পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՏՀ পেশাদার অভিনেত্রীদের সম্বন্ধে গিরীশচন্দ্রের মত বৈশাখ মাসের বঙ্গবাণীতে “গিরীশচন্দ্রের স্মৃতি” নামক একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় । তাহাতে লেখকের সহিত পেশাদার অভিনেত্রীদের সম্বন্ধে গিরীশচন্দ্রের কথোপকথনের রিপোর্ট আছে। একস্থানে গিরীশ-বাৰু বলিতেছেন :– দেখ, যারা বেগু ও মুর্থ নিয়ে থিয়েটার করতে সমাজে পাপের প্রশ্রয় দেওয়া হচ্চে, বলেন, তাদের আমি একটা কথা বলতে চাই । যা হোক ত্যাগ করুন আর যাই করুন, এই লেখা আর মুর্থ তো সমাজে বিদ্যমান আছে । তাদের ত্যাগ করা কিম্ব ঘৃণ করাই কি সমাজসংস্কার ? যীশুখৃষ্ট, বুদ্ধ, চৈতন্য কোনও অবতীর পুরুষই এদের ত্যাগ বা ঘৃণা করতে শেখাননি–র্তার। এদের জীবন উন্নত ক’রে দিয়েছিলেন । আমি ঐ মহাপুরুষদের অমুসরণ করবার দস্তু করি না, কিন্তু যা হোক লেপ্তাদের একটি নুতন পথে চালিত কচ্চি—যে পথে তার ইচ্ছা কৰূলে পবিত্রভাবে জীবন কাটাতে পারে, উচ্চ চিস্তা করতে পারে এবং বাজারে দাড়িয়ে অন্ত লোককে প্রলোভিত করতে ক্ষান্ত থাকৃবে। আমি তে। তাদের অর্থার্জনের একটা স্বগম পথ খুলে দিয়েছি—অভিনয় করতে এর উচ্চ চিন্তা উচ্চভবের আবৃত্তি ও অভিব্যক্তি করে, কিন্তু বলতে পার এইসব রচিবাগীশর এদের সংঙ্কার করবার কি চেষ্টা করেছেন ? গিরীশ-বাবুর এই মত পড়িবার অনেক আগে আমরা পেশাদার অভিনেত্রীদের কাজের এই ভাল দিক্‌টা দেখাইয়াছিলাম, যে, তাহার সুযোগ পাইলে ও ইচ্ছা করিলে ইহার সাহাধ্যে পাপপথ ত্যাগ করিতে পfরে। কিন্তু জিজ্ঞাস্য এই, যে, কয়জন তাহ{ করিয়াছে, করিতে উৎসাহিত হইয়াছে, বা করিবার সুযোগ পাইয়াছে ? তার পর গিরীশ-বাবু “রুচি বাগীশদের” বলিতেছেন :– সম্বন্ধে BBBSBBBS gK BBS g BB BBBB BBB BD BSBB BBB এসেছেন ও যুণ্য করতে শিখেছেন । এদের মনে সত্য সত্য এইরকম একটা ধারণ দৃঢ় হ’য়ে আছে যে, বার বেষ্ঠ ও গুণ্ডার সংস্বে আসে— তারা জহন্নামে যায়। এই কথাগুলি যে সম্পূর্ণ মিছে, তা নয়। বাস্তৰিকই বেখ্যার কুইকে কত লোকের সর্বনাশ হয়েছে, বেগুর কুটিল • চাউনিতে অনেক যুবক বিপথগামী হয়েছে এই সব সত্য কথা । কিন্তু BBBB BB BBB BD BBS BBB BBB BBS BB S BBBB কর্তৃপক্ষ আছে—রঙ্গমঞ্চে কোনও রূপ অভদ্র বা অসভ্য ব্যবহারে শাসন আছে এবং যার অভিনয় করে তারা নিজ নিজ চরিত্র play করতেই ব্যস্ত—তারা দর্শকবৃন্দের মনোরঞ্জন করতেই চেষ্টিত,—রঙ্গালয়ে যুবকদের সৰ্ব্বনাশ কর্তৃবার অবসর তাদের কোথায়? ভাল নাটক অভিনীত না হ’লে অদ্য কথা । তবে আমার মনে হয় যে, বেস্ত ও গুও আমাদের সমাজের একটি বিধম সমস্ত। এদের শুধু ঘৃণা ও উপেক্ষা করলে চলবে না । এর একদিকে পিশাচ পিশাচী, আবার অস্ত্যদিকে চালিত হ’লে এদের স্বার সমাজের অনেক হিত হতে পারে। থিয়েটারের মত