পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆty প্রবাসী—শ্রোবণ, ১৩৩৩ [ २७* छांश, sग ५९ ।। ক’রে জেলের হুকুম দিয়ে দিয়েছি। বুঝুক্গে এইবার দিনে ডাকাতি করার মজাটা কেমন ।” শুনে লোক দুটি কথঞ্চিং খুলী হ’ল। কিন্তু যার পিঠের বেতের জাল তখনও কমেনি, সে বললে— “তাদের বেতই হ’ক আর জেলই হ’ক, তাতে আমার কি ? আমার যা হবার হ’য়ে গেল। কাছারী দেখতে এসে খুব শিক্ষা পেলাম।” মোক্তার-বাবু বললেন—“যাকৃগে, যা হবার হয়েছে—এ নিয়ে আর উচ্চবাচ্য করে না। লোকে শুনলে তোমাকেই উলটে যা-তা ভাববে। নিজে ঠকূলে বাপের কাছেঃ বলতে নেই। এখানে এসে কত জনের কত রকম দুর্দশ হয়ে থাকে, কে তার খোজ রাখে? নিজে আর এক কারো কাছে গল্প করে না।” İ যাবার সময় তারা ব’লে গেল—“অদৃষ্টে যা ছিল—তা হ’য়ে গেল। গল্প ক’রে আর কি হবে ?” : শুনে মোক্তার-বাবুও নিশ্চিন্ত হ’য়ে বাড়ী চলে গেলেন । 히安) \3 기 (ইংরেজি হইতে ) শ্ৰী মোহিতলাল মজুমদার গাড়ীর চাকার কাদায় যখন যায় না পথে হাট, কানে যখন গোলাপ গোজে হাবুল, বনমালী— কিম্বা যখন আগুন ছোটে উড়িয়ে ধূলো-বালি, তখন ভায় ! পদ্য লেখে। হাস্ত-কলোচ্ছ্বাসে। শীতের ঠেলায় ঘরে যখন সার্সি-কবাট আঁটা,— তখন ঘেমে’ হাপিয়ে কেসে গদ্য লেখে। খালি । কিন্তু যখন চামেলি দেয় হাওয়ায় আতর ঢালি', ঝুম্‌কে-লতা দুলছে দেখি বারান্দাটির পাশে, চিকের ফাকে একখানি মুখ, ফুল ফুলের ডালি– ' তখন ভায়া ! পদ্য লেখে। হাস্ত-কলোচ্ছ্বাসে । মগজ যখন বেজায় ভারী, যেন লোহার ভাটা ! বুদ্ধি ত’ নয় –যেন সমান চারকোণা এক টালি ! মনটা যখন দাড়ীর মতন ছুচ লো করে’ ছাট,— তখন বসে’ বাগিয়ে কলম গদ্য লেখে। খালি । কিন্তু যখন রক্তে জাগে ফাগুন-চতুরালি, বর্ষ যখন হর্ষে সারা নতুন মধুমাসে, চাই যেখানে ভারিকে চাল-বিদ্যে বহুৎ ঘাটা, ‘হ’তেই হবে ‘কথখনো নয়’—তর্ক এবং গালি, ছড়ানো চাই হেথায় হোথায় “কিন্তু” “যদি’র কাটা তখন বসে’ বাগিয়ে কলম গদ্য লেখে। খালি । কিন্তু যখন মেদুর হবে আঁখির কাজল-কালি, মিলন-লগন ঘনিয়ে ওঠে কনক-চাপার বাসে, যে-কথা কেউ জানৰে নাকে, সেই কথা কয় আলিতখন ওহে !-পদ্য লেখে হাস্ত-কলোচ্ছ্বাসে। সংসারেতে অনেক অভাব, অনেক জোড়াতালি— তার তরে ভাই, বাগিয়ে কলম গদ্য লেখো খালি ; কেবল যখন মাঝে মাঝে প্রাণের পরব অাসে— তখন ওহে !-পদ্য লেখে। হাস্ত-কলোচ্ছ্বাসে ।