পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ পংখ্যা ) তুলেছিলাম। এত ভোরে এরূপ অভিনব বেশে হঠাৎ আমাদের আবির্ভাবের কারণের উত্তরে যখন শুধু ‘Surprise’ ছাড়া আর কোন উদ্দেশ্য নাই বুঝিয়ে একখানা বেঞ্চে বসে পড়লাম, ক্ষিদেটা তপন বেশ রীতিমতভাবেই অস্থির করে তুলেছে। এখানে চা ও মোটা গোছের জলযোগের পর, গত রাত্রের জাগরণের অবসাদহেতু আজ আর অগ্রসর হওয়া সম্বন্ধে যখন মতদ্বৈধ হ’ল, তখন পকেট থেকে একটা টাকা বের ক’রে তার সাহায্যে ভাগ্য-পরীক্ষা ক’রে দেখা গেল। আজ এখানে থাকার দলেরই জিৎ হয়েছে। স্বতরাং কাছেই নিরঙ্কর মামা শ্ৰীযুক্ত অতুলচন্দ্র ঘোষ মহাশয়ের বাড়ী থাকায় সেখানে গিয়ে ওঠ গেল । গুরুতর আহার ও রীতিমত বিশ্রামের পর সাইকেল পরিষ্কার ক’রে সন্ধ্যার আগে সহর দেখতে বার হ’ল।ম । সংর দেখে আমরা ষ্টেশনের দিকে চললাম। এখানে নূতন electric installation <£ &'3VE Ca<i C*j* I 3^{A নিরঙ্ক চিঠি লিখে আসানসোলে আমাদের থাকার বন্দোবস্ত করে তার নিজের কৰ্ত্তব্য শেষ করলে। সকলের কৌতুহলদৃষ্টি এড়িয়ে ও উপযু্যপরি প্রশ্নের যথা সম্ভব উত্তর দিয়ে বাড়ী ফিরতে রাত ন’টা হ’ল । খাওয়া-দাওয়ার পর আমরা গত রাত্রের রাত্ৰিজাগরণের অবসাদটুকু পুষিয়ে নেওয়ার জন্যে বিনা বাক্যব্যয়ে শুয়ে পড়লাম। আজ ৮ মাইল এলাম। কলকাতা থেকে মোট ৭৩ মাইল আস। ', 1 ২৪ শে সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার—রওনা হতে ৫টা বাঙ্গ ল ৷ ষ্টেশনের পাশ দিয়ে গ্র্যাণ্ড-ট্রাঙ্ক রোড ধ'রে আসানসোলের উদ্দেশ্বে অগ্রসর হলাম। ফসর্ণ হ’য়ে এল ; রাস্তাটির ব্যদিকে ধান ক্ষেতের ওপারে দূরে কতগুলি সাদ মন্দিরের চূড়া দেখা গেল। খানিক দূর যাওয়ার পর অশোকের সাইকেলের ফ্রি হুইল একটু গোলমাল সুরু পৰ্ব্বলে। বাহনের ডাক্তার আনন্দর তখন ডাক পড়ল । মিনিট দশেক কসরতের পর সেটাকে ঠিক ক’রে আবার ১ল্লাম । চন্‌চনে রোদে তেষ্ট পেতে গলসি থানায় নেমে পল খেলাম। থানায় দু’একটী কনেষ্টবল ছাড়া আর কেউ নেই। জিজ্ঞাস ক’রে জানা গেল ইনস্পেক্টার-বাবুর সদল*পে বেলজিয়ামের রাজদম্পতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের সাইকেলে কাশ্মার ও আর্য্যাবর্ত ৬৬৯ জন্য লাইনের ধারে সারবন্দী হ’য়ে পাহার দিতে গেছেন । , পর পর বারখানিওভারল্যাও মোটর ধুলে উড়িয়ে আমাদের পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেল। ধুলোয় সমস্ত শরীর ভরে গেল—এটা ভারী বিরক্তিকর। কে জানত তখন এই অস্থবিধাটুকু অল্পবিস্তর রোজই ভোগ করতে হবে । রাস্তার রং গেরিমাটির মতো লাল হ’তে সুরু হ’য়েছে । রেলের লাইনটি ক্রমশঃ স’রে আসতে আসতে একবারে রাস্ত ডিঙিয়ে পাশে পাশে চলল। বা দিকে পানাগড় ষ্টেশন । দুরে ডান দিকে র্কাসর ঘন্টার বাজনা শুনে আজ যে সপ্তমীপূজা, মনে পড়ে গেল। বেল প্রায় সাড়ে ন’টা । পূজাবাড়ীতে এ বেলার মতো আতিথ্য গ্রহণ করা সকলের ইচ্ছা হওয়াতে আমরা একটা কাচা রাস্ত ধ’রে প্রায় মাইলথানেক যাওয়ার পর কাক্সা গ্রামের মধ্যে পূজাবাড়ীতে পৌঁছলাম। এ রকম নূতন ধরণের অতিথিদের অভ্যর্থনা করবার জন্য বাড়ীর কৰ্ত্তার মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না। এত কষ্ট স্বীকার ক’রে আমাদের দেশ ভ্রমণে যাওয়ার অর্থ, যখন র্তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা ক’রে ও বোঝাতে না পেরে একটু অপ্রস্বত হ’য়ে পড়েছি, বাড়ীর ছেলেরা তখন বেরিয়ে এসে আমাদের এই সঙ্কটাপন্ন অবস্থা থেকে উদ্ধার করলেন। তার আমাদের পোষাক ও সাইকেলের সরঞ্জাম দেখেই সমস্ত বুঝতে পেরেছিলেন ও বাইরের একখান। ঘরে আমাদের বিশ্রামের ব্যবস্থা ক’রে দিলেন । আমরা পোষাক ছেড়ে লুঙ্গি পরে চান করুবার বন্দোবস্ত করতে লাগলাম। কৰ্ত্তারা একেই আমাদের সন্দিগ্ধ দৃষ্টিতে দেখ ছিলেন তার ওপর যখন লুঙ্গি পরে আমরা পুকুরে চান করতে গেলাম, তখন বৃদ্ধ পুরুত মশায়ের সঘন দৃষ্টিপাত জানিয়ে দিল যে আমাদের এরূপ স্লেচ্ছ-আচরণ তিনি বরদাস্ত করতে পারছেন না। কিন্তু আমরা তাতে নাচার। পরে সে দিন রাস্তায় আমাদের অনেক কষ্ট পেতে হয়েছিল। তখন বলবিলি করেছিলাম বুদ্ধ ব্রাহ্মণের অভিশাপের ফল না কি ! বেল তিনটার পর রোদের ঝ tঝ কম্লে আমর বেরুলাম। পা দিকে দূরে অস্পষ্ট পাহাড় দেখা গেল । অবেলায় খাওয়ার জন্য বড় আলস্য বোপ হ’তে লাগল। মন্থর গতিতে চলেছি, সামনে (ಡ್ একট। গরুর গাড়ী