পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য ] - প্রবাল శ్రీలిలి छूबि cउामाब्र काच निरब २ाक उ३, आभाइ बिटरब দাও।” * রমা চোখ ঘুরিয়ে প্রিয়র চিৰুক ধ’রে বললে, “কি আমার আদরের কথা গো ! বিদেয় দেবার জন্তেইতো এতো সাধ্যি-সাধনা ক’রে ডেকে পাঠিয়েছি।” প্রিয় বললে, “ওদিকে কৰ্ত্তার যে বাড়ী আসবার সময় হয়ে এল। তিনি এসে গৃহ শূন্ত দেখে মাথায় হাত দিয়ে বসবেন যে ।” রমা বললে, “পুরুষ-মানুষের মধ্যে মধ্যে আমন একটু বালসানো ভাল বোন—নইলে পরে রোগে ধৰলে বড় কঠিন হয়ে দাড়াবে ।” প্রিয় হেসে বললে, “সত্যি নাকি ? তোমাব ভাই অনেক রকম জানা-শোনা আছে দেখছি ।” রমা বললে, “আজ সত্যিই এ বেলা ছাড় ছি না। শিখরের আজ জন্মতিথি ; তোমায়ু ওবেলা খেয়ে তবে যেতে দেব ।” প্রিয় বললে, “বাঃ সে কথা ত আমি কিছুই জানি না। আমি দিদি হই, আমি তাকে খাওয়াব, না উন্টে আমি নিজেই খেতে বস্ব।” রমা বললে, “সে না হয় অন্ত দিন তুমি তাকে খাইও, আজ তো নিজেই খেয়ে যাও। দুই বন্ধুতে তারপর ঘরোয়া স্থখ-দুঃখের কথা স্বরু হ’ল । পাচটা এদিক সেদিকের কথা হ’তে হতে প্রিয় বললে, “উনি এখানে আর থাকৃতে চাইছেন না। এদেশে ওর মোটেই ভাল লাগে না, তাই বলছিলেন বদলির দরখাস্ত দেবেন। এ-দেশে এত খুন-খারাবী আর সেইসব খুনের ভেতর এত কেলেঙ্কারীর ব্যাপার যে দেখে-শুনে ওর মন ভারী খারাপ হ’য়ে গ্যাছে।” রমা বললে, “সে সত্যি কথা—তার ওপর তোমার কৰ্ত্তাটি এমনি অচল-ধরা যে, অবসর সময়ে দুদণ্ড সবার সঙ্গে মিশে যে হাসি-খুলী করবেন তার জোঁ-টি নেই। এতে আর মন ভাল হয় কি ক’রে ! আমাদের ইনি সেদিন বলছিলেন যে, তোমার বন্ধুটি নেহাৎ কৰ্ত্তাটিকে আঁচল ঢাকা দিয়ে রাখতে চান দেখি—সত্যি বোন শুক্রব-মানবের নেহাৎ কোণ-ঘেসা স্বভাব ভাল না।” কেদার কিন্তু সত্যিই অমিশুক লোক নয় ; বরং মেলা-মেশা গল্পগুজব গান-বাজনা সবেই তার বেশ অম্বুরাগ আছে । কিন্তু কাজকর্শ্বের ঝঞ্জাটের পর প্রাস্তক্লান্ত মন নিয়ে সে প্রথম-প্রথম মতিবাবুদের আড্ডায় এসেই যে-সব ধরণের গান-গল্প আর অশ্লীল আলোচনার পরিচয় পেয়েছিল, তাতে প্রথম থেকেই তার মন বিগ ড়ে যাওয়াতে সে আর এদিকে ঘেস্তে চাইত না। স্বামীর আদব-সোহাগেব যথেষ্ট অধিকারিণী হ’লেও কোনো বুদ্ধিমতী স্ত্রীই স্বামীর স্ত্রৈণ আখ্যাটিকে শ্রদ্ধার চক্ষে দেখতে পারে না, সুতরাং প্রিয় মুখ কালে ক’রে ব’লে উঠ ল,“উনি আঁচল ধ’রে ঘরের কোণে বসে থাকবার মাছুয মোটেই নন; কিন্তু আড্ডায় যে-সব কথাবাৰ্ত্ত হয় তা শুনে ওর মোটেই ভাল লাগে না। কে নাকি এখানে । পরাণ মণ্ডলেব ভাজ আছে, তার কথা নিয়ে বাবুরা নাকি সেদিন বড় হাসাহাসি করেছেন ; শুনে তিনি যেমন বলেছেন যে, কোনো স্ত্রীলোকের কথা নিয়ে এমন আলোচনা করা উচিত না, অমনি একজন বাবু বললেন,— সে মাগীর সাতকুলে কেউ নেই ; তার আলোচনা করলে কারু বউঝির আলোচনা ব’লে একটা দোবের কথা ত হবে না। উনি কিন্তু এসব মোটেই পছন্দ করেন না । আচ্ছা ভাই, এখানকার পুরুষরা যে এইসব আলোচনা করে, মেয়ের একটু বারণ করে না কেন ?” দু'টি চোখ বিস্ময়ে ডাগর ক’রে রমা ৰ'লে উঠল-- “মেয়ের মানা কবে বাবুদের ? বাবুরা তা শুনবেমই * কেন ? মেয়েরা আপনার ঘরসংসারের কাজ স্বামী-পুত্রের সেবা এইসব নিয়ে আছে ; বাইরে পুরুবর কি করছে, কার চর্চা কবৃছে ও-সবে কান মেয়ের দিতেও যায় না, যাওয়া উচিতও না।” প্রিয় বললে,—“অনেক পুরুষদের যে নানারকম স্বভাবদোষ আছে তার জন্তেও কি স্ত্রীদের কিছু বলা উচিৎ না, তুমি মনে কর? আমি তো ভাই মনে করি, খুব উচিত।" রমা একটু হেসে বললে—“এটি ঠিক হিন্থর মেয়ের মতন কথা তুমি বললে না প্রিয়। তুমিও হিন্দুঘরের মেয়ে, এশ্লোকটা বোধ হয় ছোট বেলা থেকেই শুনে এসেছ যে, “পুরুষ পরশমণি" ; ওদের স্বভাব-দোষ ধেটা,