পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] ( २v ) দ্রৌপদীকে পণরক্ষ{ মহাভারত পাঠে আমরা জ্ঞাত হই যে যুধিষ্ঠির তাহার স্ত্রীকে পণ রাথির দু্যতক্রীড়া করিয়াছিলেন, কিন্তু হিন্দু ধৰ্ম্মানুসারে ছ্যতক্রীড়া অতীব দোষণীয় অথচ উহাকে ধৰ্ম্মরাজ বলা হয় কেন ? শ্ৰী রাধাবিনোদ অধিকাৰী ( २२ ) বৈষ্ণব পদাবলী যাহাতে বৈষ্ণব-পদাবলীর প্রকৃত গুঢ় অর্থ হৃদয়ঙ্গম হয় কোন সাধকের এরূপ কোন সটীক-সংস্করণ বাহির হইয়াছে কি ? ঐ রামকিঙ্কর যশ ভক্ত ( هك ) “বাবু” ও “সাহেব" শব্দ “বাবু” এবং “সাহেব” শব্দদ্বয় বহু ভাষায় ব্যবহৃত হয় । প্রকৃতপক্ষে উল্লিখিত শব্দদুইটি কোন ভাষার এবং কখন কোন ভাষা হইতে কোন ভাষায় প্রবেশ লাভ করিয়াছে, জানিতে চাই । ठै भूलझैाग्न भूकम्लो ( ৩১ ) সগোত্রে বিবাহ হিন্দুদের মধ্যে সগোত্রে বিবাহ নিষেধ, বাংলা দেশের বাহিরেও এই নিষেধ প্রচলিত আছে কি ? এই নিষেধের মুলে বৈজ্ঞানিক কারণই ব’ কি এবং শাস্ত্রীয় অনুশাসনই বা কোথায় ? শ্ৰীমতী রাণী সেন মামাংসা కR-X రిడి), হিন্দু ও মুসলমানদের যুদ্ধপোষাক প্রাচীন কালে হিন্দু ও মুসলমান রাজত্ব সময়ে সৈন্যদলের সম্বন্ধে প্রাচীন ইতিহাস, সাহিত্য ও নানা গল্পসল্প হইতে অবগত হওয়া যায়— ১ ) হিন্দুদের পোষাক বা হিন্দু Uniform ছিল শরীরের বর্মীবরণ ; স্তধিকাংশ স্থলে তাহীদের শরীরাবরণ কিছুই ছিল না দেথা যায়। (২) মুসলমানদের পোষাক তাহীদের দেশীয় পোষাকই ছিল । যুদ্ধ-কালেও তাঁহার তাহীদের দেশীয় পোষাক ছাড়ে নাই । - ॐ ब्रां८कwitलleन ¢मन ( ১৩ ) বিছা Sulphate of Ammonia জলের সহিত মিশ্রিত করিয়া ফুলের বা ফলের গাছে, আস্ত আস্তে রোজ ছড়াইয়া দিলে, অল্পদিনের মধ্যেই, গাছের বিছ। মরিয়া বা সরিয়া যায় ও গাছ রক্ষা পায় ; ইহা পরীক্ষা করিয়া দেখা গিয়াছে। কিন্তু এই ঔষধ প্রয়োগে একটু সাবধানত অবলম্বন করা দন্থকার, নচেৎ Ammoniaর আধিক্যে গাছ নষ্ট হইবার সস্তাবনা আছে ; সাধারণত: এক বালতী জলে, বড় চামচের এক চামচ Sulphate of Alamonia feitêre skrs, stasiffers en stts নিয়মিত ছড়াইয়া দিলে, পোকা ত নষ্ট হইবেই, গাছও ক্রমে যেশ সবল হইতে দেখা গিয়াছে । - শ্ৰী শ্ৰীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বেতালের বৈঠক—মীমাংসা tులిగి বাগানে কিম্বা শস্য-ক্ষেত্রে বিছার উপাৰ হইলে নিম্নলিখিত উপায়ে নষ্ট করা যাইতে পারে। যথা— প্রতি দশ দের তামাক-পাত ডিজান জলের সহিত একগোয় আন্দাজ চুণ মিশ্রিত করিয়৷ সেই জল দ্বারা পোকাধর গাছের পাত উত্তমরূপে ভিজাইয়া দিলে বিছা কিম্ব শস্তাদির অনিষ্টকারী যে কোনো পোকা নষ্ট হইয়! যাইবে । দশ সের জলে এক সের ভাল তামাক পাতা ১২।