেল এই ভাষা Somitic বিভাগের অন্তর্গত ছিল । আট হাজার বৎসর পূর্বে প্রাচীন মিসরীয় ভাষা বিশেষ উৎকধ লাভ করিয়াছিল। তৎপুর্বে ইহt Semitic বিভাগ হইতে বিচ্ছিন্ন হইয় HanitoNemitic বিভাগের অন্তর্গত হয় । Neander উপত্যক হইতে প্রাপ্ত মানবকঙ্কাল পরীক্ষা করিয়া দেখা গিয়াছে যে, Neanderthal জাতি পচিশ ত্রিশ হাজার বৎসর পূর্বের মানুষ। ষবদ্বীপে বেনগাওয়াল ( Bongawan ) নদী-তীরে যে-সকল কঙ্কালাংশ পাওয়া গিয়াছে, -ডাগুণর ইউজিন দুবোআর (Dr. Eugene IDubois) মতে, সেগুলি যে-জীবের কঙ্কালাংশ, সেই জীব আধুনিক গরিল-জাতীয় জীব এবং আধুনিক মানুষের মধ্যবৰ্ত্তী স্বত্র। প্রাচীন যুগের মানুষের যে-সকল কঙ্কালাস্থি পাওয়া গিয়াছে, সেগুলি পরীক্ষ। করিয়া পণ্ডিতের এই সিদ্ধাস্তে উপনীত হইয়াছেন যে, প্রাচীন যুগের মামুষের গরিলা সদৃশ আকৃতি ও গঠনষিশিষ্ট ছিল। এখন মানুষ গরিলা জাতীয় প্রাণী কি না, সে-বিষয়ে অনেক আন্দোলন চলিতেছে। এখন এই বিষয়ের যথার্থ মীমাংসায় উপনীত হইতে হইলে, মানুষ ও গরিলা জাতীয় প্রাণীর মধ্যে কোন কোন বিষয়ে বিশেষ পার্থক্য, তাহাই প্রথমে দেখা কৰ্ত্তব্য । প্রবাসী—বৈশাখ, రిరిe [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড অন্তান্ত স্তন্যপায়ী জন্তুদিগের অপেক্ষা, গরিলাজাতীয় প্রাণীর আকৃতি ও গঠন-বিষয়ে মানুষের সহিত অনেক সাদৃগু আছে। কিন্তু অন্যান্ত স্তন্যপায়ী প্রাণীর সহিত তুলনায়, আকৃতি ও গঠন বিষয়ে, গরিলা জাতীয় প্রাণী মানুষের খুব নিকটবর্তী হইতে পারলেও, মানুষ এবং গরিলা একত্র দণ্ডায়মান হইলে, এই উভয় জাতীয় প্রাণীর মধ্যে ব্যবধান অনতিক্রম্য হইয় পড়ে। মানুষ দুই পায়ের উপর ভর দিয়া সোজা দাড়াইতে পারে, মানুষের গাত্রে বড় বড় ঘন লোম হয় না, তাহার হস্তদ্বয় | আজানুলম্বিত নহে, তাহার বক্ষ ও কপাল প্রশস্ত, তাহার সুস্পষ্ট চিবুক আছে, তাহার করোটি স্ববৃহৎ ও তষ্মধ্যস্থ মস্তিষ্কের পরিমাণ অত্যধিক । কিন্তু মামুধের বাকুশক্তি এবং বিবেচনা-শক্তি মানুষকে পৃথিবীর অন্য সকল প্রাণী হইতে স্বতন্ত্র করিয়াছে। গরিলাজাতীয় প্রাণীর বাবযন্ত্রের অভাব আছে । অনেকে মনে করেন, ভাষা মানুষই তৈয়ারী কুরিয়া লইয়াছে। কিন্তু এরূপ মনে করা একেবারেই ভুল। কারণ কোল-না কোন আকারে যদি মানুষের বাক্যন্ত্র থাকে, তাহ হইলে নিশ্চয়ই কোন-না-কোন আকারে. মানুষের ভাষাও থাকিবে । মানুষের বাকুশক্তি যে একেবারেই উৎকৰ্ষ লাভ করে নাই, এবিষয়ে কিছু মাত্র সন্দেহ নাই। মানুষ যেমন ধীরে ধীরে মনুষ্যেতর প্রাণী হইতে আবিভূত হইয়ছে, মামুমের বাকশক্তিও তেমনই অপরিস্ফুট অবস্থা হইতে ধীরে ধীরে পরিস্ফুট হইয়াছে। পুৰ্ব্ব মানব-শরীরের এমন এক অবস্থা ছিল, যখন মানুষের বাক্যন্ত্র অপরিস্ফুট ছিল। মানুষের শরীরের ক্রমশঃ উন্নতির সঙ্গে-সঙ্গে মনুষ্য-শরীরস্থ বাক্যঞ্জ ক্রমশঃ পরিস্ফুট হইয়াছে। গরিল-জাতীয় প্রাণা হইতে মানুষের বিশেষত্ব এই যে, মানুষের বাকৃশক্তি এবং চিন্তা-শক্তি আছে । ( মাধবী, ফাল্গুন ১৩৩২ ) শ্রী অমূল্যচরণ ঘোষ, বিদ্যাভূষণ সমবায় ও আদর্শ পল্লা , ভারতের শিল্প-বাণিজ্য বিদেশীর করতলগত । ইহার একমাত্র প্রতিকার --দলবদ্ধ হইয়া কাজ করা, এবং সমবায়কে ভিত্তি করিয়া জাতীয় শিল্পবাণিজ্য গড়িয়া তোলা । পল্লীই জাতি-সংগঠনের প্রশস্ত ক্ষেত্র। পল্লীতেই জাতির প্রাণপ্রতিষ্ঠা করিতে হইবে । প্রত্যেক পল্লীকে একটি পৃথক কেন্দ্র করিয়া একটি সমবায় বাঙ্ক স্থাপন কর প্রয়োজন । • গ্রামস্থ সকল পরিবার হইতে সমপরিমাণ মুলধন লইয়। এই ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠিত হইবে । যাহার টাকা দিয়া অংশ ( Share ) লইতে অক্ষম, র্তাহীদের জন্ত কোন-বিশেষ বন্দোবস্ত করা যাইতে পারে ; যেমন তাহীদের পরিশ্রমকে অংশরূপে লওয়া । ব্যাঙ্কের সম্পদ বৃদ্ধির জন্য ইহার কাজ হইবে – ( ১ ) গ্রামবাসীদের মধ্যে যথাসম্ভব কম স্বদে টাকা ধার ( Loan ) দেওয়া । এই স্বদ ব্যাঙ্কের কার্যকরী সমিতি নিৰ্দ্ধারণ করিয়া দিলে । (২) গ্রামবাসীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহের নিমিত্ত একটি দোকান (Co-operative Store ) খোলা । সমিতি কর্তৃক নির্দিষ্ট দ্যায্য লাভে এই সমবায়-ভীওীর গ্রামবাসীকে যাবতীয় জিনিষ সরবরাহ করিবে । (৩) গ্রামের উৎপন্ন দ্রব্য হইতে গ্রামবাসীদের অভাব মিটাইয় যে-অংশটা উদ্বত্ত হয়, তাহ কিনির গুদামজাত করিয়া রাখা এবং সময় ও স্ববিধামত দরে বিক্রয় করা । অন্ত স্থান হইতে পাইলেও
পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।