পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q8 e না আসিবার জন্য সে প্রাণপণ করিয়াছে সেখানেই এখন সম্পূর্ণ ইচ্ছার বিরুদ্ধে আনীত হইয়া সে রাগে গরগর করিতে লাগিল । সহসা যুবকটি চেয়ারটি একটু পিছনে ঠেলিয়া বলিল, “রাত বারোটা পার হ’য়ে গেছে ; তার স্ত্রী ব’লেছিল সে এই সময়ে বাড়ী ফিরূবে ; আমি গিয়ে তাকে আসতে বলিগে ।” যুবকটি অনিচ্ছার সহিত উঠিয়া দাড়াইল ও চেয়ারের পশ্চাতে রক্ষিত কোটটি তুলিয়া লইল । e মহিলাটি অশ্রুরুদ্ধকণ্ঠে বহুকষ্টে বলিলেন, “আমি বেশ বুঝতে পারছি গুস্তাভসন, ওই লোকটির পেছনে ছোট ছুটি করাটা তোমার মোটেই মনঃপূত হচ্ছে না, কিন্তু মনে রেখে সিস্টার ঈডিথের এটা শেষ অতুরোধ।” কোটের হাতার হাত ঢুকাইতে ঢুকাইতে যুবকটি একটু থামিয়া বলিল, “সিস্টার মেরী, হয়ত সিস্টার ঈডিথের জন্য এইটিই আমার শেষ কাজ, কিন্তু তবু আমি আশা করছি যেন ডেভিড হল্ম বাড়ীতে না থাকে, কিম্বা থাকলেও যেন এথানে আসতে স্বীকার না পায় । ক্যাপ্টেন এণ্ডারসন ও আপনার অনুরোধে আজ অনেকবার তার খোজে গিয়েছি ; তার সঙ্গে দু’ একবার দেথাও হয়েছে এবং সে প্রত্যেকবার বেঁকে বসেছে ব’লে, কিম্বা আমি কি আর কেউ তাকে আনতে পারিনি ব’লে আমি স্বর্থীই হয়েছি।” নিজের নাম উচ্চারিত হইতে দেখিয়া ডেভিড হলম্ উঠিয়া বসিল ; তাহার মুখে একটা কদৰ্য্য বিদ্রুপের ভাব ফুটিয়া উঠিল । সে বিড় বিড় করিয়া বলিল, “এ লোকটার তবু একটু বুদ্ধি আছে দেখছি।” মহিলাটি যুবকের দিকে তীব্র দৃষ্টিপাত করিয়া পরিষ্কার কণ্ঠে বলিলেন, “গুস্তাভসন, আশা করি এবার তুমি তাকে আনবার জন্যে প্রাণপণ চেষ্টা করবে ; তাকে সিস্টার ঈডিথের কথা এমন ভাবে বলবে যে সে যেন বুঝতে পারে তাকে আসতেই হবে ।” যুবকটি বিশেষ অনিচ্ছার সহিত দরজারদিকে অগ্রসর প্রবাসী-শ্রিাবণ, ১৩৩৩ [ २७* छांनं, »न थ७ হইল । দরজার কাছ হইতে হঠাৎ সে জিজ্ঞাসা করিল, “যদি সে খুব মাতাল হ’য়ে থাকে তা হ’লেও কি তাকে এখানে আনৃব ?” “সে যেমূন অবস্থাতেই থাক তাকে আনবে, এই আমার ইচ্ছ। যদি সে মাতাল হয় ত এখানে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে থাকলেই তার নেশা কেটে যাবে। তাকে এখানে আনাই এখন সব চাইতে দরকার।” যুবকটি দরজার হাতলে হাত দিয়া কি ভাবিয়া টেবিলের নিকট ফিরিয়া আসিল, রুদ্ধ আবেগে তাহার মুখ পাংশুবৰ্ণ । সে বলিল, “আমার কিন্তু মোটেই পছন্দ নয় যে ডেভিড হলমের মতো একটা লোক এখানে আসে। সিসটার মেরী, আপনি ত বেশ ভাল ক’রেই জানেন, সে কি চরিত্রের লোক । আপনার কি মনে হয় সে এখানে আসবার উপযুক্ত ?” ভিতরের শয়ন-ঘরের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া বলিল, “ওকে ওই ঘরে প্রবেশ করতে দিলে কি ঘরট বিষাক্ত হ’য়ে উঠবে না ?” সিস্টার মেরী বলিতে গেলেন, “তুমি কি মনে কর—“ কিন্তু যুবকটি তাহার কথা শেষ না হইতেই বলিয়। উঠিল, “সিস্টার মেরী, আপনি কি বুঝতে পারছেন ন: ও এখানে এসে আমাদের কি ঠাট্টা-বিদ্রুপই না করবে ! সে বড়াই ক’রে বেড়াবে যে মুক্তিফৌজের একজন সিস্টার তাকে এমনই ভালবাসত যে তাকে একবার শেষ না দেখে সে মরুতে পৰ্য্যন্ত পারেনি।” সিস্টার সহসা যুবকটির মুখের দিকে চাহিলেন : চট করিয়া একটা উত্তর দেওয়ার জন্য র্তাহার ওষ্ঠ কম্পিত হইতেছিল কিন্তু তিনি সংযত হইয়া কি যেন ভাবিতে লাগিলেন । - যুবক বলিল, “সিসটার ঈডিথের যে ও কুৎসা গেয়ে ফিবৃবে তা আমি কিছুতেই সইতে পারব না—বিশেষ ক’রে তার মৃত্যুর পরে।” গম্ভীরভাবে, বিশেষ জোর দিয়া সিস্টার মেরী অবিলম্বে উত্তর করিলেন, “গুস্তাভসন, তুমি কি জোর ক'রে বলতে পার যে ডেভিড হলম্ যদি সে কথা ভাবে তাহ’লে সে মিথ্যা ভাববে ?” ভূমি-শায়িত বন্দী চমকিয়া উঠিল, তাহার হৃদয়ে এক