৪র্থ সংখ্যা ] ત્યાર না বদল করলে চলবে না । কাল রাত্রে দেখতে পাই নি, আজ দেখে বুঝতে পারলাম মিস্ত্রীর কথাই ঠিক । *Reiß Fork (of ) 8 co-total mud guard (xiē, গার্ড ) বদল আর Rim ( রিম্) মেরামত করা হ’ল। বলা বাহুল্য এখানে এ সবের দাম ক'লকাতার দ্বিগুণ । এইসব হ্যাঙ্গাম মিটিয়ে ফিরতে প্রায় বারট। বাজ ল । খাওয়া-দাওয়ার পর বেরুতে বেলা সাড়ে তিনটা হ’ল । সুইরের ভেতর দিয়ে আমরা চলেছি । ব্যদিকে সারি সারি দোকান ও ডান দিকে বরাবর রেল য়ে কৰ্ম্মচারীদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কোয়ার্টার ছাড়িয়ে আমরা বি, এন, আর পুলের ওপর উঠ লাম ; নীচে দিযে লাইনটি আদ্রার দিকে চলে গেছে । বাংলার দৃশ্য এখানে একেবারে বদলে গেল । দূরে ছোট পাহাড় আর তাদের পায়ের নীচে ধানে-ভরা সবুজ ক্ষেত। ঘাসে মোড় উচু নীচু মাঠের ওপর দিয়ে লাইনটি ক্ৰমশঃ অদৃশ্য হ’য়ে যাচ্ছে। রাস্তাটিও সঙ্গে-সঙ্গে ঢেউয়ের মতো একবার উচু একবার নীচু হয়ে চলল। এরকম রাস্তায় সাইকেল চালান ভারী কষ্টকর। ওপরে ওঠবার ময় সাইকেল সবচেয়ে উচু জায়গাটার কাছ পৰ্য্যন্ত এসে একেবারে থেমে পড়ে। নাম্বার সময় অবশ্য খুব আরাম কিন্তু লাভ লোকসান খতিয়ে দেখলে লোকসানের ভাগই বেশী। সীতারামপুরের কাছে নিয়ামতপুরে এসে জল খাওয়ার জন্য নামতে হ’ল । একে এ রকম রাস্তা তার ওপর রোদের ঠেলায় প্রাণ অস্থির। বেল সাড়ে পাচটার হারামণি ✓ግ > সময় আকাশে মেঘ জমৃতে স্বরু করল। কুলটির কাছে যখন এলাম মেঘে আকাশ ছেয়ে ফেলেছে—ঠাণ্ড বাতাসও বইছে । বড় সুবিধা বোধ হ’ল না। আমাদের বরাবর পৌছানর কথা ছিল । সে প্রোগ্রাম বদলে কুলটীতে রাত কাটাবার বন্দোবস্ত করা হ’ল । রাস্তার উপরে ডানদিকে কুল্টা কারখানার(Kulti Iron works)সাহেবদের লাইনবন্দি বাঙ্গলে । এখানকার মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার রায়ের নাম আমরা আগেই শুনেছিলাম। ইনি খেলধূলার বিশেষ উৎসাহী ও টুরিষ্টদের উপর এর বিশেষ সহানুভূতি আছে। এর বাঙ্গলে খুজে পেতে বিশেষ অসুবিধা হলো না । আমাদের দেখে খুব খুসী হলেন । পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমাদের থাকুবার বন্দোবস্ত হ’য়ে গেল । - আজি মহাষ্টমী । এখানকার বাঙ্গালী ভদ্রলোকেরা প্রতি বৎসর দুর্গোৎসব করেন। সহরটি খুব ছোট জায়গা —কারখানাটিকে উপলক্ষ্য ক’রে সহরটি গ’ড়ে উঠেছে। সঙ্গরের দৃশ্য বেশ মনোরম ৷ রাস্তায় বিজলীবাতি ও জলের কলেরও অভাব নাই । শ্রান্ত হ’য়ে সহরের বাইরে খোল মাঠে এসে বসলাম। পাতলা কুয়াসার জাল ছিড়ে চাদের আলো সহরটিকে ঘিরে ফেলেছে । আজ ৯ মাইল এগিয়েছি, কলকাত থেকে ১৪৮ মাইল আসা হ’ল । ( ক্রমশ: ) শ্ৰী অশোক মুখোপাধ্যায় SEడాఙ: হারামণি কোন সময়ে আমি চন্দ্রনাথ-তীর্থক্ষেয়ে গিয়াছিলাম । তখন জনৈক বৈষ্ণবের মুখে একটি হৃদয়গ্রাহী গান শুনিয়াছিলাম । উহা একাধারে দেহতত্ত্ব ও আধ্যাত্মিক ভাবে পরিপূর্ণ। দুঃখের বিষয় গানটি কাহার রচিত, তাহা জানিতে পারি নাই । কত উঠছে আজব কারখানা—দিল-দরিয়া-মাঝে । ডুবলে পরে রত্ব পাবি–ভাস্লে পরে পাবি না। fদলের মাঝে জাহাজ আছে,--ন’-জন তার গুণ টানিছে । ছ’-জন তার দাড় টানিছে,—হাল ধবেছে একজন । দিলের ভিতর বাগান আছে—তাতে নানা-জাতিফুল ফুটেছে, (তার) সৌরভে জগৎ মেতেছে,--তাতে ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু, শিব রয়েছে ; সেই তিনকে যে এক করেছে,—তার বা কিসের ভাবন । সংগ্রাহক—শ্ৰী রমেশচন্দ্র চক্রবত্তী
পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
![](http://upload.wikimedia.org/wikisource/bn/thumb/3/3e/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80_%28%E0%A6%B7%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B6_%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%97%2C_%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE_%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%29.djvu/page726-1024px-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80_%28%E0%A6%B7%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B6_%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%97%2C_%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE_%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%29.djvu.jpg)