পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՊօՀ কল্পে গবন্মেন্টের দৃঢ়প্রতিজ্ঞার প্রমাণ পাইলেই অনেক দুষ্ট লোক সায়েস্ত হইয়। ধাইবে । হিন্দুর সংখ্যার নূ্যনতা ও হিন্দু নারীর লাঞ্ছন। মুসলমানের, হিন্দুর, বা গবন্মেন্টের কাহারও এই ভাবিয়া নিশ্চিস্ত থাকা উচিত নহে, যে, যেহেতু বঙ্গের কতকগুলি জেলায় মুসলমান বেশী অতএব নারীনিৰ্য্যাতন অবশুম্ভাবী। প্রথমতঃ এরূপ উক্তি মুসলমানের পক্ষে অপমানকর । দ্বিতীয়তঃ, এরূপ এত অত্যাচার কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে বঙ্গে ও ছিল না । তৃতীয়তঃ, বাংলাদেশ অপেক্ষাও পঞ্চাবে ও সিন্ধুদেশে মুসলমানের অকুপাত বেশী, কিন্তু সেই সেই দেশে এত হিন্দুনারী ধর্ষণ হয় না। সিন্ধু দেশে মুসলমানরা হিন্দুদের প্রায় তিনগুণ ; পঞ্চাবে হিন্দু মোটামুটি ৬৫ লক্ষ, মুসলমান মোটামুটি এক কোটি চোঁদ লক্ষ । একখানি হিতকর পুস্তক শ্ৰীযুক্ত ডাক্তার বামনদাস মুখোপাধ্যায় মহাশয় প্রস্থতিদের পরিচর্য্য! বিষয়ে যে-পুস্তক লিখিয়াছেন, তাহ, কি সহরে কি মফস্বলে, সৰ্ব্বত্র শুভফলপ্রদ হইবে । কলিকাতায় ধাত্রীবিদ্যায় অভিজ্ঞ ডাক্তার ও শিক্ষিত ধাত্রী আছেন। কিন্তু সকলে তাহদের সাহায্য লইতে পারেন না, এবং যাহারা পারেন, র্তাহারা ৪ কথায় কথায় ডাক্তারের পরামর্শ লইতে পারেন না । এইজন্য এই পুস্তক কলিকাতাতেও প্রস্থতিদের খুব কাজে লাগিবে। বাংলাদেশ পল্লীগ্রামবহুল, পল্লীগ্রামের সমষ্টি বলিলেও চলে । পল্লীগ্রামগুলিতে ধাত্রী-বিদ্যায় পারদর্শী ডাক্তার বা ধাত্রী নাই । এইজন্য মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের বহিখানি পল্লীগ্রামের এরূপ প্রত্যেক পরিবারে থাকা উচিত যাহার অন্ততঃ একজনও লেখাপড়া জানেন । ছোট সহরগুলিরও অনেকগুলিতে প্রসব-কার্য্যে সাহায্য করিবার জন্ত ডাক্তার বা শিক্ষিত ধাত্রী পাওয়া কঠিন । সুতরাং সেখানেও এই পুস্তকখানি হইতে উপকার পাওয়া যাইবে । পুস্তকখানিতে কি কি বিষয় লিখিত হইয়াছে, তাহ বিজ্ঞাপনে দ্রষ্টব্য । শ্রীযুক্ত হরিহর শেঠের নারী-হিতসাধন নারীপূজা সম্বন্ধে অন্যত্র উল্লিখিত মহুর বচন আমরা আওড়াই অনেকে, কিন্তু কাজে কিছু করি না। নারীপূজার একটি প্রারম্ভিক কাজ বালিকা ও নারীদের [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড সুশিক্ষার বন্দোবস্ত কর। ইহার দিকে দেশের লোকদের দৃষ্টি অতি ধীরে ধীরে পড়িতেছে। বালক ও পুরুষদের শিক্ষার জন্য বৃহৎ দান বাংলাদেশে কেহ কেহ করিয়াছেন । কিন্তু নারী-শিক্ষার জন্য ক্ষুদ্র বা বৃহৎ দানের সংখ্যা ৪ পরিমাণ বেশী নহে। এইজন্য চন্দননগরের হরিহর শেঠ-মহাশয় নারী-শিক্ষামন্দিরের নিমিত্ত যে-ব্যয় করিয়াছেন ও করিবেন, তাহ বিশেষ উল্লেখযোগ্য । ইহার বিশেয বিবরণ দেশের কথা বিভাগে দৃষ্ট হইবে। নারীশিক্ষার স্ববন্দোবস্ত র্যাহারা করিতেছেন, তাহারা জাতীয় সৌধের ভিত্তি সুদৃঢ় করিতেছেন । শেঠ-মহাশয় এই সম্মানাহঁ স্থপতিদের অন্যতম। তিনি অনাড়ম্বর সাদাসিধ জীবনযাপন করেন, এবং দেশের একজন প্রসিদ্ধ ধনী ও নহেন । কিন্তু তাহার জ্ঞানামুরাগ ও সৎকৰ্ম্মান্নুরাগ র্তfহাকে বহু প্রসিদ্ধ ধনী অপেক্ষ নমস্ত করিবে । বলা বাহুল্য, নারীশিক্ষামন্দিরই তাহার একমাত্র কীৰ্ত্তি নহে । নারীশিক্ষা-সমিতি গ্রীষ্মাবকাশের পর আগামী ১৬ই জুলাই শুক্রবার নারী-শিক্ষা-সমিতির অন্তভূক্ত মহিলা শিল্প-ভবনের কাৰ্য্যারম্ভ হইয়াছে। এবংসর এই বিভাগে ৬০ জন অভাব-গ্ৰস্ত মহিলাকে নিম্নলিখিত শিল্প শিখাইবার ব্যবস্থা হইতেছে — জ্যাম, জেলি, আচার প্রভৃতি প্রস্তুত করা। সেলাই ও কাট ছাট । বয়ন, পাড় ছাপান ও রং করা । অলঙ্কার গড়া । সূক্ষ্ম কারুকায । ৬ সাবান প্রস্তুত করা, তেল পরিষ্কার করা, খেলন; ভৈয়ার কর । এসকল শিক্ষা দিবার জন্য কোন ফী লওয়া হইবে না ; তবে র্যাহারা বাসে আসিবেন, তাহাদিগের নিকট হইতে মাসে ৩২ টাকা করিয়া গাড়ী ভাড়া লওয়া হইবে। ১০৫ নং অপার সারকুলার রোডে মহিলা শিল্প-ভবনের কমিটির সম্পাদকের নিকট আবেদন-পত্র পাঠাইতে হইবে । প্রবাসী বাঙালীর গুণের আদর এবার যে-সকল ভারতীয় ব্যক্তি রাজসম্মান লাভ করিয়াছেন, তন্মধ্যে মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইসচ্যান্সেলার আচার্য্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল মহাশয়ের নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য। তিনি যৌবন-কাল হইতেই পাণ্ডিত্যেঃ জন্য বিখ্যাত । তাহার ছাত্রাবস্থাতেই অধ্যাপক হেস্ট