প্রতিষ্ঠান ছাড়। এদের দাড়াবার জায়গা কোথায় ? কিন্তু সেই “দাড়াবার জায়গা” তাহাদিগকে “অন্যদিকে চালিত’ এমন ভাবে করিতেছে কি, যাহাতে “সমাজের প্রবাসী—শ্রোবণ, ১৩e৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড অনেক হিত হতে পারে?” “রঙ্গালয়ে যুবকদের সর্বনাশ করবার অবসর” অভিনেত্রীদের না থাকিতে পারে, কিন্তু বাহিরে যে-সকল আছে, তাহাতে অনেক যুবকের সর্বনাশ হইয়াছে, অস্বীকার করিবার জো নাই । প্রবন্ধটির শেষে পেশাদার থিয়েটারের পেশাদার অভিনেত্রীদের সম্বন্ধে স্বামী বিবেকানন্দের সহিত গিরীশ-বাবুর কথোপকথনের কিছু আভাস আছে। নীচে তাহা উদ্ধত করিয়া দিতেছি । একবার এই হলঘরে কতকগুলি অভিনেত্রী জাসে-সে-সময় স্বামীজী ( আমেরিকায় যাবার অনেক আগে ) উপস্থিত ছিলেন । আমি তাদের বলেছিলাম—তোর একবার সরলপ্রাণে তাকে ( পরমহংস রামকৃষ্ণকে ) ডাকৃ—তার আশ্রয় নে—দেখবি আর তোদের ভয় নেই। স্বামীজী আমাকে ও-সব গোড়া, অন্ধবিশ্বাস, ভক্তি, ইত্যাদি, ব’লে প্রতিবাদ করতে লাগলেন। আমি তখন উত্তেজিওভাবে ঠাকুরের নামের গুণ ও ঠাকুর যে পতিতপাবন, তা বলতে লাগলাম। ভগবানের নাম যে একবার নেয়, দুনিয়াতে তার আর কোনও ভয় নেই। এইসব যখন বলুচি, তখন স্বামীজী উঠে আমাকে ঘরের বাইরে ডেকে নিয়ে বল্লেন, “জি সি– dangerous doctrine preach of t alf of Rico গুণ, আমি জানি তিনি পতিতপাবন, তিনি দুৰ্ব্বল পতিত তাপিতদের জন্য এসেছিলেন–কিন্তু”—স্বামীজী ছলছল চক্ষে বলিলেন, I love purity—পবিত্রতার অগ্নিমস্ত্র প্রচার কর”—এই বলিয়। গিরীশবাবু, বলিলেন, “ৰামীজীর সেই দিব্যমূৰ্ত্তি আমার চথের সামনে ভাস্চে ।” বাংলার মুসলমানদিগের সংখ্যাধিক্য কি কাৰ্য্যকর ? বাংলার মুসলমানগণ যত প্রকার আবার করেন, তাহার প্রধান কারণ র্তাহীদের মতে এই, যে, তাহারা সংখ্যায় - বাংলার অপর ধৰ্ম্মাবলম্বী লোকদিগের অপেক্ষা অনেক অধিক । বাংলার সমগ্র জনসংখ্যার শতকরা ৫৩৫৫ জন মুসলমান, অর্থাৎ অন্যান্য লোকের তুলনায় বাংলার মুসলমানগণ শতকরা প্রায় ৮ জন করিয়া অধিক আছেন । একথার সত্যতা আছেও, নাইও। অর্থাৎ কিনা মুসলমানগণ সংখ্যায় শতকরা ৮জন করিয়া অধিক থাকিলেও এ ংখ্যাধিক্যের কোন কাৰ্য্যকরত নাই। মুসলমানগণযে-সকল আবদার করেন, তাহ প্রধানতঃ রাষ্ট্রীয় ও অর্থনৈতিক ব্যাপার সংক্রান্ত । স্বতরাং অগ্রে তাহাদের সংখ্যাধিক্যের রাষ্ট্রীয় ও অর্থনৈতিক মূল্য নিৰ্দ্ধারণ - করিয়া কোন কথা বলা উচিত নহে। কারণ শুধু নিছক সংখ্যাধিক্য দিয়া কিছুই হয় না। অর্থ-উপার্জন, কাৰ্য্যনিৰ্ব্বাহ অথবা যুদ্ধবিগ্রহ, কিছুই উপযুক্তরূপ জনবল ন থাকিলে স্বসম্পন্ন হয় ন। যথা, একটি সমাজে যদি অপর একটি সমাজ অপেক্ষা দ্বিগুণ লোক থাকে ; কিন্তু যদি এই দ্বিগুণ লোকসংখ্যার শতকরা ৯০ জন অঙ্ক, পঙ্গু, শিশু ও স্ত্রীলোক হয়, তাহা