১৩ ঘণ্টাকাল ভিজাইয়। রাখিতে হুইবে । জাম, লিচু ইত্যাদি যে সমস্ত গাছের পাত একটু মোট ও শক্ত সে সমস্ত গাছে বিছােয় ধরিলে সামান্ত কেরোসিন মিশ্রিত গরম জলের পিচকারী দ্বারা গাছের পাতা ধুইয়া দিলে সমস্ত বিছা নষ্ট হইয়া যায়। শাক-সঙ্গীর বাগানে বিছ কিম্ব অন্ত কোনো প্রকার পোকার উপদ্রব হইলে, এতদ্দেশীয় কৃষকগণ সাধারণতঃ ছাই ছড়াইল্প দিয়া থাকে । তাহাতে বাগানের অনিষ্টকারী এই সমস্ত পোকার উপদ্রব অনেকট হ্রাস পাইতে দেখা যায় । স্ত্র পূর্ণেন্দুভূষণ দত্ত রায় । ( २७ ) বাঙ্গালীয় কৌলিন্ত প্রথা অনেকের ধারণা, কুল’ ও ‘কুলীন—এই দুইটি শব্দ বল্লাল সেনের তামলেই হুষ্টি হইয়াছে । কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাহা নহে। "কুল" বংশ বুঝায় এবং উত্তম বংশ-জাত লোককে বুঝাইবার জন্ত কুলীন’-শব্দ ব্যবহৃত হয় । মহারাজ বল্লাল সেনও উত্তম কুলেীম্ভব এবং আচার বিনয়াদি নবগুণ বিশিষ্ট (“আচার বিনয়োবিদ্যা প্রতিষ্ঠ উীর্থদর্শনমূ। নিষ্ঠাবুক্তিস্তপে দানং নবধা কুললক্ষণম্।") ব্যক্তিকে কুলীম বলিয়া প্রচার করেন । কুক্ৰিয়াকারিগণের অবজ্ঞা এবং সংক্রিয়াশীল লোকের পুরস্কার করিয়া সমাজের দোষ সংশোধন করাই কৌলিন্ত মৰ্য্যাদা-বিধানের একমাত্র কারণ বলিয়া মনে হয় । বল্লাল সেন গুণ বিচার করিয়া গুণীর সমাদর করিবার জন্য ব্রাহ্মণ কায়স্থগণের মধ্যে কৌলিন্ত-প্রথার প্রবর্তন করেন । অনেকের এই সিদ্ধাস্ত যে, বল্লাল রাঢ়ী ও বীরেশ্র-শ্রেণী বিভাগ করেন মাত্র। এই শ্রেণীবিভাগ-বিধায় উহার কি গুঢ় উদ্দেশ্ব ছিল, তাহ। স্থির করা সুকঠিন। তবে তিনি যে গুণ বিচার করিয়াই কৌলিস্কমর্যাদা স্থাপিত করেন, তাহাতে কোন সন্দেহ নাই । এসম্বন্ধে বিস্তুত কারণ জানিতে হইলে, “গৌড়ীয় হিন্দুজাতি”, “ব্রহ্মণ-ইতিহাস”, “কুলপঞ্জী" প্রভুতি পুস্তক পাঠ করা উচিত। স্ত্রী রমেশচন্দ্র চক্ৰবৰ্ত্ত । { ১৯ } তেলের রং তেলে আর জলে মিশ খায় না । তেল হাঙ্ক বলিয়া জলের উপর ভাসিতে থাকে । জলের উপর কিছু তেল ঢালিয়া দিলে সেগুলি অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিন্দুতে পরিণত হয়—কচু বা পদ্ম পাতায় এক ফোট জল দিলে যেরকম হয় । আলোর ভিতর সাতটা রঙ আছে । সেই সাতট রঙ, ঐ বিলুগুলির ভিতর দিয়া বিভক্ত হইয়া যায়, তাই নানা রকম রং দেখা যায় । যে কারণে আমরা আকাণে রামধনু দেখি ঠিক সেই কারণেই আমরা তেলে জলে নানা রকম রঙ দেখি রামধন্তুর মতন তাতেও সাতট রঙই থাকবার কথা । ঐ স্ববোধ দাশগুপ্ত